মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনার পর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এরপর উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে নেতাকর্মীরা একে একে প্রয়াত জসিম মণ্ডলের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এই কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি সহজ ভাষায় মানুষকে তার কথা বোঝাতেন। তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন।
“তিনি সমাজের মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। যে সংগ্রাম তিনি করে গেছেন- এতদিনে তা কিছুটা হলেও পূর্ণতা পেয়েছে। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।” বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে প্রয়াত জসিম মণ্ডলের আত্মার শান্তি কামনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “তিনি (জসিম মণ্ডল) তার মেধা, চর্চা এবং রাজনৈতিক আদর্শের মাধ্যমে সারাজীবন মানুষের মুক্তির আন্দোলন করে গেছেন। তার ত্যাগ, চেতনা ও সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, “তিনি যে আদর্শ লালন করতেন তা থেকে কখনো বিচ্যুত হন নি; দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুক্তির লড়াই করে গেছেন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।”
অন্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শহীদ মিনারে জসিম মণ্ডলের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা ৪০
পর্যন্ত প্রবীণ কমিউনিস্ট জসিম মণ্ডলের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়।
পরে একে একে সিপিবি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেলের নেতৃত্বে মহানগর কমিটি, কমরেড নুরুল হাসানের নেতৃত্বে জাতীয় কৃষক সমিতি, কমরেড শামসুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, কমরেড মোর্শেদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষক সমিতিসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে একটি শোক র্যালি সহকারে সদ্যপ্রয়াত কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডলের মরদেহ সর্ব সাধারণের
সেখানে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মঞ্জুরুল আহসান খান, শহীদুল্লাহ চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন শাখা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিপিবি সভাপতি সেলিম বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, উপ-মহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ও কিংবদন্তী শ্রমিক নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডল আমাদের মাঝে আর নেই। তিনি প্রগতিশীল আন্দোলনের এক কিংবদন্তি নেতা। জেলখানায়, রেলওয়ের ইঞ্জিনের কয়লা ঠেলতে ঠেলতে তার জীবনের শুরু। শ্রমিকের মুক্তির জন্য, সম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৬ বছর জেল খেটেছেন। তবু পিছপা হন নি। আমরা তার মৃত্যুতে শোকাহত। এদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। সেখানে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তী, বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডল ৯৭ বছর বয়সে সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিপিবি সভাপতি সেলিম বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, উপ-মহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ও কিংবদন্তী শ্রমিক নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডল আমাদের মাঝে আর নেই। তিনি প্রগতিশীল আন্দোলনের এক কিংবদন্তি নেতা। জেলখানায়, রেলওয়ের ইঞ্জিনের কয়লা ঠেলতে ঠেলতে তার জীবনের শুরু। শ্রমিকের মুক্তির জন্য, সম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৬ বছর জেল খেটেছেন। তবু পিছপা হন নি। আমরা তার মৃত্যুতে শোকাহত। এদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। সেখানে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তী, বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডল ৯৭ বছর বয়সে সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন