ঈদের
আগে সকল শ্রমিককে এক মাসের মূল মজুরির সমান বোনাস ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে- গার্মেন্ট
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ
সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় আসন্ন ঈদের পূর্বেই সকল শ্রমিককে এক মাসের মূল
মজুরির সমান বোনাসসহ সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ
শেষে দাবির সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।গার্মেন্ট
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা
অ্যাড. মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের
কার্যকরি সভাপতি শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমীন, সাধারণ
সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান
শামীম প্রমুখ।সহ-সভাপতি শ্রমিকনেতা জিয়াউল কবির খোকনের পরিচালনায়-সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিবারের
মত এবারও ঈদে গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রাপ্য বোনাস থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে। দেশে চলমান
ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি ও বিচার বিভাগ কেন্দ্রিক বিতর্কের ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে
মালিক পক্ষ শ্রমিকদের ঠকানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের
গার্মেন্ট শিল্প যে শ্রমিকদের অসামান্য ত্যাগে ও অবদানে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সেই
শ্রমিকদের আজ অবধি আর্ত ও দুর্গত করে রাখা হয়েছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতের
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক মাসের মূল বেতনের সমান বোনাস দেয়া হয়। কিন্তু শ্রম
আইনের নানা ফাক ফোকরের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কিছু সংখ্যক
কারখানায় বোনাস পরিশোধ করা হলেও তার পরিমাণ অতি সামান্য, যা
দান-খয়রাতের মতই। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা
তাদের প্রাপ্য ঠিকমত পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের হলেও সরকার বরাবরের
মত নির্বিকার। তারা বলেন, অবিলম্বে সকল শ্রমিকদের এক
মাসের মূল মজুরির সমান ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে। তারা আরও বলেন, শ্রমিকরা
যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সমাবেশ
থেকে ঈদের ছুটির পূর্বে কারখানাগুলোতে বোনাস ও বকেয়া পরিশোধে ব্যতিক্রম হলে
আঞ্চলিকভাবে তাৎক্ষণিক কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন