কমরেড মণ্ডল ১৯৪০ সালে রেলের চাকরিতে যোগ দেন বাষ্পীয় ইঞ্জিনে কয়লামারা শ্রমিক হিসেবে। পরে প্রমোশন পেয়ে হন ফায়ারম্যান। চাকরিতে যোগ দিয়ে জ্যোতি বসু, কমরেড ইসমাইলের নেতৃত্বাধীন রেল রোড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কর্মি ও সংগঠক হিসেবে পরিচিত হয়ে যান। ১৯8৬ সালের বাংলা প্রাদেশিক বিধান সভার নির্বাচনে ৭টি শ্রমিক আসনের একটি লে আসনে সিপিআই প্রার্থী জ্যোতি বসুর নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
দেশবিভাগের পর কমরেড জসিম মণ্ডল পার্বতীপুরে বদলি হয়ে আসেন। ১৯৪৯ সালে রেলে রেশনে চাউলের পরিবর্তে 'খুদ’ দিলে রেল শ্রমিকরা `খুদ স্ট্রাইক’ করেন। রেলে 'খুদ স্ট্রাইক' পরিচালনার অপরাধে ঐ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কারারুদ্ধ হন কমরেড জসিম মন্ডল।
পাকিস্তান আমলের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। জেলের বাইরে অবস্থানকালে রেলের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন।
সর্বশেষে তিনি ৯১ বছর বয়সে রেলের উন্নতির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। সারাদেশে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। দাবির সপক্ষে দিনব্যাপি অনশন করেন।
দেশবিভাগের পর কমরেড জসিম মণ্ডল পার্বতীপুরে বদলি হয়ে আসেন। ১৯৪৯ সালে রেলে রেশনে চাউলের পরিবর্তে 'খুদ’ দিলে রেল শ্রমিকরা `খুদ স্ট্রাইক’ করেন। রেলে 'খুদ স্ট্রাইক' পরিচালনার অপরাধে ঐ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কারারুদ্ধ হন কমরেড জসিম মন্ডল।
পাকিস্তান আমলের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। জেলের বাইরে অবস্থানকালে রেলের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন।
সর্বশেষে তিনি ৯১ বছর বয়সে রেলের উন্নতির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। সারাদেশে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। দাবির সপক্ষে দিনব্যাপি অনশন করেন।
রেল ব্যবস্থা রক্ষা, রেলকে প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে এর উন্নতি, আর সারা দেশে
ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে জনবান্ধব পরিবহন হিসেবে রেল বাঁচাতে
প্রবীণ জননেতা জসিমউদ্দিন মন্ডলের ১৬ দফা
ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে জনবান্ধব পরিবহন হিসেবে রেল বাঁচাতে
প্রবীণ জননেতা জসিমউদ্দিন মন্ডলের ১৬ দফা
রেলপথের বিস্তৃতির স্বপ্ন দেখি। তাই এ বয়সে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি, রেলকে বাঁচাতে ১৬ দফা দাবী উত্থাপন করছি।
১.রাষ্ট্রীয় মালিকানায় সরকারি পরিচালনায় জনগণের সেবা প্রতিষ্ঠান হিসাবে রেলের প্রসার নিশ্চিত করতে হবে।
২.জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে রেলপথকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৩.বিপুল সংখ্যায় নতুন রেল ইঞ্জিন, বগি, ওয়াগন ও রেল লাইন বাড়াতে হবে, বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে হবে।
৪.ট্রেনের সময়-ব্যবস্থাপনা ও সেবা উন্নত করতে হবে, শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫.ওয়ার্কশপ দুটি পুরোপুরি চালু ও আধুনিক করতে হবে।
৬.রেলের জমি পুনরুদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, সকল প্রকার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৭.সরাসরি লাইন স্থাপনের মাধ্যমে দূরত্ব কমানো, আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেন বাড়াতে এবং সর্বত্র ডবল লাইন চালু করতে হবে।
৮. বড় শহর ও উপশহরগুলোতে পিক আওয়ারে আধ ঘণ্টা পর পর শাটল ট্রেন চালু করতে হবে।
৯.বিশ্বব্যাংক, দেশি-বিদেশি লুটেরাদের পরামর্শে রেল সঙ্কোচন ও বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে।
১০.পণ্য পরিবহন, বন্দর ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার সাথে রেল যোগাযোগ সমন্বিত করতে হবে।
১১.যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করে, মালামাল পরিবহন এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করতে হবে।
১২.সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে রেলের পাওনা ১২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৩. রেলপথের অপটিক্যাল ফাইবার নির্ভর ২২ চ্যানেলের কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল টেলিফোন নেটওয়ার্কটির গ্রামীন ফোনের সাথে ইজারা চুক্তি বাতিল করে ভাড়া ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে। এর ফলে রেলের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে ও স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।
১৪.যাত্রী হয়রানি নিরসনে আধুনিক ও স্বচ্ছ টিকেটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। দক্ষ সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভ্রমণের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।
১৫.দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতাসম্পন্ন ও দক্ষ রেল প্রশাসন গড়তে হবে।
১৬.স্বতন্ত্র রেল বাজেট প্রদান করতে হবে।
১.রাষ্ট্রীয় মালিকানায় সরকারি পরিচালনায় জনগণের সেবা প্রতিষ্ঠান হিসাবে রেলের প্রসার নিশ্চিত করতে হবে।
২.জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে রেলপথকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৩.বিপুল সংখ্যায় নতুন রেল ইঞ্জিন, বগি, ওয়াগন ও রেল লাইন বাড়াতে হবে, বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে হবে।
৪.ট্রেনের সময়-ব্যবস্থাপনা ও সেবা উন্নত করতে হবে, শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫.ওয়ার্কশপ দুটি পুরোপুরি চালু ও আধুনিক করতে হবে।
৬.রেলের জমি পুনরুদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, সকল প্রকার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৭.সরাসরি লাইন স্থাপনের মাধ্যমে দূরত্ব কমানো, আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেন বাড়াতে এবং সর্বত্র ডবল লাইন চালু করতে হবে।
৮. বড় শহর ও উপশহরগুলোতে পিক আওয়ারে আধ ঘণ্টা পর পর শাটল ট্রেন চালু করতে হবে।
৯.বিশ্বব্যাংক, দেশি-বিদেশি লুটেরাদের পরামর্শে রেল সঙ্কোচন ও বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে।
১০.পণ্য পরিবহন, বন্দর ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার সাথে রেল যোগাযোগ সমন্বিত করতে হবে।
১১.যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করে, মালামাল পরিবহন এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করতে হবে।
১২.সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে রেলের পাওনা ১২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৩. রেলপথের অপটিক্যাল ফাইবার নির্ভর ২২ চ্যানেলের কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল টেলিফোন নেটওয়ার্কটির গ্রামীন ফোনের সাথে ইজারা চুক্তি বাতিল করে ভাড়া ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে। এর ফলে রেলের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে ও স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।
১৪.যাত্রী হয়রানি নিরসনে আধুনিক ও স্বচ্ছ টিকেটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। দক্ষ সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভ্রমণের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।
১৫.দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতাসম্পন্ন ও দক্ষ রেল প্রশাসন গড়তে হবে।
১৬.স্বতন্ত্র রেল বাজেট প্রদান করতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রীর সাথে জসিম মন্ডলের সাক্ষাৎ
আজ, রেলপথ মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মন্ত্রলায়ের কার্যালয়ে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন বর্তমানে রেলপথের প্রবীনতম কর্মী ৯১ বছর বয়সী জাতীয় নেতা জসিমউদ্দিন মন্ডল। তিনি মন্ত্রীর কাছে রেলের বর্তমান দূরাবস্থার কথা তুলে ধরেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারীর সাংবদ সম্মেলনে উত্থাপিত রেল বাঁচাও ১৬ দফা দাবী মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী ধৈর্য্য সহকারের জসিম মন্ডলের বক্তব্য শুনেন, যাত্রী সেবা সংক্রান্ত দুটি দাবী বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক উপস্থিত রেলের উর্ধতন কর্মকতাদের নির্দেশ দেন।
যাত্রীদের হয়রানি নিরসনে তিনি আগামী একমাসের মধ্যে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর প্রধান রেল স্টেশনে এনকোয়ারী ব্যবস্থা সচল ও নানা মাধ্যমে রেল যাতায়তের সর্বশেষ সংবাদ যাত্রীদের অবহিত করার ব্যবস্থা চালু করতে নির্দেশ দেন।
যাত্রীদের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিটি বড় ও জংশন স্টেশনগুলোতে শৌচাগার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে রেলপথ কর্তৃপক্ষকে নিদের্শ দেন।
জসিমউদ্দিন মন্ডল বাকী দাবীগুলো সম্পর্কে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন আগামী একমাস তিনি রেলের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশ করবেন। সরকারের কাছ থেকে দাবীসমূহ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন আশ্বাস না পেলে আগামী ১০ মার্চ, শনিবার, দিনব্যাপী অনশন পালন করবেন।
মন্ত্রী ধৈর্য্য সহকারের জসিম মন্ডলের বক্তব্য শুনেন, যাত্রী সেবা সংক্রান্ত দুটি দাবী বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক উপস্থিত রেলের উর্ধতন কর্মকতাদের নির্দেশ দেন।
যাত্রীদের হয়রানি নিরসনে তিনি আগামী একমাসের মধ্যে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর প্রধান রেল স্টেশনে এনকোয়ারী ব্যবস্থা সচল ও নানা মাধ্যমে রেল যাতায়তের সর্বশেষ সংবাদ যাত্রীদের অবহিত করার ব্যবস্থা চালু করতে নির্দেশ দেন।
যাত্রীদের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিটি বড় ও জংশন স্টেশনগুলোতে শৌচাগার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে রেলপথ কর্তৃপক্ষকে নিদের্শ দেন।
জসিমউদ্দিন মন্ডল বাকী দাবীগুলো সম্পর্কে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন আগামী একমাস তিনি রেলের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশ করবেন। সরকারের কাছ থেকে দাবীসমূহ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন আশ্বাস না পেলে আগামী ১০ মার্চ, শনিবার, দিনব্যাপী অনশন পালন করবেন।
আম জনতার বাহন রেল বাঁচাতে কমরেড জসিমউদ্দিন মন্ডল দিনব্যাপী অনশন পালন করলেন
রেলপথ রক্ষা, রেলপথের উন্নতি ও বিস্তৃতি, যাত্রীসেবার উন্নয়ন, বাংলাদেশ রেলপথকে আর্থিকভাবে স্ববালম্বী করাসহ আমজনতার বাহন রেল বাঁচাও-১৬ দফা দাবীতে জীবিত সর্বজেষ্ঠ্য রেলকর্মী, ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ত্রাস, বিপ্লবী, শ্রমিকনেতা, জননেতা, অনলবর্ষী বক্তা ৯১ বছর বয়সী কমরেড জসিমউদ্দিন মন্ডল গতকাল (১০ মার্চ) সারাদিন প্রেসক্লাবের সামনে অনশন পালন করেছেন। কমরেড মন্ডলের সাথে সংহতি জানিয়ে রেলপথ রয়েছে এমন জেলাগুলোর বড় স্টেশন, রেল জংশনগুলোতে প্রীতিকী অনশন, অবস্থান, প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমরেড মন্ডল অত্যধিক উচ্চ রক্তচাপ (উপরেরটা ২৪০) নিয়ে অনশনে বসেছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্য তদারকিতে নিয়োজিত ডাক্তার অধ্যাপক আবু সাঈদের উদ্বিগ্ন গম্ভীর মুখও তাকে টলাতে পারেনি। দীর্ঘ অনশন ৯১ বছর বয়সী এ মানুষটিকে কাবু করতে পারেনি। অনশন ভঙ্গপূর্ব দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি তাঁর শৈশবের কথা, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের কথা, সংঘবদ্ধ কমিউনিস্ট তরুণদের কোলকাতা শহরকে তছনছ করে দেয়ার কথা বর্ননা করেন। তিনি তাঁর জেল এবং আত্মগোপন জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন ব্রিটিশরা জেলে রেখেছিল ৬ বছর, পাকিস্তানীরা রেখেছিল ১০ বছর, বাংলাদেশ আমলে আমার জিয়া ভাই জেলে রেখেছিল ১ বছর আর এরশাদ ভাই ধরতে পারে নাই। পাকিস্তান আমলে নিজের ঘরে কম দিনই থাকতে পেরেছি। উপস্থিত জেষ্ঠ্য কন্যা সালেহা মনাকে দেখিয়ে বলেন আমার সন্তানদের প্রতি কোন দায়িত্ব পালন করা হয়নি, ওদের মা ওদের জন্য করেছে। আমার সন্তানরা না খেয়ে থেকেছে। ছেঁড়া পোষাক পরে থেকেছে। কোন কিছুই আমাকে টলাতে পারেনি। সারা জীবন কিছু করিনি, কিছু করার তাগিদও অনুভব করিনি। এখন মেয়ের সাথে থাকি। মেয়ে জায়গা না দিলে স্ত্রী সম্মতি দিলে তাকে নিয়ে রাস্তায় থাকব। আর যদি তিনি রাজী না হন কুছ পরোয়া নেহি নিজেই নেমে যাব রাস্তায়। লক্ষ লক্ষ লোক রাস্তায় ঘুমায়, তাঁরা কি মানুষ না।
মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর কমরেড মন্ডল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার দাবী জানিয়ে বলেন ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের দারিদ্রকে কপালের লিখন বলে চালিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন ৯৯ % মানুষ কপালের কারণে দরিদ্র হবে তাহলে সে কপাল লাথি মেরে ভাঙ্গতে চাই।
তরুণদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন তোমরা কি মাজা ভাঙ্গা তরুণ। মাজা সোজা করে দাড়িয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর। প্রয়োজনে দল বানাও। আমারা যেমন কোলকাতা শহরকে কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে তাতিয়ে রাখতাম তোমরা সে রকম কর। তোমাদের একটা পরিবর্তন করতেই হবে।
রেলের কথা বলতে গিয়ে বলেন। সুরঞ্জিত বাবুকে বলেছি, তার কোন উদ্যোগতো গত একমাসে চোখে পড়লনা। আরো একমাস সময় দিচ্ছি। তারপরও যদি কোন স্বদিচ্ছা প্রদর্শন না করেন তা হলে রেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আম জনতার বাহন রেল বাঁচাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দেশবাসীর কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, আমি রেলের সন্তান, জীবন সায়াহ্নে রেল বাঁচাতে, রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চুড়ান্ত লড়াইয়ে প্রস্তুত। আপনাদের কাছে অনুরোধ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহজলভ্য পরিবহন হিসাবে রেল রক্ষার সংগ্রামে আমাকে সমর্থন দিন, লড়াইয়ে শামিল হোন।
কমরেড মন্ডল অত্যধিক উচ্চ রক্তচাপ (উপরেরটা ২৪০) নিয়ে অনশনে বসেছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্য তদারকিতে নিয়োজিত ডাক্তার অধ্যাপক আবু সাঈদের উদ্বিগ্ন গম্ভীর মুখও তাকে টলাতে পারেনি। দীর্ঘ অনশন ৯১ বছর বয়সী এ মানুষটিকে কাবু করতে পারেনি। অনশন ভঙ্গপূর্ব দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি তাঁর শৈশবের কথা, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের কথা, সংঘবদ্ধ কমিউনিস্ট তরুণদের কোলকাতা শহরকে তছনছ করে দেয়ার কথা বর্ননা করেন। তিনি তাঁর জেল এবং আত্মগোপন জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন ব্রিটিশরা জেলে রেখেছিল ৬ বছর, পাকিস্তানীরা রেখেছিল ১০ বছর, বাংলাদেশ আমলে আমার জিয়া ভাই জেলে রেখেছিল ১ বছর আর এরশাদ ভাই ধরতে পারে নাই। পাকিস্তান আমলে নিজের ঘরে কম দিনই থাকতে পেরেছি। উপস্থিত জেষ্ঠ্য কন্যা সালেহা মনাকে দেখিয়ে বলেন আমার সন্তানদের প্রতি কোন দায়িত্ব পালন করা হয়নি, ওদের মা ওদের জন্য করেছে। আমার সন্তানরা না খেয়ে থেকেছে। ছেঁড়া পোষাক পরে থেকেছে। কোন কিছুই আমাকে টলাতে পারেনি। সারা জীবন কিছু করিনি, কিছু করার তাগিদও অনুভব করিনি। এখন মেয়ের সাথে থাকি। মেয়ে জায়গা না দিলে স্ত্রী সম্মতি দিলে তাকে নিয়ে রাস্তায় থাকব। আর যদি তিনি রাজী না হন কুছ পরোয়া নেহি নিজেই নেমে যাব রাস্তায়। লক্ষ লক্ষ লোক রাস্তায় ঘুমায়, তাঁরা কি মানুষ না।
মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর কমরেড মন্ডল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার দাবী জানিয়ে বলেন ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের দারিদ্রকে কপালের লিখন বলে চালিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন ৯৯ % মানুষ কপালের কারণে দরিদ্র হবে তাহলে সে কপাল লাথি মেরে ভাঙ্গতে চাই।
তরুণদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন তোমরা কি মাজা ভাঙ্গা তরুণ। মাজা সোজা করে দাড়িয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর। প্রয়োজনে দল বানাও। আমারা যেমন কোলকাতা শহরকে কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে তাতিয়ে রাখতাম তোমরা সে রকম কর। তোমাদের একটা পরিবর্তন করতেই হবে।
রেলের কথা বলতে গিয়ে বলেন। সুরঞ্জিত বাবুকে বলেছি, তার কোন উদ্যোগতো গত একমাসে চোখে পড়লনা। আরো একমাস সময় দিচ্ছি। তারপরও যদি কোন স্বদিচ্ছা প্রদর্শন না করেন তা হলে রেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আম জনতার বাহন রেল বাঁচাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দেশবাসীর কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, আমি রেলের সন্তান, জীবন সায়াহ্নে রেল বাঁচাতে, রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চুড়ান্ত লড়াইয়ে প্রস্তুত। আপনাদের কাছে অনুরোধ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহজলভ্য পরিবহন হিসাবে রেল রক্ষার সংগ্রামে আমাকে সমর্থন দিন, লড়াইয়ে শামিল হোন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন