Bbw÷wUDU di Gbfvqib‡g›U A¨vÛ †W‡fjc‡g›U (AvBBwW) hye msjvc
7 †m‡Þ¤^i 2019, †nvqvBU K¨‡mj †i÷z‡i›U, XvKv
লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু
প্রকৃত অর্থে শ্রম কি এবং শ্রমিক কারা । যে কোন কাজ করাকেই শ্রম বলা হয়। যিনি শ্রম
বিনিয়োগ করে উপার্জন করেন এবং তা দিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করেন, তিনিই শ্রমিক।
বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’র ১৪ নং ধারাতে বলা আছে-
‘’রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে, কৃ্ষক ও
শ্রমিককে এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।’’
জাতীয় শ্রমনীতি’র ভূমিকাতে বলা আছে-
‘’স্বাধীনতার জন্য সুদীর্ঘ ঐতিসাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের
অন্যতম অঙ্গীকার ছিল কৃ্ষক-শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের জন্য শোষণমুক্ত,
মর্যাদাসম্পন্ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা
এবং ১৯৭৫ খ্রিস্টব্দ পরবর্তী স্বৈরশাসক ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে
সর্বস্তরের জনগণের সাথে শ্রমজীবী মানুষের অবদান সর্বজনবিদিত।
বর্তমান শ্রমনীতির মূল উদ্দ্যশ্য শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে অধিকার সুরক্ষা, শোভন কর্মপরিবেশ ও সুস্থ শিল্প সম্পর্ক
প্রতিষ্ঠা,জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা ও প্রত্যাশার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে অধিকতর অবদান রাখার সূযোগ সৃষ্টিসহ জাতির
পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াসে দক্ষ মানব সম্পদ তৈ্রির মাধ্যমে বৈষম্য,
শোষণ, দারিদ্র ও কুসংস্কারমুক্ত সৃজনশীল ও কর্মমুখী শ্রমশক্তি গড়ে তোলা।
সর্বস্তরের জনগণের মানসম্মত জীবন যাত্রার প্রয়োজনীয় উপকরণ সংস্থান ও সেবামূলক
কার্যক্রম বৃ্দধির জন্য সুষম অর্থনৈ্তিক উন্নতি বিধান করা একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের
উন্নয়ন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
এরই প্রেক্ষাপটে সরকার এমন একটি ইতিবাচক, বাস্তবমুখী এবং ন্যায়সংগত নীতি
অনুসরণ করতে চায় যার ফলে শ্রমিক শ্রণীর ন্যায্য প্রপ্যতা নিশ্চিত হয়। পাশাপাশি
শ্রমিকরাও আন্তরিকভাবে উৎপাদন বৃ্দধিতে আত্ননিয়োগ করেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে মালিক
ও শ্রমিকসহ সকল পক্ষের আইন ও ন্যায়সংগত অধিকার এবং দায়িত্ববোধ সুসংহত হবে বলে
সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।‘’
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী-
ক) শ্রমিক অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা
উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন। যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন (ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর) মাধ্যমে
মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা
কেরানীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক তদারকি
কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত
হইবে না।”
কৃষি শ্রমিক অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি দৈনিক, মাসিক অথবা বাৎসরিক চুক্তির
ভিত্তিতে অথবা নির্দিষ্ট কোন কাজ সম্পাদনের চুক্তিতে মজুরীর বিনিময়ে কৃ্ষি কাজে
নিযুক্ত থাকেন।”
বাস্তবে কি? শ্রমশক্তি বিক্রি করে যে শ্রমিক, সেই শ্রমিক কি তার শ্রম সময়ের
মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে? কতোক্ষণ কাজ করলে, কতটুকু শ্রমের মূল্য পেলে তার জীবন
বিকশিত করার সুযোগ সে পাবে?
গার্মেন্ট কারখানা গুলোতে মোট প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। এই শ্রমশক্তির
শতকরা ৮০ ভাগই নারীশ্রমিক এবং তাদের সকলেই যুব। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এই শিল্পের মালিকরা সম্পদের পাহাড় গড়লেও শ্রমিকরা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।
বিশ্বসভ্যতা বিনির্মাণে শ্রমিক মেহনতি
মানুষের ভূমিকা ব্যাপক। আজ আমরা বিশ্বব্যাপী যে সকল উন্নতি ও অগ্রগতি, বিলাস, চাকচিক্য, জাকজমক দেখতে
পাই তার সব কিছুর পিছনেই আছে শ্রমিকের ঘাম। আশির দশকের শুরু থেকেই এই শ্রমশক্তিতে ব্যাপকভাবে যুক্ত হয়েছেন এদেশের প্রন্তিক নারীরা। উৎপাদনের চারটি
মূল উপাদানের অন্যতম প্রধান হলো শ্রম। জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রয়োগ ও আধুনিক
যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় ও সহজতর হলেও শ্রমিকবিহীন
উৎপাদন কখনও কল্পনা করা যায় না। সৃষ্টির শুরু থেকেই উৎপাদন ব্যবস্থায় এই শ্রম একটি অপরিহার্য্য উপাদান। কিন্তু যারা
যুগে যুগে এই শ্রম দিয়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন তারা মূলত এর তেমন কোনো ফল ভোগ করতে পারেনি কখনোই।
সম্পদের মালিকানাকে কেন্দ্র করে যে ব্যবস্থা বিকাশিত, সেখানে
দুটো আলাদা শ্রেণির অস্তিত্ব দৃশ্যমান অর্থাৎ একটা মালিক শ্রেণি ও অন্যটি শ্রমিকশ্রেণি।
এই শ্রেণী বিভাজিত ব্যবস্থায় শ্রমিককে মূলত দাসেত্বের শৃংখলে
বেধে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় ৪২টি আনুষ্ঠানিক খাত রয়েছে যেখানে
মাত্র ১৪ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছে। এই শ্রমিকের মজুরী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাবলী
সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় নীতি ও বিধিমালা রয়েছে। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের
বিষয়টি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে যথেষ্ট
দূর্বলতা ও অবহেলা লক্ষণীয়। তাছাড়াও কোনো কোনো আইন শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থীও বটে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ৬ কোটি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে
৮৬ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক যারা শ্রম আইনের আওতাভুক্ত নয়। এসকল শ্রমিকদের
অবস্থা আরও শোচনীয়। তারা বিভিন্নভাবে একটুখানি বেঁচে থাকার তাগিদে নীরবে তাদের
শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তারা
বিভিন্নভাবে শোষিত, বঞ্চিত, যার খবর আমরা
কেউ রাখিনা। তাদের কর্মঘণ্টা, বেতন/মজুরি কাঠামো বা অন্যান্য
সুযোগ সুবিধা দূরের কথা, কাজের স্বীকৃতি আজও সুনির্দিষ্ট বা স্পষ্ট নয়। তাদের সব
কিছুই মালিকের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। অথচ এই শ্রমিক বিহীন যেকোনো ব্যক্তি,
সমাজ এমনকি রাষ্ট্রও অচল।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের একটি বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে কৃষি এবং অন্যান্য
ছোট ও মাঝারি শিল্প। বাংলাদেশের শ্রম-নিয়োজনের ক্ষেত্রসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,
শ্রমজীবী মানুষের অবস্থান তিনটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ: (১) সরকারী
শিল্প শ্রমিক – পাট, টেক্সাটাইল, চিনি,
কাগজ প্রভৃতি (২) বেসরকারী শিল্প শ্রমিক – গার্মেন্ট, হালকা যান, পরিবহন, টেনারী
প্রভৃতি এবং (৩). অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প শ্রমিক – গৃহ শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, হকার
প্রভৃতি। তবে পরিতাপের বিষয় এই যে, একজন নারী কৃষি শ্রমিকের
যেমন সাংবিধানিক কোন স্বীকৃতি নেই তেমনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দেয়ার মতো
পরিচয়পত্রও নেই। এমনকি জীবন, স্বাস্থ্য, অক্ষমতা, মাতৃত্ব সম্বলিত সামাজিক নিরাপত্তা সুযোগ
এবং বৃদ্ধ বয়সের পেনশন / ভাতার সুযোগ নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও
শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বা জাতীয় বোর্ড গঠন এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক
কাঠামো প্রয়োজন।
কৃষিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ার ফলস্বরূপ
গ্রামাঞ্চলের এক বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠী (যাদের সিংহভাগই নিরক্ষর কিংবা আধা-দক্ষ)
কাজের সন্ধানে শহরমুখী হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে কিছুটা বাজার অর্থনীতি, অকৃষিজ পেশার
সুযোগ বৃদ্ধি, কাজের খোঁজে
শহরমুখী প্রবণতা এবং বহুমূখী শিল্পের অভাব– প্রধানত এই চারটি কারণে বাংলাদেশের
জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে ত্বরান্বিত করেছে। এর মাধ্যমে ফাটকাবাজী,
কালোবাজারী আর লুটপাটের অর্থনীতি বিকশিত হয়ে শ্রমিককে আরো আরো প্রান্তিক করছে।
গ্রাম-শহরে জন্ম নিয়েছে বিশাল আকৃতির এক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। এই খাতে কম মজুরিতে
কর্মরত লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবীর কর্ম নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। সুতরাং সামগ্রিকভাবে
স্থায়ীত্বশীল কর্মসংস্থান বাড়েনি। তৈরী হয়েছে এক জগাখিচুড়ি সমাজব্যবস্থা।
শ্রমবাজার কাঠামোতে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তা কোন অর্থনৈতিক অগ্রগতির নির্দেশক
নয় বরং এটাকে বলা যেতে পারে ‘কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি’।
বিশ্ববাস্তবতা
ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুফল হিসেবে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আইসিটি একটি
সম্ভাবনাময় নতুন শিল্পখাত। আশাকরা
যায়, এ খাত একদিন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে
উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এটি
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃদ্ধিশীল খাত। বাংলাদেশে
বৈদেশিক
মুদ্রা আয়ের
ক্ষেত্রে এর অবস্থান তৃতীয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে
এই খাত দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হতে
পারে, এমন সম্ভাবনা প্রবল। প্রতিবছর অসংখ্য তরুণ
আইসিটি খাতে
যুক্ত হচ্ছে।
অন্য
যেকোনো খাতের তুলনায় আইসিটি বেশ বিকশিত হচ্ছে। এই খাতেও রয়েছে নানা সমস্যা।
এরপরও মোটামুটিভাবে আমরা আমাদের আইসিটি খাত নিয়ে যথেষ্ট
আশাবাদী।
দেশের আইসিটি খাতের নানা সমস্যার
মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- আমাদের গ্রামের লোকেরা এখনও আইসিটি সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব; সার্বিকভাবে প্রায়োগিক
জ্ঞানের অভাব; ব্যান্ডউইডথের চড়া দাম; আইসিটি পণ্যের উচ্চমূল্য; ভালো হার্ডওয়্যার কারখানার
অভাব; অবকাঠামোগত সমস্যা এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ
সঙ্কট, পরিপূর্ণ ব্যান্ডউইডথ
ব্যবহারে হার্ডওয়্যার সঙ্কট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণ। দেশের ৬০ শতাংশ মানুষের বসবাস গ্রামে। দুঃখজনক
ব্যাপার হলো, এই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর তেমন কোনো প্রাযুক্তিক জ্ঞান নেই বললেই
চলে। তাদের সন্তানদেরও রয়েছে প্রাযুক্তিক জ্ঞানের অভাব। সফলতার সাথে
এই জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত করা গেলে তা হবে বড় ধরনের একটি অর্জন।
ব্যান্ডউইডথের উচ্চমূল্য এ খাতের জন্য একটি বড় সমস্যা।
বিশ্বের, অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ব্যান্ডউইডথের
মূল্য সবচেয়ে বেশি। অথচ এই ব্যান্ডউইডথ
হচ্ছে আইটি শিল্পের জ্বালানি। আমরা আমাদের আইটি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার
কারখানা গড়ে তুলতে না পারলেও তরুণদের উদ্যোগে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠছে সফটওয়্যার
শিল্প। আইসিটি শিল্পের অনেক খাতে আমাদের বেশ কিছু অর্জন থাকলেও
পিসি, ল্যাপটপ, মোবাইল সেট ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য আইটি পণ্যে দাম
এখনও অনেক বেশি। এসবপণ্যের দাম একটি সাধারণের
ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে নিয়ে আসতে পারলে আরো বেশিসংখ্যক ব্যক্তি, শিক্ষত-প্রশিক্ষত তরুণকে আইসিটি
শ্রমিক
হিসেবে গড়ে
তোলার মাধ্যমে বেকার সমাস্যার সমাধান সম্ভব।
শ্রমের আরেকটি বড় খাত হলো বেসরকারি সংস্থা বা
এনজিও। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো
থেকে স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি
সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ,
১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধি,
১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন
পেয়ে থাকে। এ অধ্যাদেশে
নিবন্ধন গ্রহণকারী সংস্থাগুলো ১৫টি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের
জন্য নিবন্ধন নিয়ে থাকে। কার্যক্রমসমূহ হলো,
শিশু কল্যাণ, যুব
কল্যাণ, নারী
কল্যাণ, শারীরিক
ও মানসিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, পরিবার
পরিকল্পনা, সমাজবিরোধী
কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখা, সামাজিক
শিক্ষা, বয়স্ক
শিক্ষা, কারামুক্ত
কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, কিশোর
অপরাধীদের কল্যাণ, ভিক্ষুক
ও দুস্থদের কল্যাণ, দরিদ্র
রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, বৃদ্ধ
ও দৈহিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, সমাজকল্যাণকার্যে
প্রশিক্ষণ এবং সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।
এসব
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি, সময়মত বেতন ও ভাতাদি প্রদান, ছুটি, নিয়োগ ও
পরিচয়পত্র, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে দূর্ঘটনার ঝুঁকিসহ বিভিন্ন সমস্যা আছে কিন্তু শ্রম আইনে তাদের সুরক্ষার কোন
ব্যবস্থা নেই।
বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যার দিক থেকে বিপুল পরিমাণ সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে গ্রাম-শহরের
শ্রমজীবি মানুষ। অব্যাহত শোষণ-বঞ্চনা আর বৈষম্য শিকার তারা। ধনী-গরিবে বৈযম্য, দারিদ্র
ও বেকারত্ব বাড়ছে। সাংবিধানিক অধিকার ও শ্রম আইনের পাতায় লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে
তা প্রয়োগে নেই। আইএলও সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী হওয়া সত্ত্বেও
লোভ-লালসার-ক্ষমতার দাপটে ক্ষমতাবানরা দুর্বলকে ক্রমেই কোণঠাসা করছেন।
কাজেই বলা যায়, আমাদের দেশে
শ্রমিকদের অধিকার আজও সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। স্বাধীন শ্রম অধিকার চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক
সুযোগের ক্ষেত্র এখনই তৈরি করার সময় এসেছে। সময় এসেছে
প্রত্যেক শ্রমিক ন্যায্য মজুরী, উন্নত জীবন, কর্মনিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ
নিরসনের
মাধ্যমে উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে
দেশের
অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং
সকলে তার
সুফল ভোগ করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন