লেখকঃ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম : সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
ঘুষ-দুর্নীতি এমনভাবে মহামারী আকারে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে যে, তা এখন অনেকটাই ডাল-ভাতের মতো ‘স্বাভাবিক’ বিষয় হয়ে উঠেছে। সবাই এখন একই সঙ্গে ‘ঘুষ-গ্রহণকারী’ ও ‘ঘুষ প্রদানকারী’ হয়ে উঠেছে। পরস্পর পরস্পরকে ঠকাচ্ছে। কিন্তু ‘যুগপৎ ঠকিয়ে ও ঠকে’ সাধারণ মানুষদের মধ্যে কেউই লাভবান হতে পারছে না। তবে ঘুষের সর্বব্যাপী প্রসারের দূষিত পরিস্থিতির আড়ালে শুধু কিছু ‘রাঘববোয়াল’ লুটের ভা-ার গড়ে তুলছে। এদিকে অর্থমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, দেশে কোনো ঘুষ-দুর্নীতি নেই, যা আছে তা হলো একটি কাজকে দ্রুত করে দেওয়ার জন্য প্রদত্ত উপহার তথা ‘স্পিড মানি’। অর্থমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য দ্বারা ঘুষ-দুর্নীতি সম্পর্কে সরকারের নীতি ও মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেছে।
ঘুষ-দুর্নীতির উদ্ভব প্রাচীন যুগে। আদিম সাম্যবাদী সমাজ থেকে শ্রেণিবিভক্ত সমাজে উত্তরণের প্রক্রিয়াকালে ঘুষ-দুর্নীতির উদ্ভব। প্রাচীন ইতিহাস-কাব্য-মহাকাব্যে-লোককাহিনিতে আমরা ঘুষ-দুর্নীতির বিবরণ খুঁজে পাই। এসব কারণে অনেকে বলে থাকেন, ঘুষ-দুর্নীতি হলো আদিকালের ব্যারাম। সমাজ যতদিন থাকবে, সমাজে এর কমবেশি অস্তিত্বও থাকবে। সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করার চিন্তা নিছকই একটি ‘ইউটোপিয়া’ তথা কল্পস্বর্গ রচনার মতো অবাস্তব-অসম্ভব কাজ। সে কারণে যা করার চেষ্টাটি সম্ভব ও বাস্তবসম্মত তা হলো দুর্নীতির ‘অপসারণ’ নয়, বরং তাকে ‘সহনীয়’ পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ ঘুষ-দুর্নীতি সঙ্গে নিয়েই মানবসমাজকে অনন্তকাল চলতে হবে। প্রশ্নটি হলো কেবল তাকে ‘অসহনীয়’ মাত্রায় পৌঁছাতে না দেওয়ার।
ঘুষ-দুর্নীতিকে ‘সমাজের একটি অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য’ বলে কোনোক্রমেই স্বীকার করা যায় না! কেন? এ প্রশ্নের জবাবের জন্য সবচেয়ে আগে বুঝতে হবে, ‘সমাজ’ আসলে কী? এ কথা সবারই জানা যে, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানব প্রজাতির উদ্ভবের ইতিহাসের লগ্ন থেকেই, মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে তার সামাজিক সত্তার আবশ্যিক সম্পৃক্ততা একটি অলঙ্ঘনীয় সত্য। ‘সমাজবদ্ধ’ হয়ে ওঠার সঙ্গে ‘মানব প্রজাতির’ উদ্ভব ও বিকাশ এবং মানবসভ্যতার অগ্রগতি ওতপ্রোতভাবে ও শর্তবদ্ধভাবে সম্পর্কিত।
মানুষের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনেই ‘সমাজ’ রচিত ও স্থাপিত হয়েছে। ‘মানবসমাজ’ মানেই হলো সম-স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মানুষের যৌথতা। যৌথ স্বার্থ ও যৌথতার বোধ হলো সমাজ গঠনের মৌলিক ও প্রাথমিক ভিত্তি। সব মানুষের একটি ব্যক্তিগত সত্তা থাকে। তেমনই অপরিহার্যভাবে তার থাকে একটি সামাজিক সত্তাও। যদি একজন মানুষ কেবল ব্যক্তি সত্তাসম্পন্ন হতো তা হলে তার সমাজবদ্ধ হওয়ার কোনোই আবশ্যিকতা থাকত না। যৌথতাভিত্তিক সামাজিক সত্তা থাকার কারণেই মানুষ ‘আপন অস্তিত্বের প্রয়োজনে’ সমাজবদ্ধ হয়েছে।
জন্মলগ্ন থেকে মানবসমাজ একটি অখ- ও অবারিতভাবে বহমান বাস্তবতা হওয়া সত্ত্বেও তার রূপ ও বৈশিষ্ট্যে পর্যায়ক্রমিক নানা রূপান্তর ঘটেছে। আদিম সাম্যবাদী সমাজ থেকে পর্যায়ক্রমে দাস সমাজ, সামন্তবাদী সমাজ, পুঁজিবাদী সমাজ ইত্যাদি হিসেবে তা রূপ লাভ করেছে। দাস সমাজে মানুষের মধ্যে শ্রেণিবিভাজনের যে সূত্রপাত, তা আজ অবধি অব্যাহত আছে। সমাজে শ্রেণিবিভাজন ও উৎপাদনের উপকরণগুলোর ওপর ব্যক্তিগত মালিকানার ব্যবস্থা প্রচলিত হওয়ার কারণে মানুষের ‘সামাজিক স্বার্থ-সত্তার’ সঙ্গে তার ‘ব্যক্তি স্বার্থ-সত্তার’ সামঞ্জস্য ও সংগতিসম্পন্নতা বিনষ্ট হয়েছে। ফলে এই দুয়ের মধ্যে আজ দ্বন্দ্ব ও বৈপরীত্যের উপাদান জন্ম নিয়েছে।
শ্রেণিবিভাজন ও উৎপাদনের উপকরণের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা ব্যবস্থা সমাজের কোনো অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য নয়। মানবসমাজের ঐতিহাসিক বিবর্তনের কোনো এক স্তরে এসবের উদ্ভব হয়েছিল। তাই শ্রেণিবিভাজন ও ব্যক্তিগত মালিকানা ব্যবস্থাকে সমাজ থেকে অপসারণ করতে পারলে, ‘যৌথ’ ও ‘ব্যক্তির’ মধ্যে যে বৈপরীত্য ও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়ে আছে তা নিরসনের ভিত্তি রচিত হবে। সে কারণে এ কথা বলা যায় যে, সমাজের সে ধরনের মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে পারলে ঘুষ-দুর্নীতিসহ অনেক ব্যাধি থেকেই মানবসভ্যতাকে মুক্ত করা যাবে।
বাস্তবজীবনে আমরা হরদম নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হই। এসব সমস্যা দু’ধরনের হতে পারে। কতগুলো সমস্যার উদ্ভব হয় ‘ব্যবস্থা’ ঠিকমতো কাজ না করার কারণে। ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়া বা তার পরিচালনায় অদক্ষতা-ত্রুটির জন্য যেসব সমস্যার উদ্ভব, সেই ব্যবস্থাকে গতিশীল করে তাকে দক্ষভাবে পরিচালনা করতে পারলেই সেসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু অন্য আরেক ধরনের কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ‘ব্যবস্থাগত’ (systemic) সমস্যা। এসব সমস্যা বা রোগের উদ্ভব হয় ব্যবস্থার মৌলিক চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যের উৎস থেকে। ব্যবস্থার উন্নত পরিচালনার সাহায্যে এসব রোগ দূর করা যায় না। এসব রোগ দূর করার জন্য ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে রূপান্তর করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
ঘুষ-দুর্নীতির ব্যাধি অতি পুরনো। তবে আমাদের দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে তাতে নতুন মাত্রিকতা যুক্ত হয়েছিল। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ঘুষ-দুর্নীতিকে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি হাতিয়াররূপে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। শাসনযন্ত্রের তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত তারা তার প্রসার ঘটিয়েছিল। এভাবে ঘুষ-দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় কর্মপরিচালনার একটি উপাদান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছিল। অবশ্য ঘুষ-দুর্নীতির কর্মকা- যেন লাগামহীন পর্যায়ে গিয়ে চরম নৈরাজ্যমূলক না হয়ে উঠতে পারে সে জন্য সেই ব্রিটিশরাই আবার ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন, বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থাও প্রবর্তন করেছিল। অবশ্য সে ক্ষেত্রে আবার বিত্তবানরা যেন আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে তার ব্যবস্থাও তারা রেখেছিল। ব্রিটিশ শাসকদের প্রবর্তিত ঘুষ-দুর্নীতির সেই ধারা আমাদের দেশে অব্যাহত থেকেছে। বর্তমানে বাজার-অর্থনীতির অভিঘাত সমাজে ঘুষ-দুর্নীতির মাত্রা ও প্রকারের বিস্তৃতিকে গুণগত নতুন মাত্রিকতায় নিয়ে গেছে।
আমাদের দেশে বর্তমানে ঘুষ-দুর্নীতি যে ভয়াবহ প্রসার ও মাত্রা অর্জন করেছে তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে এ কথা বুঝতে হবে যে, ঘুষ-দুর্নীতির বর্তমান ভয়াবহতার ব্যাপারটি হলো প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার একটি অভিঃপ্রকাশ মাত্র। এমতাবস্থায় ঘুষ-দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে হলে শুধু অভিঃপ্রকাশগুলো (অর্থাৎ শুধু ঘুষ-দুর্নীতির বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলি) দূর করলেই চলবে না। অপরদিকে শুধু অভিঃপ্রকাশের উৎস (অর্থাৎ শুধু প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে) উচ্ছেদ করার কাজে সীমাবদ্ধ থাকলেও চলবে না। আসলে এই দুটোর ক্ষেত্রেই একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিতে আলাদাভাবে সফলতা আনা যাবে না। দুটো কাজকে একই সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। অভিঃপ্রকাশের ঘটনাবলি রুখে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার আর্থ-সামাজিক উৎসকেও আঘাত করতে হবে। এবং সেই উৎস উৎপাটন করে এমন একটি বিকল্প আর্থ-সামাজিক ভিত্তি সৃষ্টি করতে হবে, যা সহজাতভাবে ঘুষ-দুর্নীতির লালনকারী নয়। সে ব্যবস্থা হলো ‘সমাজতন্ত্র’।
সাম্রাজ্যবাদ ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রভৃতি সংস্থা দ্বারা আমাদের দেশ আজ বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত। তারা যে অর্থনৈতিক-সামাজিক দর্শন ও চলার পথ নির্দেশ করে দিয়েছে সেটিই অনেকাংশে জন্ম দিয়েছে লুটেরা ও পরগাছাপরায়ণ লুটপাটের অর্থনীতি। এই নীতি-দর্শন অনুযায়ী দেশের অগ্রগতির (?) জন্য ব্যক্তিগত মালিকানায় দ্রুতগতিতে বিপুল পুঁজি সঞ্চয় হওয়াটি জরুরি। স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে (মুনাফার হার যদি ২৫ শতাংশও ধরি) একজন লাখপতিকে কোটিপতি হতে ২০-২৫ বছর সময় লাগবে, অথচ সে দু-এক বছরেই কোটিপতি হতে চায়। সে জন্য পথ রয়েছে একটিই। তা হলো, হয় অস্বাভাবিক হারে ‘মুনাফা’ করতে হবে কিংবা আইনি পথের বাইরে গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হবে। তা না হলে ব্যক্তিগত মালিকানায় পুঁজি সঞ্চয় হবে না। রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যাবে না। লুটপাটের জন্য এই তাগিদই ঘুষ-দুর্নীতিকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে লালন করছে।
এ দেশে গড়ে উঠেছে একশ্রেণির লুটেরা বিত্তবান। তারাই এখন হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রকৃত নিয়ন্ত্রক। তাদের লুটপাট নিরাপদ রাখার জন্যই তারা আমলাতন্ত্র, একশ্রেণির রাজনীতিবিদ, মাস্তান বাহিনী প্রভৃতিকে লুটপাটের ভাগীদার বানিয়ে দেশকে (সরকার, বিরোধী দল, রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি প্রভৃতি সবকিছু) নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশ আজ এক অশুভ ‘মাফিয়া সিন্ডিকেটে’র হাতে বন্দি। সমাজ-দর্শন ও সমাজ-কাঠামোতে এই লুটপাটের ব্যবস্থা ও ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই ‘সরকার আসে যায়, কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি চলছে তো চলছেই।’
একই কারণে এ দেশে এখনো উৎপাদনমুখী উদ্যোগে উত্তরণ এবং ন্যূনতম অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না। ফটকাবাজি-চোরাচালান-মজুদদারি প্রভৃতি ক্ষেত্রে মুনাফা হয় বিপুল এবং রাতারাতি। কিন্তু শিল্পে বিনিয়োগে খাটুনি বেশি, মুনাফা জমা হওয়ার প্রক্রিয়াও দীর্ঘমেয়াদি। তা ছাড়া ‘অবাধ বাণিজ্য’ নীতি দেশকে বিদেশি পণ্যের নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে পরিণত করেছে। ফলে অর্থনীতির নিয়মানুসারেই দেশের নবীন শিল্প-উদ্যোগ ‘অবাধ প্রতিযোগিতার’ গলাকাটা প্রক্রিয়ায় উন্নত বিদেশি কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে। এসব কারণে শিল্প পুঁজির তুলনায় ব্যবসায়ী পুঁজি (যা মূলত বিদেশি কোম্পানির স্থানীয় এজেন্টের কাজ করে চলেছে) তার আধিপত্য বজায় রেখে অর্থনীতির উৎপাদনবিমুখ, পরগাছাপরায়ণ ও লুটেরা চরিত্র জিইয়ে রাখছে। এগুলোই হলো এ দেশের ঘুষ-দুর্নীতির ভয়াবহতার উৎসসূত্র। ‘ঘুষ-দুর্নীতি উন্নয়নবিরোধী ধারার উৎস’ - এই বক্তব্য যেমন সত্য, তার চেয়ে বড় সত্য হলো, ‘উন্নয়নবিরোধী প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা হলো ঘুষ-দুর্নীতির জন্মদাতা।’
তা হলে এখন মূল কথায় ফিরে এসে বলা যায়, বর্তমানে যে সমাজ-দর্শন ও অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক ধারায় দেশ চলছে, ঘুষ-দুর্নীতির ভয়াবহতার অবসানের জন্য সেই ব্যবস্থার আমূল উচ্ছেদ একান্ত অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত আইন-কানুন প্রণয়ন, আরও কঠোরভাবে ঘুষ-দুর্নীতি মোকাবিলা করা ইত্যাদি প্রয়োজন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যার প্রয়োজন তা হলো, ঘুষ-দুর্নীতির লালনকারী বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন। ঘুষ-দুর্নীতি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হলে আসল জায়গায় আঘাত করতে হবে। যে ‘মাফিয়া সিন্ডিকেট’ সর্বগ্রাসী সর্বব্যাপী এক মহাশক্তিরূপে সব সরকারের আমলেই ক্ষমতার প্রকৃত নিয়ন্ত্রক হয়ে বসে আছে, তাকে সম্পূর্ণ পরাস্ত ও নির্মূল করতে হবে। সেই সুস্পষ্ট লক্ষ্যে বেগবান করতে হবে গণসংগ্রামের ধারা। গড়ে তুলতে হবে জাতীয় জাগরণ। নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের ভিত্তিতে সংগঠিত করতে হবে এক জাতীয় নব-উত্থান। তাহলেই কেবল ঘুষ-দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণের পথ তৈরি করা সম্ভব হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন