অভিনু কিবরিয়া ইসলাম
১.
কেন আমি সাম্যবাদী, এর পেছনে আমার যুক্তির পাটাতনগুলো মৌলিক কিংবা নতুন নয়। এ ভাবনাগুলো হয়তো অনেকেই ভেবেছেন ও ভাববেন। পৃথিবীতে কোনো ভাবনাই সে অর্থে মৌলিক নয়, মৌলিক হলো প্রকৃতি অর্থাৎ বস্তুজগত থেকে সৃষ্ট সংবেদনগুলো।
বস্তুজগত মানুষের চেতনায় নানাভাবে প্রতিফলিত হয়। বস্তুজগতের মৌলিক সংবেদনগুলো যৌগিক হয়ে ওঠে মিথস্ক্রিয়তায় ও সংশ্লেষণে- এভাবে জন্ম হয় নতুন নতুন চিন্তার। আবার সেই চিন্তা যখন প্রকাশিত হয় কথা বা লেখার মাঝে, সেটিও তখন আরেকজনের কাছে আরেকটি মৌলিক সংবেদনরূপে হাজির হয়। অসামান্য প্রতিভাধর কারো হয়তো সংবেদনগুলোকে সংশ্লেষণের ক্ষমতা বেশি থাকে, প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত সংবেদন-সংশ্লেষণে নতুন নতুন জটিল-যৌগিক কাঠামোতে নতুন নতুন চিন্তার উদ্ভব ঘটান তিনি। কোনো কোনো চিন্তা এমনই অভিনব ও প্রভাববিস্তারী হয়ে ওঠে যে তা আশেপাশের বস্তুজগত ও পরিবেশকে (এবং তা থেকে সৃষ্ট সংবেদনকে) ভীষণভাবে প্রভাবিত ও পরিবর্তিত করে।
আরেকভাবে ভাবলে প্রতিটি চিন্তাই মৌলিক। কারণ, চিন্তাগুলো কতকগুলো মৌলিক সংবেদনের মাধ্যমে তৈরি কতগুলো যৌগিক কাঠামো হলেও, তা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের থেকে ভিন্ন। ভিন্ন দু"টি মানুষ কখনোই হুবহু এক ধরনের চিন্তা করতে পারবে না। একই মানুষ সময় ও পরিবেশের ভিন্নতায় ভিন্ন চিন্তা করবে। সে হিসেবে মৌলিক সংবেদনগুলো থেকে উদ্ভুত প্রতিটি যৌগিক-কাঠামোর চিন্তাই একেকটি মৌলিক চিন্তা!
অর্থাৎ, আমার এ কৈফিয়ত একভাবে ভীষণ সেকেলে, আরেকভাবে ভীষণ নতুনও বটে। আমি শুধু বুঝতে চেয়েছি একজন মানুষ হিসেবে কেন আমি সাম্যবাদী চেতনাকে ধারণ করি, আর তাই এই কৈফিয়ত।
২.
আমি জানি না একদিন মানব প্রজাতি বিলুপ্ত হবে কি না, কিংবা মানুষ বিবর্তিত হয়ে আরো উন্নততর প্রাণির উদ্ভব ঘটবে কি না। তবু মানুষ নামের চেতনাসম্পন্ন যে ঐতিহাসিক স্বত্তাটি এই পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো কল্পনাকে বাস্তবে রূপান্তর করার সক্ষমতা দেখালো, যা থেকে তার উদ্ভব- সেই খোদ প্রকৃতিকেই ক্ষেত্রবিশেষে যে পদানত করলো, ঐতিহাসিক সেই মানবস্বত্তা নিঃসন্দেহে বহুকাল টিকে থাকবে তার সৃষ্টিশীলতায়। এই মানুষ শুধুমাত্র জীবন-ধারণ ও বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম কোনো প্রাণি নয়, এই মানুষ একটি সচেতন সৃষ্টিশীল প্রজাতিস্বত্তার নাম, যে তার জৈবিক প্রবৃত্তিগত প্রণোদনাকে অতিক্রম করে মত্ত রয়েছে সচেতন "সৃষ্টি সুখের উল্লাসে"। পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষের উদ্ভব তাই প্রথম প্রাণের উদ্ভবের মতোই বৈপ্লবিক।
সরদার স্যার বলতেন, ব্যক্তির মৃত্যু আছে, মানুষের মৃত্যু নেই। জৈবিক মৃত্যু হয়তো একদিন আমার দেহকে ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যে পরিণত করবে, আমার শরীরের অস্থিমজ্জার অনু-পরমাণু মিশে যাবে প্রকৃতিতে, তবু আমি জানি জীবিতাবস্থায় আমার প্রতিটি পদক্ষেপ, কার্যকলাপ, আমার চিন্তা, আমার দ্বারা উচ্চারিত অথবা লিখিত প্রতিটি শব্দ, এই প্রকৃতিতে (এবং মানুষের সংবেদন-পরিমন্ডলে) কোথাও না কোথাও কোনো পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে চলছে। আমার প্রতিটি কার্যকলাপ পরিবর্তিত করছে আশেপাশের সংবেদন-পরিমন্ডলকে, যা আবার প্রভাবিত করছে অন্য মানুষকে। এইভাবেই আমি থেকে যাচ্ছি, অদৃশ্য আমি থেকে যাচ্ছি এমনকী মৃত্যুর পরেও। শক্তিশালী প্রতিভাধর মানুষের তৈরি সংবেদন-পরিমন্ডলকে আমরা সহজেই উপলব্ধি করতে পারি তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে, কেননা তা বহু মানুষকে সরাসরি সংবেদন যোগায় (যেমন রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের মনকে নাড়া দেয়, মার্ক্সের ক্যাপিটাল আমাদের এ সমাজকে বুঝতে শেখায়)। কিন্তু প্রতিটি মানুষই কম-বেশি এরকমভাবে তার ছাপ রেখে যায় তার সংবেদন পরিমন্ডলে যা আবার ছাপ ফেলে অন্যের ওপর। আমাদের অজস্র অদৃশ্য পূর্বপুরুষের কার্যকলাপের রেশ রয়ে গেছে আমাদের সংবেদন-পরিমন্ডলে, তার তা থেকেই সংবেদন নিয়ে আমরা আজকের "আমি", আজকের "ব্যক্তি-মানুষ"। আমাদের এই গোটা প্রজন্মের মৃত্যুর পরেও আমরা অল্পবিস্তর হলেও টিকে থাকবো উত্তরপ্রজন্মে, আমাদের ক্রিয়াকলাপে পরিবর্তিত সংবেদন-পরিমন্ডল তৈরি করবে নতুন প্রজন্মের মানুষ ও তাদের সৃষ্ট সংবেদন-পরিমন্ডলকে।
সুতরাং যে আমি প্রতিনিয়ত মরে যাচ্ছি নতুন আমির জন্মের কারণ হয়ে, সেই আমিই আবার হয়তো বহুকাল টিকে থাকছি অন্য কোনো আমি"র মাঝে সংবেদন-সাগরে এক ক্ষুদ্র সংবেদন তরঙ্গ হয়ে! আমার মাঝেই মানুষ বেঁচে আছে আবার মানুষের মাঝেই আমি বেঁচে থাকবো!
মানুষ হিসেবে আমার এই অমরতা, মানুষের জীবনকে সক্রিয় ও অর্থপূর্ণ হিসেবে ভাবতে পারার সক্ষমতাই আমায় উদ্বুদ্ধ করে সাম্যবাদী চেতনায়।
৩.
মার্কস বলেছেন, অর্থনীতি হলো ভিত্তিকাঠামো; যার উপর দাঁড়িয়ে সমাজের নানা উপরিকাঠামো, যেমন রাজনীতি, সংস্কৃতি, দর্শন, সাহিত্য, রাষ্ট্রকাঠামো ইত্যাদি নির্মিত হয়। উপরিকাঠামো এবং ভিত্তিকাঠামোর সম্পর্কটা দ্বান্দ্বিক, অর্থাৎ, উপরিকাঠামোও কখনো কখনো ভিত্তির কাঠামোকে প্রভাবিত করে। ব্যাপারটা বস্তু ও চেতনার সম্পর্কের মতো। সংবেদনক্ষম বস্তু থেকে চেতনা"র উদ্ভব, আবার সেই চেতনাই তার আশপাশের বস্তজগতকে পরিবর্তিত করে এবং ভিন্নতর সংবেদনপরিমন্ডল তৈরি করতে পারে। সমাজের ক্ষেত্রেও অর্থনীতি হলো মৌল বস্তুগত কারণ, যা থেকে উপরিকাঠামোর বিভিন্ন উপাদান নির্মিত হয়, এবং উপরিকাঠামো বিষয়গুলো পরস্পরের সাথে এবং ভিত্তিমূলের সাথে জটিল দ্বান্দ্বিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের তাত্ত্বিকরা এই ভিত্তি ও উপরিকাঠামোকে বিশদ ও বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন। গ্রামসিও দেখিয়েছেন, উপরিকাঠামোয় আধিপত্য (হেজিমনি) বিস্তার করে কিভাবে শাসকশ্রেণি ভিত্তিকাঠামোর মূল দুর্গকে অক্ষত রাখে।
এই মৌল অর্থাৎ ভিত্তিকাঠামোকে আমি একটু অন্যভাবে দেখি। আমার কাছে অর্থনীতি একটি জৈবিক-সামাজিক প্রক্রিয়া। সুক্ষ্মভাবে বিচার করলে প্রতিটি জীবস্বত্তারই নিজস্ব উৎপাদন কাঠামো আছে। একটি ব্যাকটেরিয়া কিংবা এককোষী প্রাণি, তার জীবন ধারণের জন্য প্রকৃতি থেকে সরলতর উপাদান সংগ্রহ করে। সংগৃহীত উপাদানগুলোকে সে তার ভেতরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অঙ্গাণুগুলোর মাধ্যমে সংশ্লেষণ করে নিজের জন্য শক্তি উৎপন্ন করে, বেঁচে থাকে ও বংশবৃদ্ধি করে এবং কোষদেহে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলোকে প্রকৃতিতে ফেরত পাঠায়। প্রকৃতির সাথে প্রকৃতিরই এক সজীব অংশের এই আদান প্রদান কী তার নিজস্ব উৎপাদন কাঠামো নয়? সজীব কোষটির নিজস্ব বেঁচে থাকার উপাদান সংগ্রহ ও সংশ্লেষণ করার মাধ্যমে প্রকৃতির সাথে তার গড়ে ওঠা সম্পর্কই কি তার উৎপাদনসম্পর্ক নয়? বহুকোষী প্রাণি, উন্নততর প্রাণিরও জীবন ধারণের জন্য প্রকৃতি থেকেই উপাদান সংগ্রহ করতে হয়, কিন্তু তার বেঁচে থাকার প্রক্রিয়া আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত, তার শরীরদেহ বিভিন্ন অঙ্গতন্ত্রে বিভক্ত, একেক অঙ্গের আকার-আকৃতি ও কাজ একেকরকম, কিন্তু এরা সকলে মিলেই একটি একক। এই সম্মিলিত এককও প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে এবং উৎপাদন করে তার জৈবিক জীবনধারণের জন্যে। প্রকৃতির সাথে জীবদেহের এবং কোষগুলোর পরস্পরের সাথে পরস্পরের জটিল সম্বন্ধকে কি তাদের উৎপাদন সম্বন্ধ বললে অত্যুক্তি হবে? এই জটিল উৎপাদন সম্বন্ধই কি তাদের বেঁচে থাকবার ভিত্তিকাঠামো নয়?
মানুষও প্রাণি। অথচ অন্যান্য প্রাণিদের তুলনায় তার পার্থক্য অনেক। মিল একটি জায়গায়, যে তার জীবনধারণের জন্য সমস্ত উপাদান সংগ্রহ করতে তাকে প্রকৃতির কাছেই ফেরত যেতে হয়, তবে সে ক্ষেত্রবিশেষে প্রকৃতিকে বশে আনতেও সক্ষম। মানুষের জীবন যেহেতু বিশাল এক অর্থ বহন করে, যেহেতু মানুষ সৃষ্টিশীল, তাই মানুষের বেঁচে থাকা বলতে, জীবনধারণ বলতে শুধু খেয়ে পরে বেঁচে থাকা বোঝায় না। মানুষের কৌতুহল অদম্য, তার সৃষ্টিশীলতা অসীম, কল্পনাশক্তি অসামান্য, তাই তার জীবন জটিল এবং চাহিদা অশেষ। তার শুধু দেহকে পুষ্টি যোগালে চলে না, তার সৃজনশীল মনকেও পুষ্টি যোগাতে হয়। একারণে তাকে নিজ শরীরের বাইরে উৎপাদন করতে হয় নানা কিছু, এমনকী সে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সংবেদন পরিমন্ডলে নিজেকে নতুন করে উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন করে। এই উৎপাদন সে একলা করতে পারে না, তাকে যুথবদ্ধ হতে হয়। তার এই জৈবিক-মননগত চাহিদা পূরণে তাকে সমাজ সৃষ্টি করতে হয়, সামাজিকভাবে বস্তুগত ও মননগত দ্রব্য উৎপাদন করতে হয়। মানুষের এই জটিল সামাজিক উৎপাদনপ্রক্রিয়া এবং উৎপাদনের হেতু মানুষ-প্রকৃতি ও মানুষ-মানুষের সম্পর্কই তার অস্তিত্বের পূর্বশর্ত। এই অস্তিত্বের পূর্বশর্তই হলো মৌল কাঠামো, যাকে অর্থনীতি বলা যেতে পারে, যা নির্ভর করছে উৎপাদন ও উৎপাদনসংশ্লিষ্ট সম্পর্কগুলোর উপর। সামাজিকভাবে উৎপাদিত বস্তুগত ও মননগত দ্রব্যগুলো গোটা মানুষ প্রজাতির মধ্যে কিভাবে বণ্টিত হচ্ছে, সেটিই অনেকখানি নির্ধারণ করছে মানুষের সৃষ্ট অন্যান্য উপরিকাঠামোর চরিত্রকে। এই বণ্টনের প্রক্রিয়া সামাজিকভাবে যে বস্তুগত শর্ত তথা সংবেদন-পরিমন্ডল সৃষ্টি করে রাখছে, সেটা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে সে সময়কার মনুষ্যসৃষ্ট দর্শন, রীতি-নীতি, আইন-কানুন, রাষ্ট্রকাঠামো, প্রথা, সংস্কৃতির মতো বিষয়গুলো।
দেহের সুস্থতার জন্য যেমন দেহের প্রতিটি কোষে সুষমভাবে পুষ্টিপ্রবাহ প্রয়োজন, সমাজদেহেও সমস্ত একক মানুষে ঠিকভাবে পুষ্টিপ্রবাহ না পৌঁছালে, সে সমাজদেহকে তো রুগ্ন বলতেই হয়! রুগ্ন দেহে সুস্থতার জন্য লড়াই চলতেই থাকে, আর সেটাই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। আমি উপলব্ধি করি, লড়াইয়ের এই সংবেদনই পরিবর্তন নিয়ে আসে, ওলটপালট করে দেয় ভিত্তিকাঠামোতে গড়ে ওঠা পুরনো অসামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন সম্পর্কগুলোকে। উৎপাদন সম্পর্কে সমতা না আসা পর্যন্ত এই ভাঙ্গা গড়া চলবেই আর লড়াইয়ের প্রণোদনা ও সংবেদনও সমাজে উপস্থিত থাকবে বিপ্লবী বার্তা নিয়ে।
৪.
সুতরাং মানুষ থাকলে সমাজ থাকবে, সমাজ থাকলে সেখানে সমতার আকাংক্ষা থাকবে, সমতার আকাংক্ষা থাকলে সাম্যবাদের স্বপ্ন-বীজ এবং তার জন্য লড়াইয়ের সংবেদন সমাজভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবেই।
জীবনের ভ্রুণ যেখানে থাকে সেখানেই তা সংগ্রামে প্রকাশিত হতে চায় এবং একসময় বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে, প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজিত হয়ে সগৌরবে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। আমি মনে করি, সাম্যের স্বপ্ন-বীজ হলো মানুষের মহোত্তম ভাব- প্রচন্ড শক্তিশালী, সম্ভাবনাময়, অভিযোজনক্ষমতাসম্পন্ন এক ভ্রুণ। একমাত্র মানুষই পারে তা থেকে বাস্তব ফসল ফলাতে, কেননা স্বপ্নকে-চিন্তাকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম সৃজনক্ষম সৃষ্টিশীল শিল্পীস্বত্তার নামই তো মানুষ।
সুতরাং, একদিন না একদিন স্বপ্ন-চারাগুলো মহীরূহ হয়ে উঠবেই আর মানুষ তার ছায়াতলে বসে গোটা পৃথিবীকে ক্যানভাস বানিয়ে ইচ্ছেমত ছবি আঁকবে। তখনই মানুষ একটু বিরাম পাবে, অবসর পাবে, স্বাধীনতা পাবে- নিজেকে খুঁজবার, বুঝবার আর পরিপূর্ণ হয়ে উঠবার জন্যে।
আমি জীবনে বিশ্বাসী, গতিতে বিশ্বাসী, ভ্রুণের শক্তিতে বিশ্বাসী, মানুষের অসীম সৃজনক্ষমতায় বিশ্বাসী, আর তাই আমি সাম্যবাদে বিশ্বাসী।
গত ২৪ আগস্ট ২০১৪, সাপ্তাহিক একতা'য় প্রকাশিত লেখা-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন