Biplobi Barta

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

মালিকরা যেনতেন একটা মজুরি ঘোষণা দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।



সাল
নিম্নতম মোট মজুরী
প্রতি বছর মজুরী বৃদ্ধির পরিমাণ
প্রতি বছর মজুরী বৃদ্ধি
সর্বশেষ নিম্নতম মোট মজুরীর পরিমাণ
২০১৩



,৩০০/=
২০১৪
,৩০০/=
০৫%
২৬৫/=
,৫৬৫/=
২০১৫
,৫৬৫/=
০৫%
২৭৮/=
,৮৪৩/=
২০১৬
,৮৪৩/=
০৫%
২৯২/=
,১৩৫/=
২০১৭
৬,১৩৫/=
০৫%
৩০৬/=
,৪৪২/=
২০১৮
৬,৪৪২/=
০৫%
৩২২/=
,৭৬৪/=
২০১৯
,৭৬৪/=
০৫%
৩৩৮/=
,১০২/=
বর্তমান মজুরী বোর্ডের সভায় মালিক প্রতিনিধি নিম্নতম মজুরী প্রস্তাবনা



৬ হাজার ৩৬০ টাকা
গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরী কমানোর প্রস্তাব



৭৪২ টাকা

 
মজুরী বোর্ডের সভায় মালিক প্রতিনিধি নিম্নতম মজুরী ৬ হাজার ৩৬০ টাকা প্রস্তাবনা করেছেন যাহা বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক ও দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ শ্রমিকদের যেখানে মজুরী বাড়ানোর কথা সেখানে এই প্রস্তাবনার মধ্যদিয়ে ৭৪২ টাকা কমানো ষড়যন্ত্র বিজিএমইএ প্রমাণ করেছে যে, তারা সুষ্ঠ শিল্প মালিক নয়। তারা চরম শোষক ও নিপীড়ক, তাই এই অমানবিক প্রস্তাবনা পরিবর্তন করে শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন শিল্পকে বিকাশিত করা ও জাতীয় অর্থনীতিক উন্নয়নের স্বার্থে নিম্নতম মোট মজুরী ১৬ হাজার টাকা মেনে নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। এমনকি শ্রমিক প্রতিনিধি নিম্নতম মোট মজুরী ১২ হাজার ২০ টাকা যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে তাও বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রমিক প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই বলেছেন যে, তিনি শুধু শ্রমিক সংগঠনের সাথেই যুক্ত তা নয় একই সাথে রাজনৈতিক দলেরও লোক। তিনি ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রকারন্তরে শ্রমিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার ফাদে পা দিয়েছেন। দেশের বর্তমান বাজার দরের সাথে মজুরীর প্রস্তাবনা কোনোভাবেই সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চলে বস্তি বা টিনশেডের একটি রুমের ভাড়াই ৪-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। সেখানে শ্রমিকদের খাদ্য, চিকিৎসা শিক্ষাসহ বেঁচে থাকার মত ন্যূনতম চাহিদা কিভাবে মিটাবে? আজ মজুরি বোর্ডের নির্ধারিত মিটিং-এ মালিক পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, মালিক সরকার মিলে মজুরি বৃদ্ধির নামে প্রহসন মঞ্চাস্থ করতে যাচ্ছেন।মালিকরা বাজার দর, আইএলও কনভেনশন, মুদ্রাস্ফীতি, আর্থসামাজিক অবস্থা এবং শ্রমিকের জীবনমান কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন তা এদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকসহ সকল বিবেকবান মানুষ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না। অন্যদিকে শ্রমিক প্রতিনিধি পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ১৬ হাজার টাকার বিষয়টি তোয়াক্কা না করে মালিকদের স্বার্থকেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা এদেশের প্রায় ৪০ লক্ষ গার্মেন্ট শ্রমিক কোনোভাবেই মেনে নিবে না। মালিকরা যেনতেন একটা মজুরি ঘোষণা দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেই নীল নকশা বাস্তবায়নে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে গার্মেন্ট টিইউসি’র নেতৃবৃন্দকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মালিকদের কোন ষড়যন্ত্রই মজুরি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।এমতাবস্থায় আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে নিম্নতম মূল মজুরী ১০ হাজার টাকা আর মোট মজুরী ১৬ হাজার টাকা এবং একই হারে পিসরেটসহ সকল শ্রমিকদের মজুরী ঘোষণা করতে হবে। ১৬ হাজার টাকা মজুরীর দাবিতে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন