গত ০৬ অক্টোবর ২০১৭ বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদ্যাপন জাতীয় কমিটির মাসব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদ্যাপন সাংস্কৃতিক পর্ষদের শিল্পীবৃন্দ সমবেত সংঙ্গীত পরিবেশন করেন। তাদের সাথে সমগ্র সমাবেশ কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সঙ্গীত কন্ঠ মেলায়।
শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের নেতা আজীবন সংগ্রামী কমরেড জসীম উদ্দীন মন্ডলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন সমাবেশের সভাপতি ও অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অন্যতম আহবায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি শতবর্ষ উদযাপন কমিটির মাসব্যাপি কর্মসূচি ও ৭ নভেম্বরের সমাপনী মহাসমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল এবং এ সময়কালের মধ্যবর্তী বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও গণসংগঠনসমূহের কর্মসূচিগুলো তুলে ধরেন।
শতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে বামপন্থীদের ভ‚মিকা’ শীর্ষক সেমিনারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা ভ্রান্তি, কুৎসা রটনার মধ্য দিয়ে বামপন্থীদের ইতিহাস ঢেকে দেয়ার অপচেষ্টা গত ৪৬ বছর ধরে চলেছে। সময় এসেছে বামপন্থীদের ভ‚মিকা জনগণের সামনে উন্মোচিত করার।
তিনি আরো বলেন, রুশ বিপ্লব মানব মুক্তির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ বিপ্লব মানুষের মুক্তির দিশা নির্দেশ করেছে। ঔপনিবেশিক শোষণে নিপীড়িত জাতিসমূহকে শোষণের নিগড় ভাঙ্গতে অনুপ্রাণিত ও সমর্থন জুগিয়েছে রুশ বিপ্লব এবং তার রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন। ৭০ বছর স্থায়ী হবার পর সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে পতন ঘটেছে, তা সমাজতন্ত্রের পতন নয়, ধাপে ধাপে সমাজতন্ত্রের চিন্তা থেকে সরে আসার ফল। ছিল বাইরে থেকে পুঁজিবাদীদের উৎপাত, অবরোধ ও আক্রমণ। সোভিয়েতের পতনের ফলে সারা পৃথিবীর মানুষকে আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ ও দুর্দশা জানিয়ে দিচ্ছে সভ্যতা কোন বর্বরতায় গিয়ে পৌঁছেছে। এ ব্যবস্থা চললে পৃথিবীর ধ্বংসই ঠেকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে। বলা হচ্ছে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটেছে। কিন্তু আসল সত্য হলো এই যে, পুঁজিবাদ তার নিজস্ব নৈতিকতাকেই সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। এই নৈতিকতা মনুষ্যত্বের মর্যাদা দেয় না; মুনাফা চেনে, ভোগলালসায় অস্থির থাকে, মানবিক বিবেচনাগুলোকে পদদলিত করে।
তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক নিয়মে পুঁজিবাদের বিনাশ হবে। পুঁজিবাদের বিনাশ মানে ব্যক্তি মালিকানার সমাপ্তি। আগামীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানার পৃথিবীর পরিবর্তে সামাজিক মালিকানার মানবিক বিশ্ব গড়ার।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মায়ানমারে যখন গণহত্যা চলছে, প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে, সেই সময় চীন দাঁড়িয়েছে পীড়নকারী মিয়ানমার সরকারের পক্ষে। রাশিয়ার আচরণও একই রকম। যে ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, সেও দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের পক্ষে। কারণ একই- পুঁজিবাদী স্বার্থ। সমাজতন্ত্রের অনিবার্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা এভাবে বার বার সামনে আসছে। ফলে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদ্যাপন কোন আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এমন একটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করা যা সমাজতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করবে।”
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থা আতংকজনক। তারা ঘর থেকে বাইরে বেরুলে নিরাপদে ফিরবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তিন বছরের শিশু ধর্ষকদের লালসার শিকার হচ্ছে। বাসে ধর্ষিত হচ্ছেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষিত হচ্ছেন কর্মজীবি শ্রমজীবি নারীরা। পুঁজিবাদের ব্যবস্থায় নৈতিকতার অধঃপতন এর জন্য দায়ি। নারীদের প্রতি এ বৈষম্যের অবসানের জন্য অক্টোবর বিপ্লবের পথে হাটতে হবে নারী সমাজসহ সকল প্রগতিশীল মানুষকে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ, বাসদ(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রিয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)’র নেতা শওকত হোসেন, গরীব মুক্তি আন্দোলন-এর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলন গণমুক্তি ইউনিয়নের নাসিরউদ্দিন নাসু ।
সমাবেশে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকা থেকে বামপন্থী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন, কাট আউট
সহকারে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
বক্তব্য পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন সাংস্কৃতিক পর্ষদের শিল্পীবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার পূর্বে বক্তব্য রাখেন পর্ষদের আহ্বায়ক হয়দার আনোয়ার খান জুনো। পরিচালনা করেন অন্যতম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান লালটু।
শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের নেতা আজীবন সংগ্রামী কমরেড জসীম উদ্দীন মন্ডলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন সমাবেশের সভাপতি ও অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অন্যতম আহবায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি শতবর্ষ উদযাপন কমিটির মাসব্যাপি কর্মসূচি ও ৭ নভেম্বরের সমাপনী মহাসমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল এবং এ সময়কালের মধ্যবর্তী বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও গণসংগঠনসমূহের কর্মসূচিগুলো তুলে ধরেন।
শতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে বামপন্থীদের ভ‚মিকা’ শীর্ষক সেমিনারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা ভ্রান্তি, কুৎসা রটনার মধ্য দিয়ে বামপন্থীদের ইতিহাস ঢেকে দেয়ার অপচেষ্টা গত ৪৬ বছর ধরে চলেছে। সময় এসেছে বামপন্থীদের ভ‚মিকা জনগণের সামনে উন্মোচিত করার।
তিনি আরো বলেন, রুশ বিপ্লব মানব মুক্তির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ বিপ্লব মানুষের মুক্তির দিশা নির্দেশ করেছে। ঔপনিবেশিক শোষণে নিপীড়িত জাতিসমূহকে শোষণের নিগড় ভাঙ্গতে অনুপ্রাণিত ও সমর্থন জুগিয়েছে রুশ বিপ্লব এবং তার রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন। ৭০ বছর স্থায়ী হবার পর সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে পতন ঘটেছে, তা সমাজতন্ত্রের পতন নয়, ধাপে ধাপে সমাজতন্ত্রের চিন্তা থেকে সরে আসার ফল। ছিল বাইরে থেকে পুঁজিবাদীদের উৎপাত, অবরোধ ও আক্রমণ। সোভিয়েতের পতনের ফলে সারা পৃথিবীর মানুষকে আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ ও দুর্দশা জানিয়ে দিচ্ছে সভ্যতা কোন বর্বরতায় গিয়ে পৌঁছেছে। এ ব্যবস্থা চললে পৃথিবীর ধ্বংসই ঠেকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে। বলা হচ্ছে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটেছে। কিন্তু আসল সত্য হলো এই যে, পুঁজিবাদ তার নিজস্ব নৈতিকতাকেই সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। এই নৈতিকতা মনুষ্যত্বের মর্যাদা দেয় না; মুনাফা চেনে, ভোগলালসায় অস্থির থাকে, মানবিক বিবেচনাগুলোকে পদদলিত করে।
তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক নিয়মে পুঁজিবাদের বিনাশ হবে। পুঁজিবাদের বিনাশ মানে ব্যক্তি মালিকানার সমাপ্তি। আগামীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানার পৃথিবীর পরিবর্তে সামাজিক মালিকানার মানবিক বিশ্ব গড়ার।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মায়ানমারে যখন গণহত্যা চলছে, প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে, সেই সময় চীন দাঁড়িয়েছে পীড়নকারী মিয়ানমার সরকারের পক্ষে। রাশিয়ার আচরণও একই রকম। যে ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, সেও দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের পক্ষে। কারণ একই- পুঁজিবাদী স্বার্থ। সমাজতন্ত্রের অনিবার্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা এভাবে বার বার সামনে আসছে। ফলে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদ্যাপন কোন আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এমন একটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করা যা সমাজতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করবে।”
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থা আতংকজনক। তারা ঘর থেকে বাইরে বেরুলে নিরাপদে ফিরবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তিন বছরের শিশু ধর্ষকদের লালসার শিকার হচ্ছে। বাসে ধর্ষিত হচ্ছেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষিত হচ্ছেন কর্মজীবি শ্রমজীবি নারীরা। পুঁজিবাদের ব্যবস্থায় নৈতিকতার অধঃপতন এর জন্য দায়ি। নারীদের প্রতি এ বৈষম্যের অবসানের জন্য অক্টোবর বিপ্লবের পথে হাটতে হবে নারী সমাজসহ সকল প্রগতিশীল মানুষকে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ, বাসদ(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রিয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)’র নেতা শওকত হোসেন, গরীব মুক্তি আন্দোলন-এর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলন গণমুক্তি ইউনিয়নের নাসিরউদ্দিন নাসু ।
সমাবেশে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকা থেকে বামপন্থী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন, কাট আউট
সহকারে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
বক্তব্য পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন সাংস্কৃতিক পর্ষদের শিল্পীবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার পূর্বে বক্তব্য রাখেন পর্ষদের আহ্বায়ক হয়দার আনোয়ার খান জুনো। পরিচালনা করেন অন্যতম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান লালটু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন