Biplobi Barta

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিসহ সকল নিয়োগে ৫% আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানব বন্ধন।


আজ ১২ অক্টোবর,২০১৮ শুক্রবার সকাল ১১ টায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব এর সামনে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম(এইচআরডি), আদিবাসী যুব পরিষদ, পরায়নি শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ আদিবাসী সংগঠন এর উদ্যোগে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিসহ সকল নিয়োগে ৫% আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন হয়।মানব বন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী যুব পরিষদ এর সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সাভার-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর শিল্পাঞ্চল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিভাষ চাকমা, সহসভাপতি তপন চাকমা, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ডাহার ধুলির সভাপতি নন্দলাল কিস্কু, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম(এইচআরডি) সদস্য নিরলা মার্ডী, পরায়নি শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক ফ্যান্সি কিস্কু, সদস্য রিনা হাসদা প্রমুখ।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসীরা এখনও অনগ্রসর ৷ সংবিধানে তাদের জন্য ৫% কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷ কিন্তু এখন সেই কোটা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছেন ৷ কিন্তু তা এখনও করা হয়নি ৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে বলছি, তিনি যে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছেন, সেটা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হয় ৷ এখন বাংলাদেশে অনগ্রসর কোনো জনগোষ্ঠী নেই৷ তিনি আদিবাসীদের কথা বিবেচনা না করে ঢালাওভাবে এই কথা বলেছেন ৷ আমরা তার কথার তীব্র নিন্দা জানাই৷ আদিবাসীদের এখনও এমন কোনো অবস্থান তৈরি হয়নি যাতে তাদের কোটার বাইরে রাখা যায় ৷ আদিবাসীরা এখনও অনগ্রসর ৷ তাদের জন্য এখনও কোটা দরকার৷ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।


মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

শিল্পাঞ্চলে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির সব টাকা বাড়িওয়ালাদের পকেটে চলে যাচ্ছে।


সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ জীবনযাপনের মৌলিক প্রতিটি অধিকার নিয়েই প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকে দেশের মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাসস্থানের সমস্যা। বাড়িভাড়া এখন যন্ত্রণার আরেক নাম।

একজন গার্মেন্ট শ্রমিক বেতন পান সব মিলিয়ে আট হাজার টাকা। শিল্পাঞ্চলের একটি ছোট্ট বাসায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া থাকেন। হঠাৎ করে বাড়িওয়ালা ৫০০/১০০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দেন নানান অজুহাতে। তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে তাঁর বাসায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। কেটে দেওয়া হয় বাসার বিদ্যুৎ ও পানির লাইন। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ঢাকা সহ শিল্পাঞ্চলে বাড়িভাড়া নিয়ে এ রকম জিম্মিদশা নিয়ে জীবন যাপন করছেন। নতুন বছর শুরুই হয় ভাড়া বৃদ্ধির আতঙ্ক দিয়ে। এ জন্য আদালত পর্যন্ত যান অল্প কিছু লোক। বাড়তি ভাড়া দিতে না পারলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া ছাড়া বাকিদের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকে না। দেশে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৯১ সালের একটি পুরোনো আইন আছে। আইনে বলা আছে, ভাড়াটের কাছে কোনো ধরনের জামানত বা কোনো টাকা দাবি করা যাবে না। অগ্রিম হিসেবে এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। প্রতি মাসে ভাড়া পরিশোধের রসিদ দিতে হবে। কিন্তু আইনকানুনের ধার ধারে না কেউ। আর আইন থেকেও নেই। একদিকে আইনটি উপযোগিতা হারিয়েছে, অন্যদিকে এর কোনো প্রয়োগও নেই। ভাড়াটেদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা বিভিন্ন সংগঠনের অভিযোগ, সরকার বাড়িওয়ালাদের স্বার্থরক্ষার জন্য বাড়িভাড়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শিল্পাঞ্চলে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। লাগামহীন এই বাড়িভাড়ায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাড়িভাড়া। শিল্পাঞ্চলে মোট অধিবাসীর ৯০ শতাংশই ভাড়াটে। কিন্তু সরকার ভাড়াটেদের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। বাড়িভাড়া নিয়ে নাম মাত্র যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়িত হয় না। কোন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে, সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের করার কথা। শিল্পাঞ্চলে প্রায় সব বাড়ির হোল্ডিং কর নির্ধারণ করে দেয় স্থানীয় সরকার। কাজেই তাদেরই উচিত প্রতিটি বাড়ির ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সরকারই উদ্যোগ নেয়নি সরকার। জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনেও বাড়িভাড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বাড়িমালিকেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন, বছর বছর ভাড়া বাড়াচ্ছেন।’ ১৯৯১ সালের এ-সংক্রান্ত আইনটিও যুগোপযোগী নয়। বারবার এই আইন সংস্কারের কথা আলোচনা হলেও এরপর আর কিছু হয়নি। বাড়িওয়ালাদের ৮০ শতাংশই বাড়িভাড়ার আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ কারণে কোনো কিছুর দাম সামান্য বাড়লেই ভাড়া বাড়ান মালিকেরা। ভাড়া দিতে দেরি হলে বেশীর ভাগ বাড়িওয়ালা ভাড়াটেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। গৃহহীন মানুষের তুলনায় বাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় বাড়িওয়ালারা ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়াচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাড়াসংক্রান্ত চুক্তি হয় না বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের মধ্যে। বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা ভাড়ার রসিদও দেন না। বাড়িওয়ালা সাথে কথা বললে বলেন, সবকিছুর দাম বাড়লে বাড়িভাড়া বাড়বে না কেন? ভাড়াটের সঙ্গে চুক্তি করেন না কেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাড়াটেরা চুক্তিপত্র জাল করে মালিকানা দাবি করে বসেন। তাই অনেক মালিক ভয়ে চুক্তিপত্রের কথা ভাবেন না।’ প্রতিবছর ভাড়া কেন বাড়ে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাড়া তো বাড়বেই। সরকার তো কোনো আইন করেনি যে ভাড়া বাড়ানো যাবে না। ’শিল্পাঞ্চলের ভাড়াটিয়ারা বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়লে, তেলের দাম বাড়লে আমরা চিৎকার করি। কিন্তু শিল্পাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম বাড়িভাড়া। অথচ যখন-তখন ভাড়া বাড়ালেও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেন না। শিল্পাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণায় আছে বাড়িভাড়া নিয়ে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে একেবারেই নিশ্চুপ। আমার মনে হয়, এখন কোন এলাকায় কত বাড়িভাড়া হবে, সেটি নির্ধারণ করে তা মানা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো উচিত।
লেখকঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

বুলগেরিয়ার মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশে পোশাক শ্রমিকের মজুরি ২০০ ডলার হলেও বাংলাদেশে তা ১০০ ডলারে উন্নীত করা যায়নি।


যেকোনো বেতন কাঠামোতে শ্রমিকের প্রাপ্য ভাতা ও সুবিধাগুলো নির্ভর করে মূল মজুরির ওপর। দেশে চামড়া, জাহাজভাঙা, নির্মাণ শিল্পসহ কয়েকটি খাতের শ্রমিকের নির্দিষ্ট মজুরি কাঠামো রয়েছে। দেখা গেছে, রফতানি আয়ে শীর্ষে থাকা পোশাক শিল্পের শ্রমিকরাই অন্যান্য খাতের শ্রমিকের তুলনায় মূল মজুরি কম পাচ্ছেন। খোদ পোশাক খাতের মজুরি কাঠামোতেও শ্রমিকের মূল মজুরি বিগত সময়ের তুলনায় ক্রমশ কমছে।
 
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নিম্নতম ৮ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে নিম্নতম গ্রেডে মূল মজুরি ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১০০ টাকা। ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঘোষিত পোশাক খাতের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ খাতে শ্রমিকের মূল মজুরির হার ক্রমেই কমছে। পোশাক শিল্পে শ্রমিকের মূল মজুরির পরিমাণও অন্যান্য খাতের তুলনায় সবচেয়ে কম বাড়ছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে নির্ধারণ হওয়া বিভিন্ন মজুরি কাঠামো বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে পোশাক শ্রমিকের মূল মজুরি ছিল মোট মজুরির ৬৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ২০০৬ সালে মূল মজুরি বেড়ে মোট মজুরির ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়। এর পর থেকে ক্রমেই কমছে মূল মজুরির অংশ। ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ঘোষিত মজুরিতে মূল মজুরির অংশ যথাক্রমে ৬৬ দশমিক ৬৭, ৫৬ দশমিক ৬০ ও ৫১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত চামড়া, নির্মাণসহ ১৬টি খাতে শ্রমিকের মূল মজুরি মোট মজুরির ৫৪ দশমিক ৬৯ থেকে ৬৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছর পোশাক খাতের শ্রমিকদের মোট মজুরিতে মূল মজুরির অংশ হয়েছে ৫১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০১৩ সালে মূল মজুরি বেড়েছে ৫৬ শতাংশ, যা সবচেয়ে কম। আমরা নিম্নতম গ্রেড নিয়ে আলোচনা করলেও অন্যান্য গ্রেড নিয়ে আলোচনা তেমন একটা করি না। মূল মজুরি বৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। মূল মজুরির ওপর অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি নির্ভর করে। তাই মূল মজুরিকে মানসম্মত পর্যায়ে নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মূল মজুরি ৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। মূল মজুরি না বাড়লে ন্যূনতম মজুরিকে সুবিধাজনক পর্যায়ে নেয়া যাবে না।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সহ অনেক শ্রমিক সংগঠন মজুরি রিভিশনে পিটিশন করেছে কিন্তু মজুরি রিভিশনে উদ্যোগ সরকারের আছে বলে মনে হচ্ছেনা। অন্যদিকে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ শ্রমিক অপারেটর। তাদের মজুরি বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দরকার। এখনো সুনির্দিষ্টভাবে এই শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা হইনি। বুলগেরিয়ার মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশে পোশাক শ্রমিকের মজুরি ২০০ ডলার হলেও বাংলাদেশে তা ১০০ ডলারে উন্নীত করা যায়নি। গেজেট ঘোষণার আগেই দাবিগুলো জরালো ভাবে সরকারের সামনে তুলে ধরা দরকার।

এ বিষয়ে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ১২ শতাংশ শ্রমিক মেঝেতে ঘুমায়। ১৭ শতাংশের বৈদ্যুতিক পাখা নেই। ৮৩ শতাংশকে টয়লেট শেয়ার করতে হয়। ৮৪ শতাংশ শ্রমিক একই রান্নাঘর ব্যবহার করে। সিপিডি প্রস্তাবিত মোট মজুরি ছিল ১০ হাজার ২৮ টাকা, মূল মজুরি ৫ হাজার ৬৭০। শ্রমিকের সঞ্চয়ের প্রস্তাবও ছিল। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে উপরের গ্রেডে যেন মজুরি সুষমভাবে বৃদ্ধি হয়। গ্রেড ৮ রয়েছে শিক্ষানবিশ। এ গ্রেডটি থাকার দরকার আছে বলে মনে হয় না। শ্রমঘন এলাকায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধি হয় তুলনামূলকভাবে বেশী। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাকে ঋণ দিয়ে বহুতল করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা যেতে পারে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ও স্কুল নির্মাণে এনজিওদের উদ্যোগ নিতে হবে। মজুরি কাঠামো ঘোষণার পর ব্র্যান্ড বায়ারদের প্রতিক্রিয়া জানা দরকার। পোশাক কেনার মূল্য বৃদ্ধি করে মজুরি বাড়ানোয় ব্র্যান্ডগুলোর কোনো উদ্যোগ থাকবে কিনা দেখতে হবে। মজুরি বোর্ডের অবস্থান ও কাঠামো নিয়ে দুর্বলতা রয়ে গেছে।

লেখকঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র