মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেম নগরীকে একতরফাভাবে
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদ ও
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহুত আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দিতে
গিয়ে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এই ডাক দেন। সমাবেশে বক্তব্য
রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের
কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক
মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক
মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক
হামিদুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা
নজরুল ইসলাম।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ১৯৯৩ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিতে জেরুজালেম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইস্যুটি পরবর্তীতে নির্ধারিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ ইহুদী বসতি গড়ে তোলা হয় এবং দুই লাখ ইহুদীকে অভিবাসি করা হয় আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে। জেরুজালেমের উপর ইসরাইলী সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। ১৯৯৫ সালে ‘জেরুজালেম অ্যাম্বেসী অ্যাক্ট’ প্রণীত হওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সকল রাষ্ট্রপতিগণ এ আইন বাস্তবায়ন না করে প্রলম্বিত করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকে ‘বাস্তবতার প্রতি স্বীকৃতি’ প্রদান বলে দাবি করেছেন, যা সত্য নয়। সত্য হচ্ছে ট্রাম্প তার জায়নবাদী ইহুদী সমর্থকদের নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলেন সে অঙ্গিকার পূরণের জন্যই এ ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। ইসরাইল-ফিলিস্তিন চুক্তির বরখেলাপ করে মার্কিন রাষ্ট্রপতির অতি উৎসাহী এ উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। ফিলিস্তিনীদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম নৎস্যাত করার এ চক্রান্ত মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বালিয়ে দিবে। সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও উগ্রতাকে উসকে দিবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে উস্কানী প্রদানকারী এ সিদ্ধান্ত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছিয়ে আসার আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক আইন ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তি মান্য করে জেরুজালেম নগরীকে সকল ধর্মের মানুষের পবিত্র নগরী হিসেবে উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারকে তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিনীদের আধিপত্যবাদী আচরণের নিন্দা জানানোর এবং ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার আহবান জানান। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর অসাম্প্রদায়িক, শান্তিকামী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জনতার মত বাংলাদেশের মানুষকেও জোটবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে প্রতিবাদমুখর হওয়ার আহবান জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহবান করে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এহেন সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী আচরণের নিন্দা জানানোর জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের উপর একচেটিয়া আধিপত্য তৈরীর জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে পুনরায় বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিনীদের এই চক্রান্তকে নস্যাৎ করার জন্য তিনি জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশ ঘৃণার প্রতীক হিসেবে সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শ্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ১৯৯৩ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিতে জেরুজালেম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইস্যুটি পরবর্তীতে নির্ধারিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ ইহুদী বসতি গড়ে তোলা হয় এবং দুই লাখ ইহুদীকে অভিবাসি করা হয় আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে। জেরুজালেমের উপর ইসরাইলী সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। ১৯৯৫ সালে ‘জেরুজালেম অ্যাম্বেসী অ্যাক্ট’ প্রণীত হওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সকল রাষ্ট্রপতিগণ এ আইন বাস্তবায়ন না করে প্রলম্বিত করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকে ‘বাস্তবতার প্রতি স্বীকৃতি’ প্রদান বলে দাবি করেছেন, যা সত্য নয়। সত্য হচ্ছে ট্রাম্প তার জায়নবাদী ইহুদী সমর্থকদের নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলেন সে অঙ্গিকার পূরণের জন্যই এ ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। ইসরাইল-ফিলিস্তিন চুক্তির বরখেলাপ করে মার্কিন রাষ্ট্রপতির অতি উৎসাহী এ উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। ফিলিস্তিনীদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম নৎস্যাত করার এ চক্রান্ত মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বালিয়ে দিবে। সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও উগ্রতাকে উসকে দিবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে উস্কানী প্রদানকারী এ সিদ্ধান্ত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছিয়ে আসার আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক আইন ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তি মান্য করে জেরুজালেম নগরীকে সকল ধর্মের মানুষের পবিত্র নগরী হিসেবে উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারকে তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিনীদের আধিপত্যবাদী আচরণের নিন্দা জানানোর এবং ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার আহবান জানান। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর অসাম্প্রদায়িক, শান্তিকামী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জনতার মত বাংলাদেশের মানুষকেও জোটবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে প্রতিবাদমুখর হওয়ার আহবান জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহবান করে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এহেন সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী আচরণের নিন্দা জানানোর জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের উপর একচেটিয়া আধিপত্য তৈরীর জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে পুনরায় বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিনীদের এই চক্রান্তকে নস্যাৎ করার জন্য তিনি জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশ ঘৃণার প্রতীক হিসেবে সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শ্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন