Biplobi Barta

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে চাওয়ার কারণে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের চাকুরী চ্যুত করেছে।



আশুলিয়া এলাকার জামগড়া এলাকার ফ্যাশনীট কোম্পানী লিমিটেড সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা গত ০৯ এপ্রিল-২০১৮ ইং তারিখ বেতন পাওয়ার সময় জানতে পারে তাদের পিস রেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রথমে শ্রমিকরা কম বেতন নিতে আপত্তি জানায় কিন্তু মাকিল পক্ষের পিসরেট বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাসে শ্রমিকরা সেইদিন বেতন নেন শ্রমিকরা সেইদিন আরো দাবী জানায় তাদের যে টিফিন ভাতা ও নাইট ভাতা দেওয়া হয় তা বাড়াতে হবে, মাতৃকালীন ছুটি, সার্ভিস বেনিট দিতে হবে, নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানী বন্ধ করতে হবে শ্রমিকরা দাবী জানানোর পরো নিয়মিত কাজ করতে থাকে
 
১০ এপ্রিল-২০১৮ ইং তারিখ শ্রমিকরা দাবীগুল জানানোর জন্য কারখানার কর্মকর্তাদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে কারখানার লিংকিং ইঞ্চার্জ কামাল হোসেন, সুপারভাইজার আল আমীন, সুপারভাইজার সিহাবসহ স্টাফরা মিলে আশা বেগম, আলপনা, রোকসানা, লাভলী, জাহান্নারাসহ অনেক নারী শ্রমিকদের লাঞ্চিত করে, আশা বেগমকে আহত অবস্থায় নারী ও শিশু হাস্পাতেলে ভর্তি করা হয়
কারখানা কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিক লাঞ্চিত কারী  লিংকিং ইঞ্চার্জ কামাল হোসেন, সুপারভাইজার আল আমীন, সুপারভাইজার সিহাব এর বিচার নিশ্চিত করবে এবং শ্রমিকদের দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস এর ভিত্তিতে শ্রমিকরা কাজ শুরু করে
 
১৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরের শ্রমিকদের দাবী বাস্তবায়ন না হাওয়ায় ২৫ এপ্রিল-২০১৮ ইং তারিখ কারখানা ছুটির পর শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষ আনিসুর রহমান পিটারের কাছে জানতে চান তাদের দাবী গুল কবে মানা হবে?। তিনি শ্রমিকদের বলেন যে, দাবী মানা হবেনা, তোমরা যে যে চাকুরী করতে চাও কর আর না করলে রিজাইন দিয়ে বের হয়ে যাও এর মাঝে  লিংকিং ইঞ্চার্জ কামাল হোসেন, সুপারভাইজার আল আমীন, সুপারভাইজার সিহাবসহ স্টাফরা শ্রমিকদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি বেধে যায় মারামারিতে শ্রমিক ও স্টাফ দুপক্ষের লোকই আহত হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ওসি সাহেব মামলা দায়ের না করে আলোচনা করে সমাস্যা সমাধানের কথা বলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা না করে শ্রমিকদের সাথে আরো খারাপ আচরণ করতে থাকে, শ্রমিকরা কেন নারী নির্যাতন অভিযোগ করলো এর জন্য হুমকি-ধামকি দিতে থাকে

শ্রমিকরা এই সব বিষয় গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিকনেতা খাইরুল মামুন মিন্টুকে জানানোর পর তিনি আশুলিয়া থানার ওসি জনাব আব্দুল আওয়ালকে সকল বিষয় অবহিত করেন ৩ মে ২০১৮ ইং তারিখ শ্রমিকরা কারখানাতে কাজ করতে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানায় যে তোমাদের কোন দাবী মানা হবেনা, সকল সেকশনের শ্রমিকরা এই কথা জানার পর তারা কারখনায় কাজ বন্ধ করে দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ কিচ্ছুক্ষণ পর কারখানা ছুটি ঘোষনা করে, শ্রমিকরা যারযার বাসায় চলে যায় বিকালে কারখানা কর্তৃপক্ষ আনিসুর রহমান পিটার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে ০৩ মে ২০১৮ ইং তারিখ রাত্রি ১২ টায় কারখানার শ্রমিক আশরাফুল, নাহীদ, রাসেল, রানাকে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে ০৪ মে ২০১৮ ইং তারিখ শুক্রবার ঢাকা কোর্টে চালান করে, কোর্ট শ্রমিকদের কথা শুনে জেলে না পাঠিয়ে শ্রমিকদের জামিন দিয়ে দেয় ০৫ মে ২০১৮ ইং তারিখ শ্রমিকরা তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত কাজ করবে না বলে জানায় বিকালে আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল আওয়াল ও গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিকনেতা খাইরুল মামুন মিন্টুসহ শ্রমিকদের সাথে থানায় আলোচনা হয় যে শ্রমিক লাঞ্চিত কারী  লিংকিং ইঞ্চার্জ কামাল হোসেন, সুপারভাইজার আলআমীন, সুপারভাইজার সিহাব এর বিচার নিশ্চিত করবে ও তাদের কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং শ্রমিকদের দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস এর ভিত্তিতে শ্রমিকরা কাজ শুরু করবেতার পরেও ০৬ মে ২০১৮ ইং তারিখ ভৌর ৫ টায় আশুলিয়া থানা পুলিশ দু-জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় এবং আরো ২০ জন শ্রমিককে কারখানাতে প্রবেশে বাধা দিলে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ করতে থাকলে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহারসহ শ্রমিকদের সকল দাবী মেনে নেন গ্রেফতার কৃত শ্রমিকদের মুক্ত করে সকল শ্রমিকদের কাজে যোগদান করে শ্রমিকরা সংগঠিত আন্দলের মাধ্যেমে তাদের দাবী আদায় করার পর শ্রমিকরা শান্তি পুর্ন ভাবে কাজ করে আসছিল
 
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং তারিখ শ্রমিকরা শান্তি পুর্ন ভাবে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পর শ্রমিকরা জানতে পারে ৬২ জন শ্রমিকের ছবিসহ নামে তালিকা কারখানার গেইটে নুটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা কারখনা গেইটে এসে দেখেন ৬২ জন শ্রমিককে ২৬ ধারা মোতাবেক চাকুরী থেকে অপসারণ করা হয়েছে। নুটিশে শ্রমিকদের কি অপরাধ উল্লেখ না থাকলেও শ্রমিকদের ধারনা, কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে চাওয়ার কারণে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের চাকুরী চ্যুত করেছে।

গত ২১/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং কারখনা ছুটি থাকায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং সকল শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও ৬২ জন শ্রমিককে কাজে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। এই ৬২ জন শ্রমিককে তাদের পাওনাদি নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য মালিক পক্ষ এবং বিভিন্ন দালাল শ্রমিক সংগঠন নানান ভাবে চাপ দিতে থাকে। শ্রমিকরা মালিক পক্ষকে জানিয়ে দেন যে, তাদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার পরেই তারা, তাদের পাওনাদি বুঝে নিবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং তারিখ দুপুর ১২ টায় আশুলিয়া থানার ভারপারপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জনাব জাবেদ মাসুদ ও গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিকনেতা খাইরুল মামুন মিন্টু, আঞ্চলিক কমিটির কার্যকারি সভাপতি লুতফর রহমান আকাশ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, কারখনার মামলার বাদী জনাব আনিসুর রহমান পিটার এবং কারখনার শ্রমিকরাসহ আলোচনার ভিত্তিতে কারখনার মামলার বাদী জনাব আনিসুর রহমান পিটার ৩০০ টাকার স্টেম্পে শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার করেন। ৬২ জন শ্রমিক বিকাল ৪ টায় তাদের সকল পাওনা বুঝে নেন। 

লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। 
     

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

‘অধিকার হারা মানুষের মুক্তির মিছিলে তুমি রবে অনন্তকাল’



আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এর মৃত্যতে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার  দুপুর ২ ঘটিকায়, দক্ষিণ গাজীর চট, আড়িয়ারা মোড়, নান্নু মিয়ার রিক্সা গ্যারেজে শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা শ্রমিক নেতা কাজী রুহুল আমীন, শ্রমিকনেতা ইদ্রিস আলী, সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রমিকনেতা খাইরুল মামুন মিন্টু, সহ সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাব পারভেজ, সহ সাধারণ সম্পাদক মামুন দেওয়ান এবং মোহাম্মদ শাহ আলম বড় ছেলে মোহাম্মদ পাপন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি শ্রমিকনেতা আব্দুল মজিদ।
শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ শাহ আলম ০১ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে গাইবান্ধা জেলার ভগবানপুর গ্রামে জন্ম  গ্রহন করেন। মা-বাবা ও চার বোন নিয়ে অনেক কষ্টের সংসার ছিল শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ শাহ আলমের। শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ শাহ আলম স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে। ১৯৯৮ সালে পরিবারের হাল ধরার জন্য কাজের সন্ধানে ঢাকা চলে আসেন। অনেক চেষ্টা করে চাকুরী না পেয়ে তিনি রিক্সা শ্রমিকের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী মোছাঃ পিয়ারা বেগম ও চার ছেলে  এক মেয়ে নিয়ে আশুলিয়া এলাকার জামগড়ায় রিক্সা গ্যারেজ চালাতেন। আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন হওয়ার পর থেকে তিনি এই সংগঠনে কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। আশুলিয়া থানা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নে গত ২০১৭ সালের সম্মেলনে তিনি অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ শাহ আলম গত ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, আশুলিয়ার জামগড়া নিজ রিক্সা গ্যারেজে থাকা অবস্থায় রাত্রি অনুমানিক ১১ টা ৪৩ মিনিটে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি মৃত্যবরন করেন। পরে রাতেই তাকে গাইবান্ধা জেলার ভগবানপুর নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।







রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রেখে নারী শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধ করো

গার্মেন্ট কারখানা গুলোর গেইটে গেইটে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, কারখানার গেইটে শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না থাকলেও প্রতিদিন শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। আবার অনেক কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে, কোন কোন কারখানা, শ্রমিক কলোনি এলাকায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে মাইকিং করছে শ্রমিক নিয়োগ করার জন্য। গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় তারা শ্রমিক পাচ্ছেন না। সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বড় বড় গার্মেন্ট কারখানা গড়ে উঠছে, কিছু চালু হয়েছে আবার অনেক গার্মেন্ট কারখানা চালু করতে পারেনি, শ্রমিকের অভাবে।
অথচ হাজার হাজার পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন চাকুরী পাওয়ার আশায় কারখানার গেইটে গেইটে ঘুরেও চাকুরী পাচ্ছেন না। চাকুরী প্রত্যাশী পুরুষ শ্রমিকরা চরম হতাশায় জীবন যাপন করছেন। অনেকে জড়িয়ে পড়ছেন নানান ধরণের অপকর্মে।
পুরুষ শ্রমিকরা সব থেকে বেশি কাজ করতো সোয়েটার কারখানা গুলোতে, বর্তমানে সোয়েটার কারখনা গুলোতে অটোমেশিন জেকার্ড চালু হওয়ার কারণে হাজার হাজার পুরুষ শ্রমিক চাকুরী হারিয়েছেন, তারা অনেকেই এখন বেকার জীবন যাপন করছেন, অনেকেই বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে রিক্সা-ভ্যান চালক, ছোট চায়ের দোকান, ফুটপাতের দোকান ইত্যাদি ইত্যাদি করে জীবন যাপন করছে। আবার কোন গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিকরা দাবী দাবা উত্থাপন করলেই প্রথম ছাটাইয়ের তালিকায় পড়তে হয় পুরুষ শ্রমিকদের।
আশুলিয়া, ধামরাই এলাকার তারাসিমা, গ্লোবাল, সোনো টেক্স, অকো টেক্স, মাহামুদ জিন্সসহ অনেক অনেক বড় বড় কারখানার গেইটে ঘুরে দেখা গেছে নারী শ্রমিক ও পুরুষ শ্রমিকরা চাকুরীর জন্য লাইনে দাড়ালেও পুরুষ এবং একটু বয়সে বেশি নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছেন না। গার্মেন্টের কাজ একটু কম জানলেও ১৮ থেকে ২৫ বয়সী নারী শ্রমিকদের নেওয়া হচ্ছে।
  
চাকুরীর প্রত্যাশায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিক মামুন, সুজন, সুমন, জসীম, শাহীন, আল-আমীন, কামরুল, রুবেল, গফুর, জালাল জানান তারা সবাই অপারেটর তারা বিভিন্ন কারখানায় চাকুরী করতেন। ছোট খাটো বিভিন্ন কারনে কাওকে ৩ মাস আগে কাওকে এক মাস কাওকে ২ মাস আগে চাকুরী হারাতে হয়েছে , প্রতিদিন তারা, তারাসিমা, গ্লোবাল, সোনো টেক্স, অকো টেক্স, মাহামুদ জিন্স ঢাকা ইপিজেড সহ বিভিন্ন কারখানার গেইটে চাকুরীর জন্য ঘুরছেন কিন্তু তারা চাকুরী পাচ্ছেন না, চাকুরী না পাওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে, অনেকের সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেসব পুরুষ শ্রমিকের স্ত্রী গার্মেন্টে কাজ করে তাদের কিছুটা অর্থ সংকট কম থাকলেও তারা পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছেন, তাদের অনেকের স্ত্রীরা মনে করেন তার স্বামী ইচ্ছে করেই চাকুরী করছেন না। অনেক পুরুষ শ্রমিক নিজের হাত খরচের জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চাইতে লজ্জা করেন, শিশু সন্তান তার বাবার কাছে কিছু চাইলেও দিতে না পারা এক জন বাবা হিসাবে অনেক লজ্জার মনে করেন অনেক পুরুষ শ্রমিক। এই সব পুরুষ শ্রমিকরা মানসিক ভাবে চরম হতাশায় ভুগছেন। 

শ্রমিকরা মনে করেন কারখানায় পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রেখে নারী শ্রমিকদের দিয়ে বেশি কাজ করানো হয়। নারী শ্রমিকদের নির্যাতন করলেও তারা প্রতীবাদ করতে পারেনা, বিশেষ করে অল্প বয়সী নারী শ্রমিকরা শত নির্যাতন সত্তেও তারা প্রতীবাদ করেনা, তাই মালিক পক্ষ অল্প বয়সী নারী শ্রমিকদের প্রয়োজনে কাজ শিখীয়েও হলে তাদের নিয়োগ দেন।
  
লিখেছেনঃ খাইরুল মামুন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।