পোশাক
শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষকে আগামী ২৫
এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তাবনা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পরে দুই পক্ষের
প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ ও শিল্পের সার্বিক দিক বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণে
গঠিত বোর্ড সরকারের কাছে এসংক্রান্ত সুপারিশ জমা দেয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর পল্টনে মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ও বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পোশাক খাতের মজুরি পর্যালোচনায় বোর্ড ঘোষণা দেয়া হয়। তিন মাস পর সোমবার ওই বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পূণনির্ধারণের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার আলোকে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হলো। সভায় বোর্ডের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে পরিচিতি হয়েছে। এরপর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের বিষয়ে শ্রম আইন এবং বিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি পোশাক খাতে কি কি সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভার আগেই যেন মালিক ও শ্রমিক পক্ষ মজুরি সম্পর্কে তাদের প্রস্তাবনা দেয় সেই বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
‘চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি পুণনির্ধারণের বিষয়ে আমাদের সুপারিশ সেটি আমরা সরকারের কাছে শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’
এদিকে সভা চলাকালিন মজুরি বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন মজুরি নিয়ে প্রস্তাবনা সম্বলিত স্মারকলিপি ও দাবি পেশ করেছে বোর্ডের কাছে। এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিম্নতম মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। এরমধ্যে নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা ১ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৬ হাজার টাকা নির্ধারনের দাবিনামা পেশ করা হয়।
এছাড়া মজুরি বোর্ডে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ১২টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। এতে মূল বেতন ১০ হাজার টাকাসহ ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ভেরিয়েবল ডিএ, কন্ট্রিবিউটর প্রভিডেন্ট ফান্ড(পিএফ) ঘোষনার দাবি জানিয়েছে তারা। আর গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদ(জি-স্কপ) শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান বিবেচনায় ন্যায্য মজুরি কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা করার দাবি জানায়।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর এসব স্মারকলিপির বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এসব আমাদের বিবেচনায় আছে। এ বিষয়ে আগামী সভায় আলোচনা হবে। এই পর্যন্ত মজুরি সংক্রান্ত যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, শ্রম আইনে যেসব ফ্যাক্টর অ্যানালাইসিস করতে বলা হয়েছে, যেমন মূল্যস্ফিতি, শ্রমিকের জীবন যাত্রার মান, পণ্যের উৎপাদন ব্যয়, ঝুঁকির বিষয়, বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, মালিকের সক্ষমতা সবগুলো বিষয় বিশ্লেষণ করেই মজুরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৬ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো। তবে আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাবি দাওয়া, স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন কথা বলবেই। তবে শিল্পের সক্ষমতা এবং শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা এই দুইটি বিষয় বিবেচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী সভায় শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, মজুরি নির্ধারণে সরকার আমাদের ৬ মাসের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে না পারলে আরো ৩ মাস বর্ধিত করার সুযোগ আছে। তবে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাই। দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করবো।
পোশাক শিল্পের মজুরি কাঠামো সর্বশেষ পর্যালোচনা হয় ২০১৩ সালে। সেই বছর ন্যূনতম মজুরি হার নির্ধারণ হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বরে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দেয়া হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, ৫ বছর পরপর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিধান বিবেচনায় আইনি সীমা অতিক্রমের আগেই গত বছরের নভেম্বরে পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষই মজুরি পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারির মধ্যভাগে বোর্ড ঘোষণা করা হয়। এর তিন মাস পর সোমবার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, নিরপেক্ষ প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ ও শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।
সোমবার রাজধানীর পল্টনে মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ও বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পোশাক খাতের মজুরি পর্যালোচনায় বোর্ড ঘোষণা দেয়া হয়। তিন মাস পর সোমবার ওই বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পূণনির্ধারণের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার আলোকে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হলো। সভায় বোর্ডের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে পরিচিতি হয়েছে। এরপর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের বিষয়ে শ্রম আইন এবং বিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি পোশাক খাতে কি কি সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভার আগেই যেন মালিক ও শ্রমিক পক্ষ মজুরি সম্পর্কে তাদের প্রস্তাবনা দেয় সেই বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
‘চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি পুণনির্ধারণের বিষয়ে আমাদের সুপারিশ সেটি আমরা সরকারের কাছে শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’
এদিকে সভা চলাকালিন মজুরি বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন মজুরি নিয়ে প্রস্তাবনা সম্বলিত স্মারকলিপি ও দাবি পেশ করেছে বোর্ডের কাছে। এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিম্নতম মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। এরমধ্যে নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা ১ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৬ হাজার টাকা নির্ধারনের দাবিনামা পেশ করা হয়।
এছাড়া মজুরি বোর্ডে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ১২টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। এতে মূল বেতন ১০ হাজার টাকাসহ ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ভেরিয়েবল ডিএ, কন্ট্রিবিউটর প্রভিডেন্ট ফান্ড(পিএফ) ঘোষনার দাবি জানিয়েছে তারা। আর গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদ(জি-স্কপ) শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান বিবেচনায় ন্যায্য মজুরি কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা করার দাবি জানায়।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর এসব স্মারকলিপির বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এসব আমাদের বিবেচনায় আছে। এ বিষয়ে আগামী সভায় আলোচনা হবে। এই পর্যন্ত মজুরি সংক্রান্ত যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, শ্রম আইনে যেসব ফ্যাক্টর অ্যানালাইসিস করতে বলা হয়েছে, যেমন মূল্যস্ফিতি, শ্রমিকের জীবন যাত্রার মান, পণ্যের উৎপাদন ব্যয়, ঝুঁকির বিষয়, বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, মালিকের সক্ষমতা সবগুলো বিষয় বিশ্লেষণ করেই মজুরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৬ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো। তবে আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাবি দাওয়া, স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন কথা বলবেই। তবে শিল্পের সক্ষমতা এবং শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা এই দুইটি বিষয় বিবেচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী সভায় শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, মজুরি নির্ধারণে সরকার আমাদের ৬ মাসের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে না পারলে আরো ৩ মাস বর্ধিত করার সুযোগ আছে। তবে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাই। দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করবো।
পোশাক শিল্পের মজুরি কাঠামো সর্বশেষ পর্যালোচনা হয় ২০১৩ সালে। সেই বছর ন্যূনতম মজুরি হার নির্ধারণ হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বরে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দেয়া হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, ৫ বছর পরপর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিধান বিবেচনায় আইনি সীমা অতিক্রমের আগেই গত বছরের নভেম্বরে পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষই মজুরি পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারির মধ্যভাগে বোর্ড ঘোষণা করা হয়। এর তিন মাস পর সোমবার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, নিরপেক্ষ প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ ও শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন