শ্রমিক আন্দোলন ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে কিছু সাধারণ ভাবনা
প্রকাশ করতে চাই। সাধারণ ভাবনার মধ্যে থেকে যে করণীয় সম্পর্কে নিজের মন
থেকে তাগিদ পাই সেই করণীয়টা অবশ্য অন্যতম প্রধান করণীয় বলেই মনে করি। তা
হলো: শ্রেণি সংগ্রামের কর্মী হিসেবে বর্তমান শ্রেণি বিভক্ত পুঁজিবাদী
সমাজকে পরিবর্তন করে শ্রেণিহীন, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও সমাজতান্ত্রিক সমাজ
বিনির্মাণের মাধ্যমে সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বর্তমানে শ্রেণি
বিভক্ত এই সমাজে হাতে গোনা কতিপয় পুঁজিপতি শোষণের দ্বারা বিপুল অর্থের
মালিক হয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারছে, এই ব্যবস্থা তাদেরই স্বার্থে
টিকিয়ে রেখে চলছে। শতকরা ১ ভাগ হয়েও ৯৯ ভাগ মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলী
দিয়ে পুঁজিবাদীরা টিকে থাকতে পারছে। তারা নানরকম অপকৌশল করে থাকে। মানুষকে
শোষণ করে, লুটপাট করে, ঠকিয়ে আবার সেই মানুষকেই কৌশলে দারিদ্র্যতার সুযোগ
নিয়ে নিজের পক্ষে রাখতে সক্ষম হয় পুঁজিপতিরা। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
পরিবর্তনের মূল শক্তি সমাজের প্রধান চালিকাশক্তি শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্টদের লড়াই-সংগ্রামের গৌরবগাঁথা ইতিহাস আছে, অনেক
সুনাম-সম্মান আছে। শ্রমিকের আন্দোলন, কৃষকের আন্দোলসহ অসংখ্য, আন্দোলনে
নেতৃত্ব দিয়েছে কমিউনিস্টরা। এখন শক্তি অর্জন করা জরুরি। বিপ্লবী বাহিনী
তৈরি করা জরুরি। শ্রেণি ভিত্তিসম্পন্ন পার্টি জরুরি। লুটেরা ধনিকরা শতকরা
একজন হওয়ায় শতকরা ৯৯ জনকে নানাভাবে সুবিধাবাদী ধারার মধ্যে নিমজ্জিত করে
রাখছে। কখনও কোনো বিষয়ে কিছুটা চাপ মনে করলেই সমন্বয় করে বিপ্লবী ধারার
থেকে দূরে রাখতে সুবিধাবাদী ধারায় আবদ্ধ রাখা হচ্ছে শ্রমিকশ্রেণিকে। এসব
অপকৌশল ষড়যন্ত্রের মাঝ থেকে বের আসতে হবে। যেই শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ছাড়া
কোনো কিছুই উৎপাদন হয় না কোনো কিছুই পরিচালিত হয় না, সেই শ্রমজীবী মানুষই
হলো এই দেশ এই দুনিয়ার প্রধান পরিচালক। রথের রশিটা তাদের হাতেই। এই জগতের
সকল বস্তু, সকল সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর এই শ্রমিকশ্রেণি। এই কারিগররাই
আজ সবচেয়ে বেশি শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত-নিপীড়িত। সমাজের সবকিছুরই নির্মাতা
যারা তাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে সমাজ সর্বত্র আজ
ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কমিউনিস্ট বামপন্থিদের হিসাব মেলানো জরুরি যে,
পার্টির সকল স্তরে কোন শ্রেণির লোক এবং কোন শ্রেণি থেকে আগতরা অধিকতর
থাকবে। কখনও কখনও সহজভাবে বিতর্ক হয় যে, যারা পার্টির সভ্য সকলেই
শ্রমিকশ্রেণির। পার্টির সভ্য হলে তিনি অবশ্যই শ্রমিক শ্রেণির, কিন্তু
কাগজেপত্রে থাকলে পরিবর্তন হবে না। পরিবর্তনের জন্য পার্টির মূল ভিত্তি হতে
হবে শ্রমজীবী মানুষ। কেননা পুঁজিপতিরা কে কেমন ও বুর্জোয়া দলগুলোর কে ভাল
কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর কে বিপক্ষের এসব প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক।
কিন্তু আমাদের কমিউনিস্টদের মনে রাখতে হবে পুঁজির ধর্ম মুনাফা, অধিক
মুনাফা, অধিক মুনাফার লোভে পুঁজিপতিরা মানুষ, মানবতা, মূল্যবোধহীন হয়ে যায়।
এমনকি এক পর্যায়ে তারা মানব থেকে দানবে পরিণত হয়। পুঁজিপতিরা মনে করে যে,
পুঁজি/টাকাই হলো উৎপাদনের এমনকি সকল কিছুর মূল। শ্রমের ফলেই যে সকল উৎপাদন
এবং পরিবর্তন হয় এটা তারা বিশ্বাস করে না। যার ফলে পুঁজিপতি যেই হোক,
পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক দল যেটাই হোক নেতা যারাই হোক
তাদের সাথে আমাদের আদর্শিক এবং মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। তাই কমিউনিস্টদের
মৌলিক কাজ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র কায়েম করার মাধ্যমে
শ্রমিকশ্রেণির মুক্তি নিশ্চিত করা। যারা কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন কমিটির
নেতৃত্বে দায়িত্বে আছেন কিন্তু শ্রমিকশ্রেণির সাথে কোনো সম্পর্ক নাই তারা
কীভাবে বিপ্লব করবেন? যারা শুধু বছরের পর বছর যুগের পর যুগ পার্টি করছেন,
বিভিন্ন দিবস পালন করছেন, কখনও কখনও ঊর্ধ্বতন কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি পালন
করছেন, গঠনতান্ত্রিক বিধান অনুসারে প্রতিবছর নবায়ন করছেন, সময়মত সম্মেলন
করছেন, কমিটি করছেন অথচ শ্রমিক শ্রেণির সঙ্গে শ্রমদাসদের সঙ্গে কোনও
সম্পর্ক সংযোগ তৈরি করছেন না- শেষ পর্যন্ত তাদের এই প্রয়াসগুলোও কাক্সিক্ষত
আলোর পথে বাধার মুখে পড়ছে, পড়বে। এইসব বিপ্লবীদের শ্রমিকের সাথে কৃষকের
সাথে শ্রমদাসদের সাথে সম্পর্ক নাই। তারা শ্রমদাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য কখনও
শ্রমিক সংগঠনও করেন না আর শ্রমজীবীদের পার্টিতেও অন্তর্ভুক্ত করেন না।
তারা নামমাত্র কমিউনিস্ট পার্টি করলেও প্রকারান্তরে কমিউনিস্ট পার্টির
মৌলিক কাজ করছেন না। ফলে কমিউনিস্ট পার্টির প্রত্যেক সদস্য, সকল কমিটির
প্রধান কাজ হতে হবে শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন গড়ে তোলা, আন্দোলন-সংগ্রামের
মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষকে বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে পার্টিতে টেনে আনা।
তবে একইসঙ্গে জাতীয় অন্যান্য ইস্যুকে বাদ দিলেও চলবে না। শ্রেণি
দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক থাকলে চলমান জাতীয় নানান ইস্যু এবং শ্রেণি ইস্যুতে জনগণকে
বিশেষ করে শ্রমজীবী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং
সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম যথাযথভাবে অগ্রসর করতে হবে। অর্থনীতিবাদী সুযোগ
সুবিধার আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, সুযোগ সুবিধার
আন্দোলন যেন সুবিধাবাদী ধারায় ধাবিত না হয়। সুযোগ সুবিধার লড়াইয়ের মাধ্যমে
জনগণের সামনে বুর্জোয়া শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী চরিত্র
উন্মোচিত করা এবং জনগণের মাঝে পরিবর্তনের জোয়ার এনে বিপ্লবী সংগ্রামে সামিল
করতে হবে। আর তা যথাযথভাবে করতে হলে বর্তমান সরকার এবং অতীতের সরকারগুলোর
অবস্থান জনগণের সামনে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে চলার ফলে বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে ডামাঢোল
বাজায় তা শুধুমাত্র বুলি আওড়ানোই বলতে হবে। সমাজের সর্বত্রই লুটপাটতন্ত্র,
সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত হতে হতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট, ক্ষুব্ধ,
দিশেহারা এবং হতাশ। এই হতাশা দূর করতে হলে যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে অর্থবহ
আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। যেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষোভ-হতাশা
কাটিয়ে সৃষ্টিশীল শ্রেণি শ্রমিক শ্রেণির মাঝে লড়াইয়ের উৎসাহ যেমন সৃষ্টি
করতে হবে তেমনি বিপ্লবী চেতনাভিত্তিক সংগঠনগুলোকেও একইসঙ্গে অগ্রসর করতে
হবে। সেক্ষেত্রে যে ক্ষেত্র এবং ইস্যুটির কথা আমি বলছিলাম, বর্তমান শ্রম
আইন অনুসারে বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৬ লাখ শ্রমিক, যারা ট্রেড ইউনিয়ন করার
অধিকার রাখে। তবে এর বাস্তবায়ন নাই। কারণ মালিকরাই সরকার, শ্রম মন্ত্রণালয়,
শ্রম অধিদপ্তর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। যে শ্রম ছাড়া তাদের পক্ষে কোনোভাবেই
চলা সম্ভব না মালিকরা সেই শ্রমের প্রতি কোনও সম্মান দেখায় না। এটা বুঝিয়ে
দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রধান শক্তিটাও যে শ্রমজীবী মানুষ তা বুঝিয়ে
দিতে হবে। অতীতে হয়তো হাতে গোনা কয়েকটি শহরে কিছু শিল্প শ্রমিক ছিল। এখন
অধিকাংশ জেলায় শিল্প আছে। দেশের সকল উপজেলায়, ইউনিয়নে এমনকি সকল গ্রামে
শ্রমিক আছে। যেমন, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, সেলুন দোকান ও
বিউটি পার্লার, পেট্রোল পাম্প এর শ্রমিক, অটো মোবাইল ওয়ার্কশপ শ্রমিক,
স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, স’মিল, স্পিনিং শিল্প শ্রমিক,
ফার্নিচার শ্রমিক, ইটের ভাটা/ইট প্রস্তুতকারক শ্রমিক, রাইস মিল/চাতাল
শ্রমিক, কুলি শ্রমিক/নির্মাণ শ্রমিক, মৎস্য খামার শ্রমিক, ডেইরি ফার্ম
শ্রমিক, পোলট্রি ফার্ম, নার্সারি শ্রমিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির শ্রমিক,
সাবান শিল্প শ্রমিক, স্বর্ণকার শ্রমিক, ডেকোরেটর শ্রমিক, প্যাকেজিং শিল্প
শ্রমিক, ফটোগ্রাফার শ্রমিক, ফেরিওয়ালা শ্রমিক, জেলে শ্রমিক,
ব্যক্তিমালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক, ব্যক্তিমালিকানাধীন অভ্যন্তরীণ নৌ
পরিবহন শ্রমিক, দর্জি শ্রমিক, হস্তচালিত তাঁত শ্রমিক, হোসিয়ারি শ্রমিক, চা
শিল্প শ্রমিক, বিড়ি শিল্প শ্রমিক, ছাপাখানা শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক,
রেস্তোরাঁ শ্রমিক, সিনেমা বেং থিয়েটার শ্রমিক, অটোবাইক শ্রমিকসহ
অঞ্চলভিত্তিক এমন আরো অনেক রকম শ্রমিক আছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প
গার্মেন্ট, জুট, টেক্সটাইল, ওষুধ, সিরামিকস, স্টিল ইঞ্জিনিয়ারিং, রিরোলিং
বড় বড় মোটর ছাড়াও অপ্রাতিষ্ঠানিক ৬২টি খাত আছে। কমিউনিস্টদের মৌলিক কর্তব্য
মানুষের ওপর মানুষের শোষণের অবসান ঘটানো। দাস সমাজ পরিবর্তিত হলেও
পুঁজিপতির নিকট শ্রমিক আজও শ্রম দাসত্ব স্বীকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এই
শ্রম দাসত্ব থেকে শ্রমিক শ্রেণিকে মুক্ত করার বিপ্লবী লড়াই অগ্রসর করতে
প্রাথমিক কাজটি জরুরি ভিত্তিতে শুরু করার বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে
শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আঘাত আসলে
পাল্টা আঘাত করতে হবে। বুঝেশুনেই একেরপর এক ইস্যু তৈরি করে আঘাত হানছে
পুঁজিপতি মালিকরা, আর আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত এবং প্রচার
আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছি। মার্কসবাদ এখন পর্যন্ত বৈষম্যহীন দুনিয়া
গড়ার সেরা মতবাদ। মার্কসবাদীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে, তেমনি লড়াই
সংগ্রাম ও সকল কর্মকাণ্ডে অগ্রসরমান ভূমিকা পালন করতে হবে। চেতনায় ধারণ
করতে হবে প্রতিমুহূর্তে, বিশ্বাস রাখতে যে কমিউনিস্ট পার্টি তাদের পার্টি
যাদের হাত ছাড়া এই দেশ এই দুনিয়া এক মুহূর্তও চলতে পারে না। ফলে আমরা
শ্রমিক শ্রেণি সাহসিকতার সাথে তীব্র সংগ্রামের মাধ্যমে বুর্জোয়া ব্যবস্থার
উচ্ছেদ করতে অবশ্যই পারবো। বাংলাদেশে তার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি বিরাজ
করছে। মনে করিয়ে দিতে চাই, নরম হাতে ধরলে লোহা এবং কাচকে একই পরিমাণ শক্ত
মনে হবে। বাস্তবে একরকম নয় একটু আঘাত করতে পারলেই যেমন কাচ ভেঙে যায় তেমনি
একটা আঘাত করতে পারলেই বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ভেঙে যাবে। এই শ্রেণি
সংগ্রাম শ্রেণি সংঘর্ষ ছাড়া হবে না। এই সংঘর্ষ নিরাপদ কর্মসূচি দিয়ে হবে
না। সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায় এবং দাবি আদায়ের সফলতার পথ ধরে বিপ্লব
করতে হবে। আসুন শ্রেণি সচেতন বিপ্লবী ধারার সফল সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ি। যেই
সংগ্রামের সফলতার পথ ধরেই গড়ে উঠবে বিপ্লবী বাহিনী। পুঁজিবাদের কবর রচনা
করে সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ কায়েম করতে অবশ্যই সক্ষম হবো।
লেখক : কাজী রুহুল আমিন, কার্ষকারী সভাপতি, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র এবং সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটি ।
(১৪ জানুয়ারী ২০১৮, সাপ্তাহিক একতায় প্রকাশিত)
লেখক : কাজী রুহুল আমিন, কার্ষকারী সভাপতি, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র এবং সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটি ।
(১৪ জানুয়ারী ২০১৮, সাপ্তাহিক একতায় প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন