১৯২০ সালে কুষ্টিয়া জেলা কালীদাশপুর গ্রামে কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম হাউসউদ্দীন মন্ডল রেলওয়েতে চাকরি করতেন। মায়ের নাম জহুরা খাতুন। বাবার চাকুরীর সুবাদে সিরাজগঞ্জে, রানাঘাটে, পার্বতীপুর, ঈশ্বরদী, কোলকাতায় বসবাস করেন। বাবার সাথে কোলকাতায় নারকেলডাঙা রেল কলোনিতে বসবাসকালে মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সে মিছিলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৪০ সালের মাঝামাঝিতে শিয়ালদহে মাসিক ১৫ টাকা মাইনেতে রেলের চাকরিতে যোগ দেন। চাকরির পাশাপাশি ক্রমে লাল ঝাণ্ডার একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিতি পান।
১৯৪০ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)’র সদস্য পদ লাভ করেন।
১৯৪১-৪২ সালে জসিম মন্ডলের প্রমোশন পেয়ে সেকেন্ড ফায়ারম্যান হন।
রেল শ্রমিক আন্দোলনে তিনি জ্যোতি বসুর সহকর্মি ছিলেন। ১৯৪৬ এর নির্বাচনে রেল আসনে জ্যোতিবসু’র নির্বাচী প্রচারনায় সক্রিয় অংশ নেন।
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর জসিম মন্ডল পার্বতীপুর এবং তাঁর বাবা ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে আসেন।
১৯৪৯ সালে রেলের রেশনে চাউলের পরিবর্তে খুদ সরবরাহ করলে রেল শ্রমিক ইউনিয়নের ‘খুদ স্টাইকের’ অপরাধে জসিমউদ্দিন মন্ডলসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং রেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকুরীচ্যুত করে। ১৯৫৪ সালে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর আবার তাঁকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হলো। এসময় রাজশাহী জেলে কিছুদিন থাকার পর তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হল। ১৯৫৬ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬২ সালের দিকে আবার গ্রেফতার হন এবং ১৯৬৪ সালে মুক্তি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সার্বিক মুক্তির লড়াই-সংগ্রামের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশেও তাঁকে জেল বরণ করতে হেেছ। মোট ১৭ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫১ বছর বয়সে জসিম মন্ডল সংগঠক এবং উদ্দীপক হিসেবে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন।
১৯৯৩ সালে সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১২ সালে সিপিবি’র উপদেষ্টা মনোনীত হন। আমৃত্যু এ দায়িত্ব তিনি পালন করেন।
কমরেড জসিম মন্ডল বাংলাদেশ রেল শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা ছিলেন।
কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল ১৯৪২ সালে জাহানারা খাতুন মরিয়মের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কমরেড মরিয়ম তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জুগিয়েছেন সারাজীবন। জসিম-জাহানারা দম্পতি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্রের জনক-জননী ছিলেন।
অনলবর্ষী বক্তা কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল ২ অক্টোবর, ২০১৭ ঢাকার হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪০ সালের মাঝামাঝিতে শিয়ালদহে মাসিক ১৫ টাকা মাইনেতে রেলের চাকরিতে যোগ দেন। চাকরির পাশাপাশি ক্রমে লাল ঝাণ্ডার একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিতি পান।
১৯৪০ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)’র সদস্য পদ লাভ করেন।
১৯৪১-৪২ সালে জসিম মন্ডলের প্রমোশন পেয়ে সেকেন্ড ফায়ারম্যান হন।
রেল শ্রমিক আন্দোলনে তিনি জ্যোতি বসুর সহকর্মি ছিলেন। ১৯৪৬ এর নির্বাচনে রেল আসনে জ্যোতিবসু’র নির্বাচী প্রচারনায় সক্রিয় অংশ নেন।
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর জসিম মন্ডল পার্বতীপুর এবং তাঁর বাবা ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে আসেন।
১৯৪৯ সালে রেলের রেশনে চাউলের পরিবর্তে খুদ সরবরাহ করলে রেল শ্রমিক ইউনিয়নের ‘খুদ স্টাইকের’ অপরাধে জসিমউদ্দিন মন্ডলসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং রেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকুরীচ্যুত করে। ১৯৫৪ সালে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর আবার তাঁকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হলো। এসময় রাজশাহী জেলে কিছুদিন থাকার পর তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হল। ১৯৫৬ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬২ সালের দিকে আবার গ্রেফতার হন এবং ১৯৬৪ সালে মুক্তি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সার্বিক মুক্তির লড়াই-সংগ্রামের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশেও তাঁকে জেল বরণ করতে হেেছ। মোট ১৭ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫১ বছর বয়সে জসিম মন্ডল সংগঠক এবং উদ্দীপক হিসেবে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন।
১৯৯৩ সালে সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১২ সালে সিপিবি’র উপদেষ্টা মনোনীত হন। আমৃত্যু এ দায়িত্ব তিনি পালন করেন।
কমরেড জসিম মন্ডল বাংলাদেশ রেল শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা ছিলেন।
কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল ১৯৪২ সালে জাহানারা খাতুন মরিয়মের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কমরেড মরিয়ম তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জুগিয়েছেন সারাজীবন। জসিম-জাহানারা দম্পতি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্রের জনক-জননী ছিলেন।
অনলবর্ষী বক্তা কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল ২ অক্টোবর, ২০১৭ ঢাকার হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন