Biplobi Barta

Thursday, August 24, 2017

ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে শ্রমিকদের আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল, ক্যান্টিন ও ইউনিয়ন (সিবিএ) কার্যালয় স্থাপনসহ জরুরী সকল সুযোগ সুবিধা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা এবং কর্মরত সকল শ্রমিকদেরকে প্রতিমাসে ৩,০০০/- টাকা করে অন্তর্বর্তী ভাতা প্রদানের দাবিতে আজ ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত হেমায়েতপুর, সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের সভাপতি জনাব আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-সাধারণ সম্পাদক টি এম লিয়াকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, ট্যানারীর মালিকরা ষড়যন্ত্র করছেন পুরনো শ্রমিকদেরকে চাকুরীচ্যুত করে কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে নতুন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো। অথচ মালিকদের সাথে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি আছে কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে কোন কাজ করানো হবে না। চুক্তি অনুযায়ী কন্ট্রাক্টরী প্রথা যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে আমরা যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। মালিকদের ষড়যন্ত্র এবং কতিপয় দালালদের অপচেষ্টা ট্যানারীর শ্রমিকরা কোনদিনও সফল হতে দেবে না। 

সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ট্যানারী স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শ্রমিকরা। থাকা, খাওয়া, যাতায়াতসহ সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। জীবন যাত্রার ব্যয় দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় ট্যানারী শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য মালিকদের নিকট আমাদের দাবি হলো কর্মরত সকল শ্রমিককে প্রতিমাসে ৩,০০০/- টাকা করে অন্তর্বর্তী (এডহক) ভাতা দিতে হবে। 

সভা থেকে কোরবানী ঈদের পূর্বেই শ্রমিকদেরকে এডহক ভাতা প্রদান, শ্রমিকদের ইউনিয়ন (সিবিএ) কার্যালয় স্থাপন ও ক্যান্টিন চালু করার দাবি জানানো হয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রমিকদের আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদসহ জরুরী সকল বিষয়টি বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন চামড়া শিল্প নগরীতে পর্যাপ্ত বাতি লাগানো, রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। জরুরী এইসব দাবি পূরণ না হলে চামড়া শিল্পের বৃহত্তর স্বার্থে কোরবানী ঈদের পর আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। সভা শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল চামড়া শিল্প নগরীর বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।

No comments:

Post a Comment