কমরেড জসীম মণ্ডলকে নিয়ে লিখেছেন
কথাসাহিত্যিক Kuloda Roy
কথাসাহিত্যিক Kuloda Roy
=============================
পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্টের নাম জসীম মণ্ডল।
তিনি এখন ওয়েটিং ফর গডো। তাঁর চলে যাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত কমিউনিস্ট প্রজন্মের ইতি
ঘটবে।
ছিলেন রেলশ্রমিক। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য
সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। তাদের ভাষায়ই
অসামান্য বক্তৃতা করেছেন। কখনো আপোষ
করেননি। বিত্ত বেসাতের দিকে যাননি। শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে
আছেন। ছিলেন নি:শঙ্ক-- সংশয়হীন। তিনি
কোনো লাল বইয়ের পাতা থেকে নয়--
খেটেখাওয়া নিপীড়িত লাঞ্ছিত বঞ্চিত মানুষের লাল
রক্তের ভেতর থেকেই উঠে এসেছিলেন।
চিরকাল তাদের সঙ্গেই ছিলেন। অবস্থান বদল
করেননি।
সিপিবি নামে মস্কোপন্থী দলটি পাকিস্তান আমলের
অধিকাংশ সময়েই নিষিদ্ধ থেকেছে। প্রকাশ্যে
কাজ করার সুযোগ ছিল না। জেল জুলুম হুলিয়া মাথায়
নিয়ে সিপিবির ননেতা কর্মীরা সারা দেশে কমিউনিস্ট
পার্টির হয়ে কাজ করেছেন। হিন্দুদেরকে
মুসলমান নাম নিতে হয়েছে। মুসলমানদের নিতে
হয়েছে ছদ্ম নাম।
দেশ স্বাধীনের পরেও নানা সময়ে সিপিবিকে
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিপিবি কখনো স্ট্যান্টবাজি
করেনি। হটকারী কাজ করেনি। নিজেদের সর্বস্ব
বিলিয়ে দিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছেই
সিপিবির নেতা কর্মীরা ত্যাগী আদর্শবাদী উদার
অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সংস্কৃতবান ভালো মানুষ
হিসেবে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। রাজপথে
সিপিবির কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি রক্ত
দিয়েছেন।
এরাই কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, শ্রমিকদের
জন্য ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচি শিল্পী
গোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, শিশু
কিশোরদের জন্য খেলাঘর গড়েছেন। এই
সংগঠনগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো এবং
কার্যকরী সংগঠন। এই সংগঠনগুলোই দেশের
অধিকাংশ প্রগতিশীল মানুষ গড়ে তুলেছে যারা
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন,
শিক্ষা আন্দোলন, দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলন,
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, আয়ুব
বিরোধী আন্দোলন, গণ- অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ
সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারদাবীতে আন্দোলন,
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন, গণতান্ত্রিক
আন্দোলনে নি:স্বার্থভাবে অংশ গ্রহণ
করেছেন। এর সফলতার দাবী সিপিবিরই সর্বাধিক।
দলত্যাগীদের সংখ্যাও খুব নগণ্য।
সিপিবি থেকেই তাজুল ইসলামের মতো ত্যাগী
নেতা এসেছেন। ওয়ালিউর ররহমান লেবুর মতো
রক্তঝরানো নেতা এসেছেন। এসেছেন
জসীম মণ্ডলের মতো কমিউনিস্ট যিনি শেষ
নি:শ্বাস ত্যাগের আগের মুহূর্তেও মানুষের মুক্তির
জন্য লড়াই সংগ্রামের কথা বলে গেছেন।
আজ চলে গেলেন জসীম মণ্ডল। একটি
শতাব্দীর অবসান হলো। রয়ে গেল সৌখিন, ভুয়া,
সুবিদাবাদী, আপোষকামী, ছদ্ম প্রগতিশীল,
ক্ষমতালোভী, গুপ্ত সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী, কাগুজে
কমিউনিস্টদের।
এই পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্টকে লাল সালাম।
তিনি এখন ওয়েটিং ফর গডো। তাঁর চলে যাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত কমিউনিস্ট প্রজন্মের ইতি
ঘটবে।
ছিলেন রেলশ্রমিক। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য
সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। তাদের ভাষায়ই
অসামান্য বক্তৃতা করেছেন। কখনো আপোষ
করেননি। বিত্ত বেসাতের দিকে যাননি। শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে
আছেন। ছিলেন নি:শঙ্ক-- সংশয়হীন। তিনি
কোনো লাল বইয়ের পাতা থেকে নয়--
খেটেখাওয়া নিপীড়িত লাঞ্ছিত বঞ্চিত মানুষের লাল
রক্তের ভেতর থেকেই উঠে এসেছিলেন।
চিরকাল তাদের সঙ্গেই ছিলেন। অবস্থান বদল
করেননি।
সিপিবি নামে মস্কোপন্থী দলটি পাকিস্তান আমলের
অধিকাংশ সময়েই নিষিদ্ধ থেকেছে। প্রকাশ্যে
কাজ করার সুযোগ ছিল না। জেল জুলুম হুলিয়া মাথায়
নিয়ে সিপিবির ননেতা কর্মীরা সারা দেশে কমিউনিস্ট
পার্টির হয়ে কাজ করেছেন। হিন্দুদেরকে
মুসলমান নাম নিতে হয়েছে। মুসলমানদের নিতে
হয়েছে ছদ্ম নাম।
দেশ স্বাধীনের পরেও নানা সময়ে সিপিবিকে
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিপিবি কখনো স্ট্যান্টবাজি
করেনি। হটকারী কাজ করেনি। নিজেদের সর্বস্ব
বিলিয়ে দিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছেই
সিপিবির নেতা কর্মীরা ত্যাগী আদর্শবাদী উদার
অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সংস্কৃতবান ভালো মানুষ
হিসেবে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। রাজপথে
সিপিবির কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি রক্ত
দিয়েছেন।
এরাই কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, শ্রমিকদের
জন্য ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচি শিল্পী
গোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, শিশু
কিশোরদের জন্য খেলাঘর গড়েছেন। এই
সংগঠনগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো এবং
কার্যকরী সংগঠন। এই সংগঠনগুলোই দেশের
অধিকাংশ প্রগতিশীল মানুষ গড়ে তুলেছে যারা
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন,
শিক্ষা আন্দোলন, দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলন,
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, আয়ুব
বিরোধী আন্দোলন, গণ- অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ
সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারদাবীতে আন্দোলন,
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন, গণতান্ত্রিক
আন্দোলনে নি:স্বার্থভাবে অংশ গ্রহণ
করেছেন। এর সফলতার দাবী সিপিবিরই সর্বাধিক।
দলত্যাগীদের সংখ্যাও খুব নগণ্য।
সিপিবি থেকেই তাজুল ইসলামের মতো ত্যাগী
নেতা এসেছেন। ওয়ালিউর ররহমান লেবুর মতো
রক্তঝরানো নেতা এসেছেন। এসেছেন
জসীম মণ্ডলের মতো কমিউনিস্ট যিনি শেষ
নি:শ্বাস ত্যাগের আগের মুহূর্তেও মানুষের মুক্তির
জন্য লড়াই সংগ্রামের কথা বলে গেছেন।
আজ চলে গেলেন জসীম মণ্ডল। একটি
শতাব্দীর অবসান হলো। রয়ে গেল সৌখিন, ভুয়া,
সুবিদাবাদী, আপোষকামী, ছদ্ম প্রগতিশীল,
ক্ষমতালোভী, গুপ্ত সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী, কাগুজে
কমিউনিস্টদের।
এই পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্টকে লাল সালাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন