মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জানাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার জন্য ৭২‘র সংবিধানের চার মূলনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড হায়দার আকবর খান রনো, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড লুনা নুর, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। সভা পরিচালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সেলিম বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টিয়ে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের মূল নীতি পরিবর্তন করে দেশকে পশ্চাৎমুখি করা হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন। সংবিধানে চার মূলনীতি ফিরে আসলেও সামরিক শাসক কর্তৃক সংবিধানে স্থাপিত ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল তবিয়তে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সূচিতে পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারাতেই দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। তারা সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতাকে বর্জন করে সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত মর্যাদা প্রদর্শন করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধান এবং চার মূলনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
কমরেড সেলিম আরো বলেন, দেশে ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে বুঝেন ৭১ এর নয় মাসের যুদ্ধ। কেউ বুঝেন পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের সংগ্রাম। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এর ইতিহাস রচনাকালে বৃটিশ বিরোধী সংগ্রাম ও স্বাধীনতাকামীদের বাদ দেয়া যাবে না। আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন হচ্ছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানী শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও ৭১ এর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের সমষ্টি। তিনি বলেন, জনগণ ইতিহাসের স্রষ্টা। তবে জনগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে ইতিহাসে কাম্য ভুমিকা পালন করতে পারে না। ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির সচেতন উদ্যোগ জনগণকে ইতিহাসের কাম্য ভুমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে।
কমরেড হায়দার আকবর খান রনো বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইতিহাসের মহানায়ক। তাঁর স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে দেশে পাকিস্তানী ধারা পুনপ্রবর্তন হয়েছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা খুনিদের কাছে আত্মসমর্পন না করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিরোধ করা যেত। তিনি আরো বলেন, কেবল বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড হায়দার আকবর খান রনো, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড লুনা নুর, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। সভা পরিচালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সেলিম বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টিয়ে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের মূল নীতি পরিবর্তন করে দেশকে পশ্চাৎমুখি করা হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন। সংবিধানে চার মূলনীতি ফিরে আসলেও সামরিক শাসক কর্তৃক সংবিধানে স্থাপিত ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল তবিয়তে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সূচিতে পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারাতেই দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। তারা সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতাকে বর্জন করে সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত মর্যাদা প্রদর্শন করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধান এবং চার মূলনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
কমরেড সেলিম আরো বলেন, দেশে ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে বুঝেন ৭১ এর নয় মাসের যুদ্ধ। কেউ বুঝেন পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের সংগ্রাম। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এর ইতিহাস রচনাকালে বৃটিশ বিরোধী সংগ্রাম ও স্বাধীনতাকামীদের বাদ দেয়া যাবে না। আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন হচ্ছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানী শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও ৭১ এর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের সমষ্টি। তিনি বলেন, জনগণ ইতিহাসের স্রষ্টা। তবে জনগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে ইতিহাসে কাম্য ভুমিকা পালন করতে পারে না। ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির সচেতন উদ্যোগ জনগণকে ইতিহাসের কাম্য ভুমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে।
কমরেড হায়দার আকবর খান রনো বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইতিহাসের মহানায়ক। তাঁর স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে দেশে পাকিস্তানী ধারা পুনপ্রবর্তন হয়েছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা খুনিদের কাছে আত্মসমর্পন না করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিরোধ করা যেত। তিনি আরো বলেন, কেবল বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন