Biplobi Barta

রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

"অচলায়তনের এ শিকল ভাঙতে হলে"



"অচলায়তনের এ শিকল ভাঙতে হলে"


লেখকঃ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি

চার দশকের বেশি সময় ধরে দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসীর মনে প্রশ্ন - দেশে কত সরকার এলো গেল, কিন্তু তাদের জীবন-জীবিকার দুর্যোগ-দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না কেন? অবস্থার যৎসামান্য এদিক-ওদিক কিছুটা অবশ্য হচ্ছে, তবে কোনো সময় একদিকের দুর্ভোগ কিঞ্চিত কমলেও দুর্যোগ বেড়ে উঠছে অন্যদিকে। এই পরিস্থিতির কোনো মৌলিক হেরফের ঘটার লক্ষণও তেমনভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তা ছাড়া সমাজব্যবস্থার বিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন কার্যত এক অন্তহীন অচলায়তনেরপরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অনেকে বলার চেষ্টা করে থাকেন, কোথায় অচলায়তন? অনেক দিক দিয়ে দেশ তো লক্ষণীয়ভাবে এগোচ্ছে। লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া মাথাপিছু আয়ের পরিসংখ্যান হাজির করে বলা হচ্ছে, দেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়েরস্তরে প্রবেশ করছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো, ৯৯ শতাংশ মানুষের আয়ের বৃদ্ধি তার ধারেকাছেও নয়। তাদের আয় অতিসামান্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র। এতই সামান্য যে, বেশিরভাগের প্রকৃত আয় বরং কমেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুজন রোজগারি থাকা একটি পাঁচ সদস্যের গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবারে গড় মাথাপিছু আয় হলো মাত্র ৩০ হাজার টাকা। তাদের মাথাপিছু আয়ের বাকি ১ লাখ টাকা তবে কার হাতে জমা হয়ে আছে? তা জমা হয়ে আছে ভাগ্যবান১ শতাংশের হাতে। এই ১ শতাংশের কারো কারো ক্ষেত্রে এমনকি লক্ষকোটি টাকার মতো সম্পদের পাহাড় জমানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে ১ শতাংশ ও ৯৯ শতাংশের মধ্যে এমন বিপুল পরিমাণ বৈষম্য বজায় থাকলেও পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানো সম্ভব হচ্ছে যে, ১৬ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ‘মাথাপিছু আয়আর প্রত্যেকের আয়’ - এ দুটি এক বিষয় নয়। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশহওয়া ও নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষের দেশহওয়া এক বিষয় নয়।
উন্নয়নেরযে মডেল ধরে গত চার দশককাল এ দেশ পরিচালিত হচ্ছে, তাতে ১ শতাংশ মানুষ ঠিকই কল্পনাতীত পরিমাণে সম্পদশালী হয়ে উঠেছে। কিন্তু ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে দেশের বর্ধিত সম্পদের শুধু ছিটেফোঁটা এসে পৌঁছতে পেরেছে। ফলে বৈষম্যের হার বাড়তে বাড়তে বিপজ্জনক মাত্রা পেয়ে চলেছে। শাসকশ্রেণি ও তার পক্ষের প-িতরা তত্ত্ব দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, ‘উন্নয়নেরস্বার্থেই নাকি এভাবে কিছু লোকের হাতে সম্পদের পাহাড় জমতে দেওয়া উচিত। চুরি-বাটপারি-দুর্নীতি-লুটপাট যে পন্থায়ই তা করা হোক না কেন এবং তাতে বৈষম্য যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, ‘উন্নয়নেরস্বার্থে নাকি তা করতে দিতে হবে। তাদের মতে, এসব নাকি হলো উন্নয়নের প্রসববেদনা। এই বেদনা সহ্য করতে হবে। কিছু ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত এই সম্পদ নাকি এক সময় চুইয়ে পড়েস্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচের তলার ব্যাপক গরিব জনগণের হাতে পৌঁছাবে। এটিই হলো পুঁজিবাদের নয়া-উদারবাদী বাজার-মৌলবাদভিত্তিক তথাকথিত উন্নয়ন মডেল। বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ ও বহুজাতিক করপোরেট পুঁজির ওপর নির্ভরশীলতা ও বেপরোয়া লুটপাটতন্ত্র হলো এই মডেলের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। চার দশক ধরে বাংলাদেশ এই একই অর্থনৈতিক দর্শন ও উন্নয়নমডেলের অচলায়তনে বন্দি হয়ে আছে।
দেশের বড় দুটি বুর্জোয়া দল তথা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাম্রাজ্যবাদ ও লুটপাটনির্ভর এই তথাকথিত উন্নয়ন মডেলের আলোকে তাদের অর্থনৈতিক নীতি চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই তারাই যেন দেশের রাজনৈতিক পরিম-লে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে থাকতে পারে সে জন্য শাসক-শোষকশ্রেণি দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকেন্দ্রিক একটি দ্বিমেরুকরণভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে রেখেছে। বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনাপূর্ণ অন্য সব দল যেন প্রান্তস্থিত হয়ে থাকে, নানা উপায়ে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে সরকার ও বিরোধী দল - দুটোই যেন শাসক-শোষকশ্রেণির স্বার্থরক্ষায় স্থায়ীভাবে নিয়োজিত থাকে, তার একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে। এ অবস্থায় এই দ্বিদলীয় মেরুকরণভিত্তিক শাসন-শোষণ কাঠামো থেকে বের হয়ে আসার জন্য দেশে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি গড়ে তোলা এখন একটি প্রধান কর্তব্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু সে কাজটিও সেভাবে হয়ে উঠছে কই? এ ক্ষেত্রেও এক ধরনের অচলায়তন বিরাজ করছে।
এর পাশাপাশি শাসক-শোষকশ্রেণি সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধ জঙ্গিশক্তিকে লালন-পালন করছে। জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন উগ্র সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিশক্তিকে তারা তাদের রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে। বুর্জোয়া দল দুটির গণবিরোধী কাজ ও রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার সুযোগ নিয়ে এই বিপজ্জনক অন্ধকারের কালো শক্তি একদিকে সাম্প্রদায়িকতার সামাজিকীকরণ ঘটিয়ে চলেছে ও সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্ঘাত চালিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এ অবস্থার অবসানের লক্ষণও তেমন নেই। এটিও অচলায়তনের আরেকটি নিদর্শন।
এভাবে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের প্রকৃত অগ্রগতির ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, লুটপাটতন্ত্র - এই তিন শত্রু আজ দেশের সামনে প্রধান বিপদরূপে বিরাজ করছে। অন্যদিকে রাজনীতিতে দ্বিদলীয় মেরুকরণভিত্তিক কাঠামো ও গণতন্ত্র-গণতান্ত্রিক অধিকার খর্বিত হওয়ার কারণে এই বিপদ মোকাবিলার কাজটিও কঠিন হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন হলো, এভাবেই কি চলতে হবে চিরকাল? না, এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হলো অচলায়তনের এই বন্দিদশা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য শিকল ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে কোথা থেকে, কীভাবে?
শিকল ভাঙার কাজটি কেবল ওপর থেকে নেওয়া উদ্যোগের ওপর নির্ভর করে সফল করা যাবে না। শোষকদের গড়ে তোলা কাঠামোগত সিস্টেমটিই এমন যে, তার গতানুগতিক যাবতীয় বৈরী উপাদানকেও গোটা সিস্টেমের মধ্যে ধারণ করে রাখতে সক্ষম। একমাত্র একটি জায়গা থেকেই তাদের স্থাপিত কাঠামোগত সিস্টেমকে ঘায়েল করা সম্ভব। তা হলো সাধারণ জনগণের পরিম-ল। কারণ সবকিছুকেই একভাবে বা অন্যভাবে সিস্টেমের মধ্যে ধারণ করতে সক্ষম হলেও ব্যাপক জনগণের স্বার্থকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ক্ষমতা সিস্টেমের নেই। সেটি করার অর্থ হবে শোষণ-বঞ্চনার প্রক্রিয়াকে পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া। কিন্তু শোষকশ্রেণি তা করবে কেন? তাই সিস্টেমও ব্যাপক জনগণের মধ্যকার দ্বন্দ্ব হলো মৌলিক ও অমোচনীয়। কাকে ভিত্তি করে তাহলে সিস্টেম ভাঙার কাজটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে? চুইয়ে পড়া উন্নয়ন মডেলে নিচের তলার এসব সাধারণ মানুষের প্রাপ্তি ঘটে সবচেয়ে কম ও একেবারেই ছিটেফোঁটা। তাই তাদের ক্ষেত্রে বঞ্চনার মাত্রা সব সময় সবচেয়ে বেশি। ফলে এই বঞ্চিত জনগণই হয়ে উঠতে পারে অচলায়তনের শিকল ভাঙার প্রধান কারিগর। এ কথাও মনে রাখতে হবে, শিকল ভাঙার সম্ভাব্য প্রধান কারিগর এই গণশক্তির প্রাণ ও শিকড় রয়েছে তৃণমূলে। অচলায়তনের শিকল ভাঙার কাজটি সূচনা করার ভিত্তি তাই রচিত হতে পারে প্রধানত তৃণমূল থেকে ও জনগণের দ্বারা। এ কারণে তৃণমূলের কাজ ও জনগণের মাঝে কাজকে গুণগত নতুন মাত্রায় প্রসারিত করার মাঝেই নিহিত রয়েছে বিদ্যমান অচলায়তন ভাঙার চাবিকাঠি।
ইতিহাস এ কথাই বলে যে, শেষ বিচারে জনগণ এবং একমাত্র জনগণই ইতিহাস নির্মাণ করে।তবে জনগণ তা সব সময় সচেতনভাবে করে না। যুগ যত এগিয়েছে, ইতিহাস নির্মাণে জনগণের ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতার গুরুত্বও তত বেড়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান অচলায়তন ভাঙতে হলে সেই সচেতনতা গড়ে তোলা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
বর্তমানে দেশের ওপর সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গি ষড়যন্ত্রের বিপদ বেড়েছে। এই রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তিকে মোকাবিলার জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মতাদর্শগত সংগ্রাম। উগ্র ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ধর্মানুভূতির অপব্যবহার করে ও মিথ্যা কথাবার্তা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার ঘৃণ্য প্রয়াস চালাচ্ছে। এই অপচেষ্টায় তারা সফল হলে দেশ এক ভয়ঙ্কর বিপদে নিমজ্জিত হবে। জনগণের মনমানসিকতাকে সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত রাখতে পারার সঙ্গে এই অপচেষ্টা নস্যাৎ করার কর্তব্যে সাফল্য অর্জন করতে পারা সরাসরি সম্পর্কিত। এ কাজটি করতে হলে তৃণমূলে জনগণের কাছে গিয়ে চেতনা সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক।
জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য ব্যাপক প্রচারণাকাজের বিকল্প নেই। প্রচারণার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে অল্প কথা ব্যাপক মানুষের মাঝে নিয়ে যাওয়া (অ্যাজিটেশন) যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি অনেক কথা অল্প মানুষের মাঝে নিয়ে যাওয়ার (প্রোপাগান্ডা) কাজ। এই দ্বিতীয় কাজটি করতে ধৈর্য লাগে। এ কাজে চমক ও উচ্ছ্বাসপূর্ণ উত্তেজনা তেমন নেই। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে এ কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া কাভারেজের কথা মাথায় রেখে চটকদার বক্তৃতাবাজি দিয়ে কাজ হবে না। এসব কাজে সফল হতে হলে চারণের বেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে গ্রামে-গ্রামে, পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজার-প্রতিষ্ঠানে, বস্তিতে, কল-কারখানায়। হাজার হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা, সহস্র সহস্র হাটসভা-পথসভা-গেটসভা ইত্যাদি আয়োজন করতে হবে। সারা দেশে গড়ে তুলতে হবে পাঠাগার আন্দোলন। পরিচালনা করতে হবে অগণিত পাঠচক্র। ইত্যাদি।
জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত করার জন্য প্রচার আন্দোলন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, স্থানীয় নানা ইস্যুতে পরিচালিত আন্দোলন-সংগ্রামের কাজ তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। একই সঙ্গে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো এসব সংগ্রামকে মৌলিক ধরনের দাবিতে জাতীয় আন্দোলন-সংগ্রামে রূপ দেওয়া। লোক দেখানো সংগ্রামের মঞ্চায়ন নয়, প্রয়োজন প্রকৃত গণসংগ্রাম গড়ে তোলা। তৃণমূলে জনগণের মাঝে ধৈর্যের সঙ্গে ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করা ছাড়া এ ধরনের সংগ্রামের ধারা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন এসব সংগ্রামকে রাজনৈতিক গতিমুখিনতা তথা ক্ষমতার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে সব সময় যথোপযুক্তভাবে (কৃত্রিমভাবে নয়) গুরুত্ব দেওয়া। নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সঙ্গে এ ধরনের কাজ তারাই সুচারুরূপে করতে পারবে, যারা সমাজবিপ্লবে বিশ্বাসী নিবেদিতপ্রাণ মানুষ। বিশেষত তরুণ সমাজ। এ ধরনের কাজকে বাইপাসকরে বিদ্যমান অচলায়তন ভাঙা যাবে না।
এ কথা অবশ্য ঠিক যে, বিশেষ বিশেষ সময় ওপর থেকে সূচিত কোনো উদ্যোগ মুহূর্তে বিশাল গণজাগরণ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু তা সম্ভব হতে হলে তার পটভূমি হিসেবে পেছনে থাকতে তৃণমূলে জনগণের মাঝে চলতে থাকা ধারাবাহিক প্রচার ও স্থানীয় আন্দোলনের অসংখ্য প্রয়াস। তাই হঠাৎ করে বিশাল গণজাগরণ গড়ে উঠবে সে জন্য হাঁ করে চুপচাপ বসে থাকাটি হবে অর্থহীন। শুধু তাই নয়, নিশ্চুপ বসে বসে শুধু অপেক্ষায় সময় কাটালে শত্রুপক্ষের জন্য কিন্তু পরিস্থিতি বসে থাকবে না। শত্রুরা খালি মাঠ পেয়ে তাদের শক্তি বিস্তৃত করার সুযোগ পাবে। তাই শত্রুর অগ্রগতি ঠেকানোর জন্য হলেও তৃণমূলে জনগণের মাঝে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়াটি এখন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে কোনো শর্টকাটনেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন