আজ
১৩ অক্টোবর ২০১৭ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ
উপলক্ষে নারীমুক্তির প্রশ্নে প্রগতিশীল নারী সংগঠনমূহের যৌথ উদ্যোগে ‘ব্যক্তি মালিকানার
পৃথিবীকে বদলে দিয়ে সামাজিক মালিকানার মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলুন এবং নারীর প্রতি
শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতন ও সহিংসতা রুখে দাঁড়ান’ এই শ্লোগান সামনে রেখে
উদ্বোধনী র্যালী এবং র্যালি শেষে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে ‘অক্টোবর বিপ্লব ও
নারীমুক্তি আন্দোলন: তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক
সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সকালে র্যালি উদ্বোধন করেন অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন
জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি সাতনারী সংগঠনকে অভিনন্দন জানিয়ে হতাশা, নৈরাজ্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলনকে সর্বজনীন
রূপ দেয়ার আহ্বান জানান।সেমিনারে প্রগতিশীল নারীসংগঠনসমূহেরসমন্বয়কারী লক্ষ্মী
চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয়
কমিটির আহবায়ক বহ্নিশিখা জামালী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমিরেটাস
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সেমিনার পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিরূপা
চাকমা, সিপিবি কেন্দ্রীয় নারী
সেলের সদস্য লূনা নূর, বাংলাদেশ নারীমুক্তি
কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত, নারী সংহতির কেন্দ্রীয়
কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, বিপ্লবী নারী ফোরামের
কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক আর্নিকা তাসনীম মিতু।হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী
নিরূপা চাকমা তার বক্তব্যে সোভিয়েত সমাজের নারীদের মর্যাদা ও অগ্রগতির সাথে
বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করেন। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীর ওপর সহিংস
আক্রমণের ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সেনা ও সেটলার উপস্থিতির
কারণে পাহাড়ে নারীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে বলেন মন্তব্য করেন। তিনি
কল্পনা চাকমার উদাহরণ টানেন এবং বলেন সেনা কর্মকর্তাইতাকে অপহরণ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন