Biplobi Barta

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

নিউ টাউন কোম্পানি লিমিটেড গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের আইনানুগ পাওনা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।


গাজীপুর, কোনাবাড়ী অবস্থিত নিউ টাউন কোম্পানি লিমিটেড গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা গত ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ থেকে লাগাতার ভাবে বিভিন্ন কর্মসুচি চালিয়ে আসছে।তার মধ্যে শুকনো চিড়া-মুড়ি খেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেএমইএ এর ঢাকা অফিসের সামনে অবস্থান করেপ্রচন্ড শিত উপেক্ষা করে সবাই গাদাগাদি করে খাওয়া দাওয়া না করেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি অফিসে রাত্রি যাপন করে৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে শ্রমিকেরা৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান চলা কালীন বেলা ১১ টায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট কোর কমিটির মিটিং করে একটি কমিটি করে দিয়েছেন, কমিটি ৭ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন
এই কারখানায় প্রায় ১৮০০ শ্রমিক কাজ করে যার বেশির ভাগী শ্রমিক নারী এই কারখানায় শ্রমিকদের বেশীর ভাগ চাকুরীর বয়স ১০ বছরের বেশি, কারো কারো ২০ বছরের বেশি।শ্রমিকদের সাথে কথা বলে যানা যায়, এই কারখানার মালিক এই কারখানার লাভের টাকায় ভিয়েতনামে একটি কারখানা কিনেছেন। এদিকে এই কারখানার শ্রমিকরা পরিবার পরিবার পরিজন নিয়ে না খেতে পেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে, বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এক শ্রমিক অর্থের অভাবে আত্যহত্যা করেছেন।এই গার্মেন্ট মালিকের বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে টাকা পাচারের সাথে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জড়িত।শ্রমিকদের ধারণা নিউ টাউন কোম্পানি লিমিটেড গার্মেন্ট কারখানার মালিক গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এর বাড়ীতেই আছেন।শ্রমিকরা যখনই বকেয়া বেতনের দাবী তুলেছে তখনই গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শ্রমিকদের হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি দেখিয়েছেন শ্রমিকদের এবং বিভিন্ন দালাল শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের মাঝে লেলিয়ে দিয়েছেন, শ্রমিকদের ম্যনেজ করার জন্য।একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ আসা করেনি শ্রমিকরা।শ্রমিকরা ভেবে ছিল গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শ্রমিকদের পাশে থেকে তাদের পাওনা আদায় করে দিবে কিন্তু তিনিই শ্রমিকদের বলেছেন তার পাওনা ৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা মালিকের কাছ থেকে আদায় করে দিতে।গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এই আচরণ প্রমান করে যে শ্রমিকদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার সাথে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জড়িত।
নিউ টাউন কোম্পানি লিমিটেড গার্মেন্ট কারখানায় প্রতি এক মাসে প্রায় ১৮০০ শ্রমিকের বেতন দিতে লাগে দুই কোটি টাকারও বেশি, তিন মাসে শুধু বকেয়া বেতন ৬ কোটি টাকারও বেশি লাগবে।আর যদি কারখানা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে হয় তাহলে শ্রমিকদের আইনানুগ পাওনা দিতে আরো প্রায় ২০ কোটি টাকা লাগবেতার মানে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা লাগবে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করে কারখানাটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দিতেএই টাকা যাতে শ্রমিকদের না দেওয়া লাগে তার জন্য কারখানার মালিক বিভিন্ন ধরনের টাল বাহানা শুরু করেছে।যার সাথে কারখানার মালিক, গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বিকেএমইএ, সরকারের কিছু লোকজন এবং কিছু দালাল শ্রমিক সংগঠন। মালিক পক্ষ মনে করেছিল সামনে নির্বাচনের ডামাডলে শ্রমিকেরা আন্দোলন করতে পারবেনা তাই শ্রমিকদের যেভাবে বোঝাবে সে ভাবেই বুঝবে, কিছু লাম-সাম পাওনা দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় দিবে।কিন্তু শ্রমিকেরা সংগঠিত থাকার কারনে তারা তা পারছেনা।


লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু
সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরী কিছুতেই শ্রমিকদের চাহিদা পূরণ হবেনা।



তৈরী পোশাক শিল্পের ঘোষিত নিম্নতম মজুরী শ্রমিকদের কিছুতেই পূরণ চাহিদা হবেনা না।গার্মেন্ট শ্রমিকদের যে কই টাকা বেতন বাড়লেও বাড়ছে বাড়ি ভাড়া, গাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা খরচ ও চাউল, ডাউল, আটা, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম। তাই থমকে যাচ্ছে তাদের জীবন মান। অথচ বাংলাদেশে প্রস্তুতিকৃত পোশাক ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড এবং স্পেনসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের রয়েছে অন্যতম অবস্থান। এছাড়া নন-ট্র্যাডিশনাল মার্কেট হিসেবে রপ্তানি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপানসহ আরো কয়েকটি দেশেও।
 
দেশের ৪ হাজার ৪৮২টি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে প্রায় চার মিলিয়ন শ্রমজীবী মানুষ। সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ভোর থেকে গভীর রাতে রাস্তায় এভাবে ছুটে চলা শ্রমিকরা সেই প্রমাণই দেয় প্রতিদিন। ২০১৬-১৭ বছরের হিসেবে এই খাতে দেশের মোট রপ্তানি ছিলো প্রায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ দশমিক নয়-দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট তৈরী পোশাক শিল্পের রপ্তানি করা হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ১৪৯ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮১ দশমিক দুই তিন শতাংশ। যার সঙ্গে শ্রমিকরা সরাসরি জড়িয়ে আছে। 

অথচ কিছুতেই কাটছে না শ্রমিকদের অভাব-অনোটন ও বিভিন্ন সংকট। অপুষ্টিতে ভুগছে শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা। অর্থের অভাবে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে শ্রমিকের সন্তানেরা। নারী শ্রমিকরা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। হতাশায় অনেক শ্রমিক গার্মেন্ট কারখানা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। দিনে দিনে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শ্রমিকের বয়স ৩৫ পার হলেই সে কর্মঅক্ষম হয়ে পড়ছে।

ন্যূনতম মজুরির দাবিতে ঘণায়মান আন্দোলনের মুখে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ২৫ নভেম্বর'২০১৮ রোববার গেজেট জারি করেছে সরকার।
ন্যূনতম মজুরির গেজেট অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য সাতটি ও কর্মচারীদের জন্য চারটি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সপ্তম গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা, এরমধ্যে মূল মজুরি ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ২ হাজার ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা। অপরদিকে প্রথম গ্রেডে মজুরি ১৭ হাজার ৫১০ টাকা।

শিক্ষানবিশ শ্রমিক মাসিক সর্বসাকুল্যে পাবেন ৫ হাজার ৭৫ টাকা, এরমধ্যে মূল মজুরি ২ হাজার ৭৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১ হাজার ৩৭৫ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা। । শিক্ষানবিশ কাল হবে ৩ মাস।

অপরদিকে পোশাক শিল্পের কর্মচারীদের চতুর্থ গ্রেডে ৮ হাজার ৩৭৫ টাকা ও প্রথম গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫ টাকা। শিক্ষানবিশ কর্মচারী মাসিক সর্বসাকুল্যে পাবেন ৬ হাজার ১৬৪ টাকা। শিক্ষানবিশ কাল হবে ৬ মাস।

পোশাক শ্রমিকরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১৪ হাজারে ৬৩০ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৫৯০ টাকা, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ২৪৫ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৫৫ টাকা ও ষষ্ঠ গ্রেডে ৮ হাজার ৪০৫ টাকা পাবেন।
কর্মচারীরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১১ হাজার ৩০০ টাকা ও তৃতীয় গ্রেডে ১০ হাজার ৭৭৫ টাকা ন্যূনতম মজুরি পাবেন। তবে সব গ্রেডেই মূল মজুরি ও বাড়ি ভাড়া ভাতা ছাড়াও ন্যূনতম মোট মজুরির মধ্যে ৬০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৩৫০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও ৯০০ টাকা খাদ্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মজুরির কোন শ্রমিককে এই ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেয়া যাবে না। তবে এই মজুরির চেয়ে বেশি হারে মজুরি দিলে তা কমানোও যাবে না। শ্রমিকরা প্রতি বছর মূল মজুরির ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন, মালিকরা এই সুবিধা দিতে বাধ্য থাকবে বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত ন্যূনতম মজুরি ছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা।

এই নিম্নতম মজুরী কাঠামো ১ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ থেকে গার্মেন্ট শিল্পের সকল শ্রমিকদের জন্য কার্ষকর হওয়ার কথা। এই বেতন বৃদ্ধিকে শ্রমিকরা সমন্বয়ন বলছেন। এতে সুবিধা আর সুযোগের নাগাল পাচ্ছেন না তারা।

অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির কথা বলে আরও কর ছাড় পেল পোশাক খাত, তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকে উৎসাহিত করতে আরও কর ছাড় দিয়েছে সরকার। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এ খাতের উৎসে কর কমানো হয়েছিল। দুই মাসের মাথায় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবারও বড় ধরনের কর প্রণোদনা দেওয়া হলো। দিনে দিনে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েই নিচ্ছে গার্মেন্ট মালিকেরা। 

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, শতভাগ পোশাক শিল্পের জন্য এবার পরিবহন ব্যয়, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, সিকিউরিটি সার্ভিস, ল্যাবরেটরি টেস্টসহ নানা সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর ২০১৮, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে তা কার্যকর করেছে। এ ছাড়া পোশাক খাতের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিলের ওপর ভ্যাট পরিশোধের নিয়ম আরও শিথিল ও সহজ করা হয়।

এনবিআর বলেছে, এসব সেবার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে পোশাক খাতের খরচ আরও কমবে, বাড়বে রফতানি আয়। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে সেবায় ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে হয়রানি ও এ খাতের খরচ কমবে।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে এ খাতের করপোরেট কর ১৫ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ এবং যারা সবুজ শিল্প স্থাপন করবে, তাদের করপোরেট কর ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। দেশের মোট রফতানি আয়ের শতকরা ৮০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ। এক ভ্যাট কমিশনার বলেন, এসব সেবা থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার ফলে পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ কমবে। এতে সামগ্রিকভাবে রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জানা যায়, আগে পোশাক মালিকরা বন্দর থেকে ফ্যাক্টরিতে মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতেন। এখন থেকে পরিবহন ব্যয়ে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। ফলে পোশাক খাতের পরিবহন ব্যয় কমবে। আগে পোশাক কারখানায় ইন্টারনেট ব্যবহার, অনলাইনসহ যে কোনো তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এনবিআর বলেছে, এখন থেকে পোশাক খাতে ব্যবহূত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কোনো ধরনের ভ্যাট দিতে হবে না।
পোশাক পণ্য তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দেশ-বিদেশ থেকে কিনে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে হয়। এ পরীক্ষার জন্য পোশাক মালিকদের ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হতো। এনবিআরের অদেশে বলা হয়েছে, ল্যাবরেটরিতে যে কোনো কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য মালিকদের এখন আর ভ্যাট দিতে হবে না।

কিছু কারখানা মালিক শ্রমিকদের বিনোদনের জন্য খরচ করে থাকেন। এতদিন বিনোদনের জন্য ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। এখন থেকে পোশাক খাতের যে কোনো ধরনের বিনোদনকে ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু পোশাক কারখানার মালিকরা তাদের শ্রমিকদের কল্যাণে পোশাক-পরিচ্ছদ, জুতা, প্যান্ট ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকেন। আগে এসব পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এখন আর দিতে হবে না।

অনেক পোশাক মালিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে থাকেন। এ নিরাপত্তা সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। এনবিআরের নতুন আদেশে এ সেবার ওপর পুরোপুরি ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো পোশাক প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে হলে জোগানদারের বিলের বিপরীতে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এখন জোগানদার সেবায় কোনো ভ্যাট লাগবে না।

বর্তমানে পোশাক কারখানায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি (ওয়াসা সেবা) ইত্যাদি সেবা বাবদ যে বিল হয় তার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ সুবিধা রয়েছে। এনবিআর যে নিয়ম করেছে, তাতে বলা হয়েছে- রফতানিকারকরা সরাসরি এ সুবিধা পাবেন। এর জন্য ডেডো দপ্তরে যেতে হবে না।

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে আত্মপ্রকাশ করতে দরকার মোট জিডিপি’র ৮ শতাংশ। যা পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বাদ দিয়ে কোনোভাবেই অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই এখনই শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় এখনই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তা না হলে এই শিল্প শ্রমিক সঙ্কটে পড়তে পারে।

লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

প্রস্তাবিত নূন্যতম মজুরী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরের মজুরি বোর্ডে প্রকাশিত তপশিল “ক” শ্রমিক মজুরি ২০১৮



গার্মেন্টস” শিল্প
খসড়া সুপারিশ -২ ০১ ৮
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অধিশাখা-৬ এর পত্র নম্বর ৪০.০০.০০০০.০১৬.০৩২.০১৩.১৬-০৯, তারিখ : ১৮-০২-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ মূলে আইন ও বিধি মোতাবেক “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের কার্যক্রম গ্রহণের
জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয় এবং ৩১-০১-২০১৮ খ্রি: তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন মূলে (এস. আর. ও নং ৪৫-আইন/২০১৮, তারিখ ২৯-০১-২০১৮) নিম্নতম মজুরি বোর্ডেগার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য নিয়োগ করা হয়।
    অতঃপর নিম্নতম মজুরি বোর্ডগার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত সকল শ্রেণির শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরি হারের সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অধিশাখা-৬ এর পত্র নং ৪০.০০.০০০০.০১৬.০৩২.০০১-৪৯, তারিখ : ১৪-০৮-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ মূলেগার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত সকল শ্রেণির শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি হারের সুপারিশ প্রণয়নের সময়সীমা ০২ (দুই) মাস বৃদ্ধি করা হয়। বোর্ড সংশ্লিষ্ট শিল্পের মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও সংশ্লিষ্ট শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যের বোর্ডে দাখিলকৃত মজুরি প্রস্তাব এবং গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ হতে দাখিলকৃত স্মারকলিপি/মজুরি প্রস্তাবসহ শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, জীবযাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ্য, দেশের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসক্সিগক বিষয় পর্যালোচনা করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩৯ ধারা মোতাবেক “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত সকল শ্রেণির শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরি হার নির্ধারণের বিষয়ে নিম্নতম মজুরি বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট নিম্ন লিখিতভাবে খসড়া সুপারিশ পেশ করিল:
১। এই সুপারিশে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরি হার বাংলাদেশে অবস্থিত সকল এলাকার “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য হইবে।
২। এই সুপারিশে উল্লিখিত পদের অতিরিক্ত কোনো পদ সংশ্লিষ্ট শিল্পে পূর্ব থেকে বিদ্যমান অথবা পরবর্তীতে সংযোজিত হইলে উহা যথাযথ শ্রেণিতে/গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে। সুপারিশে উল্লিখিত পদসমূহ নারী ও পুরুষ শ্রমিক সকলের জন্য প্রযোজ্য হইবে।
৩। উক্ত শিল্প সেক্টরের তপশিলে উল্লিখিত শ্রমিক বর্তমানে যে গ্রেডে কর্মরত আছেন সেই গ্রেডেই তাহাকে স্থলাভিষিক্ত করিয়া এই মজুরি কাঠামোর সহিত সমন্বয়পূর্বক তাহার মজুরি নির্ধারণ করিতে হইবে। কোনো শ্রমিককে নিম্ন গ্রেডভুক্ত করা যাইবে না।
৪। এই সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির পর হইতে উক্ত শিল্প সেক্টরের মালিকগণ তপশিলে উল্লিখিত পদবিন্যাস অনুযায়ী শ্রমিককে যথাযথ পদে সন্নিবেশিত করিয়া মজুরি রেজিস্টারভুক্তকরত মজুরি সি
øপ প্রদান করিবেন।
৫। তপশিল “ক” ও “খ” এ উল্লিখিত মজুরি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককগণের মাসিক নিম্নতম মজুরি হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত নিম্নতম মজুরি অপেক্ষা কম মজুরি প্রদান করা যাইবে না, তবে উক্ত নিম্নতম মজুরি অপেক্ষা অধিক হারে মজুরি প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা হ্রাস করা যাইবে না।
৬। নিয়োগকর্তা বা মালিকপক্ষ ইচ্ছা করিলে স্ব-উদ্যোগে বা এককভাবে বা যৌথ উদ্যোগে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কোনো শ্রমিক অথবা শ্রমিকগণকে অধিক হারে মজুরি প্রদান করিতে পারিবেন।
৭। উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিক ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োজিত হইয়া মজুরি প্রাপ্ত হইয়া থাকিলে উক্ত শ্রমিকও বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২(৬৫) অনুযায়ী “শ্রমিক” বলিয়া গণ্য হইবেন। উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিকের ঠিকাদারের নিকট প্রাপ্য পাওনাদির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হইলে তাহার দায়দায়িত্ব মালিকপক্ষের উপর বর্তাইবে। ঠিকাদার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সুপারিশের আলোকে সরকার কর্তৃক শ্রমিকের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরি অপেক্ষা কোনক্রমেই কম মজুরি প্রদান করিতে পারিবেন না।
৮। শর্ত ৭ এ উল্লিখিত নিয়োগকারী ঠিকাদার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১২১, ধারা ১৫০ এবং ধারা ১৬১ এর বিধান মোতাবেক মালিকের ন্যায় একইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
৯। উক্ত শিল্প সেক্টরের মালিক যদি সোয়েটারসহ অন্যান্য “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত শ্রমিকগণকে ফুরন ভিত্তিক (চরবপব ৎধঃব) মজুরি প্রদান করিয়া থাকেন, তবে তপশিলে উল্লিখিত হারে ও উপরি-উক্ত শর্তাধীনে মজুরির হার এইরূপ হারে সংশোধন করিতে হইবে যাহাতে তাহারা বিভিন্ন শ্রেণিভুক্ত শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত নিম্নতম মজুরি অপেক্ষা কম মজুরি প্রাপ্ত না হন।
১০। তপশিলে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরি ও বিভিন্ন ভাতাদি ছাড়াও শ্রমিক কর্মরত প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য যে সকল অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা পাইয়া থাকেন তাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক বলবৎ, অব্যাহত থাকিবে। ১১। এই সুপারিশে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরি সমন্বয় করে ০১ (এক) বৎসর কর্মরত থাকার পর শ্রমিকগণের মূল মজুরির ৫% হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে মজুরি বৃদ্ধি পাইবে। পরবর্তী বৎসরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় মূল মজুরির ৫% হারে বৃদ্ধি পাইবে। সোয়েটারসহ অন্যান, “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরে ফুরন ভিত্তিক (চরবপব ৎধঃব) মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকগণও বাৎসরিক ভিত্তিতে মূল মজুরির ৫% হারে মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা পাইবেন।
ব্যাখ্যা : যদি একজন শ্রমিকের মূল মজুরি ৪১০০/- (চার হাজার একশত) টাকা হয়; তবে একবছর কর্মরত থাকার পর তাহার বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি পাইয়া মূল মজুরি ৪৩০৫/- (চার হাজার তিনশত পাঁচ) টাকা নির্ধারিত হইবে। পরবর্তী বছরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় ৫% হারে বৃদ্ধি পাইবে। অর্থাৎ মূল মজুরি ৪৩০৫/- (চার হাজার তিনশত পাঁচ) টাকার ৫% বৃদ্ধি পাইয়া ৪৫২০.২৫ (চার হাজার পাঁচশত বিশ টাকা পঁচিশ পয়সা) টাকা নির্ধারিত হইবে।
১২। উক্ত শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত শ্রমিকগণ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুযায়ী ভাতাদি এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন।
১৩। শ্রমিকগণের কর্মঘণ্টা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে।
১৪। এই সুপারিশের কোনো অংশ প্রচলিত বাংলাদেশ শ্রম আইন/বিধি এর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে সেই অংশটুকু বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

তপশিল “ক”
শ্রমিক মজুরি
শ্রমিক পদবিন্যাস ও
শ্রেণি বিভাগ
মূল মজুরি
(টাকা)
বাড়ি ভাড়া
ভাতা (টাকা)
(মূল মজুরির
৫০%)
চিকিৎসা
ভাতা
(টাকা)
যাতায়াত
ভাতা
(টাকা)
খাদ্য
ভাতা
(টাকা)
সর্বমোট
মজুরি
(টাকা)
গ্রেড-১ :
১। প্যাটার্ন মাস্টার ২। চীফ কোয়ালিটি
কন্ট্রোলার
৩। চীফ কাটিং মাস্টার/
কাটিং চীফ
৪। চীফ মেকানিক
১০৪৩৬/-
৫২১৮/-
৬০০/-/
৩৫০/-
৯০০/-
১৭৫০৪/-
গ্রেড-২ :
১। মেকানিক/ইলেকট্রিশিয়ান
২। কাটিং মাস্টার
৮৫১৪/-
৪২৫৭/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
১৪৬২১/-
গ্রেড-৩ :
১। সিনিয়র অপারেটর (সকল ধরনের মেশিনের জন্য)
২। সিনিয়র কাটার
৩। সিনিয়র কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর/সিনিয়র কোয়ালিটি অডিটর
৪। সিনিয়র মার্কার/সিনিয়র ড্রইং ম্যান
৫। সিনিয়র স্ক্রিন এক্সপোজার
৬। সিনিয়র আয়রণম্যান
৭। সিনিয়র স্যাম্পলম্যান/স্যাম্পল মেশিনিস্ট
৮। জুনিয়র মেকানিক
৯। জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান
১০। সিনিয়র লাইন লিডার
৫১৫২/-
২৫৭৬/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
৯৫৭৮/-
গেড-৪ :
১। অপারেটর (সকল ধরনের মেশিনের জন্য)
২। কাটারম্যান/নিডলম্যান/ সিজারম্যান
৩। কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর/ কোয়ালিটি অডিটর
৪। মার্কার/ড্রইংম্যান
৫। ইস্যুম্যান/ইনপুটম্যান
৬। বান্ডলিং ম্যান/নাম্বারিং ম্যান
৭। অটো স্প্রেডার/লে-ম্যান ৮। পলিম্যান/প্যাকিং ম্যান/ ফোল্ডিং ম্যান
৯। ট্যাগম্যান/স্পটম্যান/ রিসিভম্যান
১০। প্রিন্টার/পেইন্টার/ ড্রায়ারম্যান
১১। স্ক্রিন এক্সপোজার
১২। আয়রণম্যান/প্রেসিংম্যান ১৩। ওয়েল্ডার/ফিটার/প্লাম্বার ১৪। স্যাম্পলম্যান
১৫। ডিস্ট্রিবিউটর
১৬। সাধারণ মেকানিক ১৭। সাধারণ ইলেকট্রিশিয়ান ১৮। লাইন লিডার।
৪৯৩০/-
২৪৬৫/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
৯২৪৫/-
গেড-৫ :
১। জুনিয়র অপারেটর (সকল ধরনের মেশিনের জন্য)
২। জুনিয়র কাটারম্যান/ জুনিয়র নিডলম্যান/ জুনিয়র সিজারম্যান ৩। জুনিয়র কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর/জুনিয়র কোয়ালিটি অডিটর
৪। জুনিয়র মার্কার/জুনিয়র ড্রইংম্যান
৫। জুনিয়র ইস্যুম্যান/জুনিয়র ইনপুটম্যান
৬। জুনিয়র বান্ডলিং ম্যান/ জুনিয়র নাম্বারিং ম্যান
৭। জুনিয়র অটো স্প্রেডার/ জুনিয়র লে-ম্যান
৮। জুনিয়র পলিম্যান/জুনিয়র প্যাকিং ম্যান/জুনিয়র ফোল্ডিং ম্যান
৯। জুনিয়র ট্যাগম্যান/জুনিয়র স্পটম্যান/জুনিয়র রিসিভম্যান
১০। জুনিয়র প্রিন্টার/জুনিয়র পেইন্টার/জুনিয়র ড্রায়ারম্যান
১১। জুনিয়র স্ক্রিন এক্সপোজার
১২। জুনিয়র আয়রণম্যান/ জুনিয়র প্রেসিংম্যান
১৩। জুনিয়র ওয়েল্ডার/জুনিয়র ফিটার/জুনিয়র প্লাম্বার
১৪। জুনিয়র স্যাম্পলম্যান
১৫। জুনিয়র ডিস্ট্রিবিউটর
১৬। সহকারী মেকানিক
১৭। সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান
৪৬৭০/-
২৩৩৫/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
৮৮৫৫/-
গেড-৬ :
১। সাধারণ অপারেটর (সকল ধরনের মেশিনের জন্য)
২। সাধারণ কাটারম্যান/সাধারণ নিডলম্যান/সাধারণ সিজারম্যান
৩। সাধারণ কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর/সাধারণ কোয়ালিটি অডিটর
৪। সাধারণ মার্কার/সাধারণ ড্রইংম্যান
৫। সাধারণ ইস্যুম্যান/সাধারণ ইনপুটম্যান
৬। সাধারণ বান্ডলিং ম্যান/ সাধারণ নাম্বারিং ম্যান ৭। সাধারণ অটো স্প্রেডার/ সাধারণ লে-ম্যান ৮। সাধারণ পলিম্যান/ সাধারণ প্যাকিং ম্যান/ সাধারণ ফোল্ডিং ম্যান
৯। সাধারণ ট্যাগম্যান/ সাধারণ স্পটম্যান/ সাধারণ রিসিভম্যান
১০। সাধারণ প্রিন্টার/ সাধারণ পেইন্টার/সাধারণ ড্রায়ারম্যান
১১। সাধারণ স্ক্রিন এক্সপোজার
১২। সাধারণ আয়রণম্যান/ সাধারণ প্রেসিংম্যান
১৩। সাধারণ ওয়েল্ডার/সাধারণ ফিটার/সাধারণ প্লাম্বার
১৪। সাধারণ স্যাম্পলম্যান
১৫। সাধারণ ডিস্ট্রিবিউটর
৪৩৬৬/-
২১৮৩/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
৮৩৯৯/-
গ্রেড-৭:
১। সহকারী অপারেটর (সকল ধরনের মেশিনের জন্য)
২। সহকারী কাটারম্যান সহকারী নিড়ম্যান সহকারী সিজারম্যান
৩। সহকারী কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর/ সহকারী কোয়ালিটি অডিটর
৪। সহকারী মার্কার সহকারী ড্রইং ম্যান
৫। সহকারী ইসু ম্যান সহকারী ইনপু টম্যা সহকারী বান্ডলিং ম্যান। সহকারী নাম্বারিং ম্যান
৭। সহকারী অটো স্প্রেডার সহকারী লে-ম্যান
৮। সহকারী পলি ম্যান সহকারী প্যাকিং ম্যান সহকারী ফোল্ডিং ম্যান।
৯। সহকারী ট্যাগম্যান সহকারী স্পটম্যান সহকারী রিসিভম্যান
১০। সহকারী প্রিন্টার/ সহকারীপেইন্টার/ সহকারী ড্রায়ারম্যান
১১। সহকারী স্ক্রি এক্সপােজার
১২। সহকারী ওয়েল্ডার/ সহকারী | ফিটার/ সহকারী প্লাম্বার
১৩। সহকারী স্যাম্পলম্যান
১৪। সহকারী ডিস্ট্রিবিউটর
১৫। ফিনিশিং সহকারী
১৬। সু তা ঝাড়সহকারী।
৪১০০/-
২০৫০/-
৬০০/-
৩৫০/-
৯০০/-
৮০০০/-