বেআইনীভাবে বন্ধ ঘোষিত আশিয়ানা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের আলোচনায় ডেকে আজ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বিজিএমইএ ভবনে তাদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। এ ঘটনায় শতাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক আহত হয়। গুরতরভাবে আহত ৩৭ জন শ্রমিক বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত আছে।
আজ এক বিবৃতিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, গত ২০১৬ সালের মে মাসে আশিয়ানা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা একটি ইউনিয়ন গঠন করে। তা নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে জমা দেয়ার পর থেকেই নেতৃস্থানীয় শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এর প্রেক্ষিতে একাধিকবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তা সত্তে¡ও গত গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ এক শ্রমিককে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে তাৎক্ষণিক চাকুরিচ্যুত করা হলে কারখানার শ্রমিকরা তার প্রতিবাদ জানায়। গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল থেকে মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এবং বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে, ব্যাপক শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গতকাল শ্রমিক প্রতিনিধি, গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র নেতৃবৃন্দকে ডেকে স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং মালিকপক্ষ আজ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনে আলোচনার জন্য আহŸান জানায়। সেই আহŸানে আজ বিজিএমইএ ভবনে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়েছিল। সকাল থেকেই শ্রমিকদের উপস্থিত ছিল শান্তিপূর্ণ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সকাল ১১টা থেকে বিজিএমইএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভা হবে না মর্মে শ্রমিকদের জানান। শ্রমিকরা অপেক্ষার এক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করলে বিজিএমইএ-র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় মাইক্রোফোনের তার ছিড়ে ফেলা এবং ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভবনের ভেতর থেকে শতাধিক ব্যক্তি লোহার রড ও লাঠি শোঠাসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এসময় মাইক ও বহনকারী রিকশা ভাংচুর করা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এমন সময় এই হামলার ঘটনা পরিকল্পিত এবং মজুরি বৃদ্ধির প্রসঙ্গকে ভিন্ন প্রবাহিত করার অপচেষ্টা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বহু বছর থেকে আমরা বিজিএমইএতে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে যাই। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়। ঘেরাওসহ আরো কঠোর কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে নাই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আলোচনায় ডেকে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগে গ্রহণ না করে হামলা করে শ্রমিকদের আহত করা ন্যাক্কারজনক। তারা হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ একইসাথে অবিলম্বে বেআইনীভাবে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া এবং সকল অন্যায় চাকুরিচ্যুতি আদেশ প্রত্যাহার করা এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করে শিল্পে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার দাবি জানান।
হামলা করে শ্রমিক ও গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসির নেতৃবৃন্দকে আহত করার প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম, মঞ্জুর মঈন, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ এক বিবৃতিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, গত ২০১৬ সালের মে মাসে আশিয়ানা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা একটি ইউনিয়ন গঠন করে। তা নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে জমা দেয়ার পর থেকেই নেতৃস্থানীয় শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এর প্রেক্ষিতে একাধিকবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তা সত্তে¡ও গত গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ এক শ্রমিককে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে তাৎক্ষণিক চাকুরিচ্যুত করা হলে কারখানার শ্রমিকরা তার প্রতিবাদ জানায়। গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল থেকে মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এবং বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে, ব্যাপক শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গতকাল শ্রমিক প্রতিনিধি, গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র নেতৃবৃন্দকে ডেকে স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং মালিকপক্ষ আজ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনে আলোচনার জন্য আহŸান জানায়। সেই আহŸানে আজ বিজিএমইএ ভবনে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়েছিল। সকাল থেকেই শ্রমিকদের উপস্থিত ছিল শান্তিপূর্ণ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সকাল ১১টা থেকে বিজিএমইএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভা হবে না মর্মে শ্রমিকদের জানান। শ্রমিকরা অপেক্ষার এক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করলে বিজিএমইএ-র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় মাইক্রোফোনের তার ছিড়ে ফেলা এবং ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভবনের ভেতর থেকে শতাধিক ব্যক্তি লোহার রড ও লাঠি শোঠাসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এসময় মাইক ও বহনকারী রিকশা ভাংচুর করা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এমন সময় এই হামলার ঘটনা পরিকল্পিত এবং মজুরি বৃদ্ধির প্রসঙ্গকে ভিন্ন প্রবাহিত করার অপচেষ্টা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বহু বছর থেকে আমরা বিজিএমইএতে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে যাই। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়। ঘেরাওসহ আরো কঠোর কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে নাই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আলোচনায় ডেকে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগে গ্রহণ না করে হামলা করে শ্রমিকদের আহত করা ন্যাক্কারজনক। তারা হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ একইসাথে অবিলম্বে বেআইনীভাবে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া এবং সকল অন্যায় চাকুরিচ্যুতি আদেশ প্রত্যাহার করা এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করে শিল্পে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার দাবি জানান।
হামলা করে শ্রমিক ও গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসির নেতৃবৃন্দকে আহত করার প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম, মঞ্জুর মঈন, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন