লেখক: কাজী রুহুল আমীন, কার্যকরি সভাপতি, গার্মেন্টস
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
একর্ড সম্পর্কে প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিতে
চাই যে, এটিও বিদেশী মালিকদের একটি সংগঠন। তারাও পুঁজিপতি, পুঁজির ধর্ম শোষণ করা, বিধায় তারাও শোষক এবং ধর্মানুযায়ী শোষণ করবেই। শ্রমিক এর কল্যাণই যে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য আমি তা মনে করি না। কিন্ত ব্যবসা টিকিয়ে
রেখে, মুনাফা বাড়াতে এবং নানা রকম চাপে কখনো কখনো কিছু কল্যাণমুলক কাজ করতে
বাধ্য হয়।
রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশের উৎপাদিত পোষাকের ভোক্তারা ঘোষণা দিয়ে বলেছিল যে, বাংলাদেশে বার বার ভবন ধস, অগ্নিকান্ডে হাজার হাজার শ্রমিককে হত্যা করা হচ্ছে বিধায়, বাংলাদেশের শ্রমিকদের রক্তমাখা পোষাক ব্যবহার করবেন না তারা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রত্যাখ্যান এর ঘোষণার পর
দেশি-বিদেশি সকল মালিকরাই ব্যবসায়ী সংকটে পড়েন। এই সংকট থেকে উত্তোরনের জন্য গঠন করেছিল একর্ড এবং
এলায়েন্স. নিরাপদ কারখানা
নিশ্চিত করতে একর্ড বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি এবং বিদ্যুৎ,সেফটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মালিকরা তখন
তাদের ব্যবসায়ী সুবিধার জন্য একর্ড এবং এলায়েন্সকে বাধা দেয়নি, বিরোধিতাও
করেনি। এখন বিরোধিতা করছে, কারণ একর্ড এখন ট্রেড ইউনিয়ন এর কথা বলছেন। ট্রেড ইউনিয়ন হলে শ্রমিকদেরকে
একচেটিয়া ভাবে শোষণ-নিযাতন করা মালিকদের পে
কষ্টকর হয়ে যায়।
একর্ড নানারকম চাপ সৃষ্টি করে। তার সদস্য বিদেশি ক্রেতাদেরকে আমাদের দেশের মালিকদের সাথে
দরকষাকষিতে সুবিধা দিতে চায়। বর্তমানের প্রাপ্ত মজুরিতে শ্রমিকদের পে খেয়ে পরে বেঁচে থেকে উৎপাদনে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারছেন না, কারখানার মধ্যে শ্রমিকদের উপর চলছে নিষ্ঠুর নিযাতন। শ্রমিকরা মজুরি
বৃদ্ধির দাবি তুললেই তাদের উপর জেল জুলুম নেমে আসছে। একর্ড মজুরি বৃদ্ধির জন্য জোরালো হোক, সে ল্েয তার সদস্য বায়াররাও যাতে পোষাকের মুল্য বাড়িয়ে দেয় তা নিশ্চিত
করবেন বলে জোর দাবী জানাচ্ছি।
২০১৮ সালের জুন মাসে একর্ড এর বর্তমান মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারা নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির করছে। ভাল কথা। তবে এ মেয়াদ বৃদ্ধি যেন শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের উপর খবরদারি করার জন্য না হয়। শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী মজুরির দাবি নিশ্চিত করতে কাজ করা, কাজের পরিবেশ উন্নত করা এবং সর্বপরি তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রাতে অব্যাহত রাখতেও একর্ডকে ভুমিকা রাখতে হবে।
সকল শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সকল
শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিয়ে একর্ড, আইএলও, সরকার
সকলকেই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন অবিলম্বে^ গার্মেন্ট
শ্রমিকদের নিম্নতম মুল মজুরি ১০০০০টাকা
ও মোট মজুরি ১৬০০০ টাকা নির্ধারন এবং কার্যকর করা। শ্রমিকদের অধিকার, এবং
শিল্প বিকশিত করতে সহায়ক হয়ে একর্ড গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবেন
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।২০১৮ সালের জুন মাসে একর্ড এর বর্তমান মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারা নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির করছে। ভাল কথা। তবে এ মেয়াদ বৃদ্ধি যেন শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের উপর খবরদারি করার জন্য না হয়। শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী মজুরির দাবি নিশ্চিত করতে কাজ করা, কাজের পরিবেশ উন্নত করা এবং সর্বপরি তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রাতে অব্যাহত রাখতেও একর্ডকে ভুমিকা রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন