তাজরিন ফ্যাশন শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পুর্তি উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর
২০১৮, সকাল ৭.৩০ মিনিটে তাজরিন ফ্যাশন কারখানার গেইটে নিহত-আহত শ্রমিকদের
প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ কর্মসুচি পালন করেন, বাংলাদেশ
গার্মেন্ট ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক
কমিটি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল
মামুন, বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, কার্যকারী
সভাপতি লুতফর রহমান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাজাহান, বাংলাদেশ
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক
মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাজরিনের আহত শ্রমিক জরিনা বেগম, সবিতা রানী, রানা
প্লাজা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি এমদাদুল ইসলাম।
সমাবেশে খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ২০১২ সালের এই দিনে তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় ১১৪ জন শ্রমিককে। আহত হয়েছিল সহস্রাধিক। যার মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক পঙ্গুহয়ে গেছে। ঢাকা জেলাধীন আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুরে তোবাগ্রুপের এই কারখানাটি ছিল একটি মুত্যুকূপ। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে জীবনে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্বকে জীবন সাথী করে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শ্রমিকেরা। সারা জীবনের জন্যই কর্মক্ষমতা হারিয়ে না খেয়ে মরতে বসেছে শ্রমিকেরা। মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেমানবেতর জীবন কাটাচ্ছে শ্রমিকেরা। যখন জীবন্ত মানুষের তাজা শরীর রক্ত মাংস আগুনে পুড়ছে আর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে, তাজরিন ফ্যাশন নামের মৃত্যুকূপের খুনি মালিক দেলোয়ার হোসেন তখনও কারখানার গেটের তালা খোলেনি। অনেকে জীবন বাঁচাতে ৪-৫ তলা থেকে লাফ দিয়ে মরছে, হাত-পা ভাঙছে, শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শোনার পরও মালিক গেট খুলতে নিষেধ করছিলো কেননা, মালিকরা শ্রমিকদের মানুষই মনে করে না। মালিকের কাছে মানবতা নয়, মুনাফাই প্রধান। মুনাফার নেশায় বিভোর মালিক। হাজার হাজার শ্রমিকের জীবনের চেয়ে তার সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দেওদয়ার হুকুম জারি করেছিলেন। ভিতরে পুড়ে মরুক আর যাই হোক গেটের তালা খোলা যাবে না। পুঁজিপতিরা পুঁজি বাড়ানো ও মুনাফার লোভে মানব থেকে দানবে পরিণত হয়। তাজরিন ফ্যাশন, রানা প্লাজা, কেটিএস, স্পেকট্রাম, ইত্যাদি হত্যাকাণ্ড তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। তাই তাজরিন ফ্যাশন ও রানা প্লাজায় নিহত-আহত সকল শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে সমগ্র জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পূনবাশন ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা সেবা, সন্তানের লেখাপড়া নিশ্চিত, তাজরিন ফ্যাশন ও রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের জন্য কারখানার মালিকসহ দায়ী বেক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান।
সমাবেশে খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ২০১২ সালের এই দিনে তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় ১১৪ জন শ্রমিককে। আহত হয়েছিল সহস্রাধিক। যার মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক পঙ্গুহয়ে গেছে। ঢাকা জেলাধীন আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুরে তোবাগ্রুপের এই কারখানাটি ছিল একটি মুত্যুকূপ। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে জীবনে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্বকে জীবন সাথী করে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শ্রমিকেরা। সারা জীবনের জন্যই কর্মক্ষমতা হারিয়ে না খেয়ে মরতে বসেছে শ্রমিকেরা। মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেমানবেতর জীবন কাটাচ্ছে শ্রমিকেরা। যখন জীবন্ত মানুষের তাজা শরীর রক্ত মাংস আগুনে পুড়ছে আর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে, তাজরিন ফ্যাশন নামের মৃত্যুকূপের খুনি মালিক দেলোয়ার হোসেন তখনও কারখানার গেটের তালা খোলেনি। অনেকে জীবন বাঁচাতে ৪-৫ তলা থেকে লাফ দিয়ে মরছে, হাত-পা ভাঙছে, শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শোনার পরও মালিক গেট খুলতে নিষেধ করছিলো কেননা, মালিকরা শ্রমিকদের মানুষই মনে করে না। মালিকের কাছে মানবতা নয়, মুনাফাই প্রধান। মুনাফার নেশায় বিভোর মালিক। হাজার হাজার শ্রমিকের জীবনের চেয়ে তার সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দেওদয়ার হুকুম জারি করেছিলেন। ভিতরে পুড়ে মরুক আর যাই হোক গেটের তালা খোলা যাবে না। পুঁজিপতিরা পুঁজি বাড়ানো ও মুনাফার লোভে মানব থেকে দানবে পরিণত হয়। তাজরিন ফ্যাশন, রানা প্লাজা, কেটিএস, স্পেকট্রাম, ইত্যাদি হত্যাকাণ্ড তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। তাই তাজরিন ফ্যাশন ও রানা প্লাজায় নিহত-আহত সকল শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে সমগ্র জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পূনবাশন ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা সেবা, সন্তানের লেখাপড়া নিশ্চিত, তাজরিন ফ্যাশন ও রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের জন্য কারখানার মালিকসহ দায়ী বেক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন