পুরো নাম সালভাদর গুইলারমো আলেন্দে গোসেনস। স্কুলজীবন থেকেই তিনি রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠেছিলেন। সমাজের অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহন করেও সাধারণ মানুষ চারপাশের সমস্যা তাঁকে পীড়িত করতো। জন্মস্থান ভারপারাইসোতে সোশ্যালিস্ট পার্টি গঠনের তিনি ছিলেন অন্যতম রূপকার।
আলেন্দে প্রথম লাতিন আমেরিকান মার্ক্সবার্দী কমিউনিস্ট নেতা, যিনি ১৯৭০ সালে উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির ২৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণ করে আলেন্দে শিল্প জাতীয়করণ এবং সম্মিলিত কৃষি চাষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দেশের সমাজতান্ত্রিক বিরোধী লুটেরা মার্কিন দালাদদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে চিলির সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটায়। সেনারা লা মনেদা প্রাসাদ ঘিরে আক্রমন করলে আলেন্দে আর্তসমর্পন করতে অস্বীকার করে লড়াই করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন। আদেন্দের হত্যাকাণ্ড বিভিন্ন দেশে মার্কিন মদদে বামপন্থি নেতাদের হত্যায় মার্কিনিদের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
আলেন্দে তাঁর মৃত্যুর আগে এক বেতার ভাষণে বলেন, ’আমার দেশের কর্মীরা, চিলি এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার আস্থা আছে। অন্যরা এই অন্ধকার ও তিক্ত মুহূর্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। মনে রাখবেন, আজ অথবা কাল, আমাদের পথ আবার মুক্ত হবে, যেখানে মুক্ত মানুষরা একটি শ্রেয় সমাজ গড়ে তুলবে। চিলি দীর্ঘজীবী হোক, জনগণ দীর্ঘজীবী হোক, শ্রমিকরা দীর্ঘজীবী হোক।’
কমরেড আলেন্দের জীবন থেকে আমরা এটাই শিখলাম- লুটেরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে আর্তসমর্পনের চাইতে লড়াই করতে করতে মৃত্যুই প্রকৃত মানুষের জীবন। কমরেড আলেন্দে লাল সালাম। আজকে কমরেড আলেন্দের স্বপ্ন সফল হয়ে- চিলিতে বাম্পপন্থি সরকার অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর অপূরণীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আলেন্দে প্রথম লাতিন আমেরিকান মার্ক্সবার্দী কমিউনিস্ট নেতা, যিনি ১৯৭০ সালে উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির ২৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণ করে আলেন্দে শিল্প জাতীয়করণ এবং সম্মিলিত কৃষি চাষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দেশের সমাজতান্ত্রিক বিরোধী লুটেরা মার্কিন দালাদদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে চিলির সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটায়। সেনারা লা মনেদা প্রাসাদ ঘিরে আক্রমন করলে আলেন্দে আর্তসমর্পন করতে অস্বীকার করে লড়াই করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন। আদেন্দের হত্যাকাণ্ড বিভিন্ন দেশে মার্কিন মদদে বামপন্থি নেতাদের হত্যায় মার্কিনিদের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
আলেন্দে তাঁর মৃত্যুর আগে এক বেতার ভাষণে বলেন, ’আমার দেশের কর্মীরা, চিলি এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার আস্থা আছে। অন্যরা এই অন্ধকার ও তিক্ত মুহূর্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। মনে রাখবেন, আজ অথবা কাল, আমাদের পথ আবার মুক্ত হবে, যেখানে মুক্ত মানুষরা একটি শ্রেয় সমাজ গড়ে তুলবে। চিলি দীর্ঘজীবী হোক, জনগণ দীর্ঘজীবী হোক, শ্রমিকরা দীর্ঘজীবী হোক।’
কমরেড আলেন্দের জীবন থেকে আমরা এটাই শিখলাম- লুটেরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে আর্তসমর্পনের চাইতে লড়াই করতে করতে মৃত্যুই প্রকৃত মানুষের জীবন। কমরেড আলেন্দে লাল সালাম। আজকে কমরেড আলেন্দের স্বপ্ন সফল হয়ে- চিলিতে বাম্পপন্থি সরকার অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর অপূরণীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন