রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা বন্ধসহ রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি পেশের উদ্দেশে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সারাদেশে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণস্বাক্ষর অভিযানের সূচনা হয়।
কর্মসূচির সূচনার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড আকবর খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের সমাহান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর সিপিবি-বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার গণস্বাক্ষর অভিযানে যেসব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, সেসব হলো- এক. মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরণার্থী মর্যাদা দিন এবং তাদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সভ্য জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। দুই. মিয়ানমারে বর্বরতা-গণহত্যা বন্ধ করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করা। তিন. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে এবং তাঁদের মিয়ানমারের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করা। চার. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরাসহ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাঁচ. জাতিসংঘের তত্ত্ববধানে ‘কফি আনান কমিশন’-এর রিপোর্ট বাস্তবায়ন করা।
কর্মসূচির সূচনার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কমরেড সেলিম বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত এই গণহত্যা শুধু বর্তমান শতকে নয়, মানব ইতিহাসেও নারকীয় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে লক্ষণীয় কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। গণহত্যার হাত থেকে বেঁচে আসা লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এসে যেন বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত না হন, সে বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
কমরেড সেলিম আরও বলেন, মিয়ানমারের এই জাতিগত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেন কোনো রকমের জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক উসকানির সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর কোনো হামলা মিয়ানমারে গণহত্যার ঘটনাকে আড়াল করতেই ভূমিকা রাখবে। ফলে এমন যে কোনো উসকানির বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে।
কর্মসূচির সূচনার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড আকবর খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের সমাহান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর সিপিবি-বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার গণস্বাক্ষর অভিযানে যেসব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, সেসব হলো- এক. মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরণার্থী মর্যাদা দিন এবং তাদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সভ্য জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। দুই. মিয়ানমারে বর্বরতা-গণহত্যা বন্ধ করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করা। তিন. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে এবং তাঁদের মিয়ানমারের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করা। চার. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরাসহ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাঁচ. জাতিসংঘের তত্ত্ববধানে ‘কফি আনান কমিশন’-এর রিপোর্ট বাস্তবায়ন করা।
কর্মসূচির সূচনার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কমরেড সেলিম বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত এই গণহত্যা শুধু বর্তমান শতকে নয়, মানব ইতিহাসেও নারকীয় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে লক্ষণীয় কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। গণহত্যার হাত থেকে বেঁচে আসা লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এসে যেন বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত না হন, সে বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
কমরেড সেলিম আরও বলেন, মিয়ানমারের এই জাতিগত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেন কোনো রকমের জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক উসকানির সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর কোনো হামলা মিয়ানমারে গণহত্যার ঘটনাকে আড়াল করতেই ভূমিকা রাখবে। ফলে এমন যে কোনো উসকানির বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন